
চট্টগ্রামে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শ্রীকান্ত শীল (২১) থানায় অভিযোগ করেন যে, মো. আসিফ (২৩) ইমো অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে মো. আসিফ (২৩) শ্রীকান্তকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। গত ২৫ এপ্রিল রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রূপনগর আবাসিক গেটের সামনে গেলে অভিযুক্ত মো. আসিফ কৌশলে রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলার তৃতীয় তলার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় শ্রীকান্তকে। বাসায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ও নগদ এক হাজার ৪৫০ টাকা নিয়ে নেয়।
এ সময় জোরপূর্বক উলঙ্গ করে অভিযুক্ত মো. আসিফ মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। তখন অভিযুক্তরা শ্রীকান্তের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আর চাঁদা না দিলে শ্রীকান্তের উলঙ্গ ভিডিও সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ বায়েজিদ বোস্তামী থানার রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলায় অভিযান চালায়। এ সময় কর্ণফুলী এলাকার অপর এক ভুক্তভোগী মো. আরমানকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তাকেও একই কায়দায় বন্দি করে চাঁদা আদায় করার পাঁয়তারা করছিল বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আসিফ (২৩), মো. মোরশেদ (২৯), মো. সাজে শরীফ (৪০), মো. আবুল হাসেম (৩৫), মো. নাসির উদ্দিন (৩৯), জেসমিন আক্তার (৪০), ফাতেমা খাতুন (২৬)।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিংহা খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ চক্রটি মানুষকে কৌশলে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ কাজে জড়িত। এর আগেও নাসির উদ্দিন নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কিন্তু জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করেছে। তারা এ পর্যন্ত বেশ মানুষকে এভাবে জিম্মি করেছে। এবার হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
আবদুস সাত্তার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/