তাজউদ্দীন মেডিকেলের ১২ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

তাজউদ্দীন মেডিকেলের ১২ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
তাজউদ্দীন মেডিকেলের ১২ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু
নামাজের কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা জায়গা। ছবি : খবরের কাগজ

শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২তলা থেকে পড়ে জিল্লুর রহমান (৭০) নামে এক রোগী মারা গেছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিল্লুর রহমান গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া এলাকার কাসেম আলীর ছেলে।

তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় ওই হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের বারান্দায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান হলেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান রুবিনা ইয়াসমিন। তিন কার্যবিসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ধুমপান করতে নিষেধ করলে নামাজের কক্ষে গিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে ধুমপান করছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি সেখানে মাথা ঘুরে কক্ষের দেয়ালের পাশে ফাঁকা স্থান দিয়ে ১২তলা থেকে ১০তলায় পড়ে গুরুতর আহত হন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক রোগী বলেন, ‘নামাজের ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকলে এবং ওই কক্ষের দেয়ালের পাশে থাকা লম্বালম্বি দেড় থেকে দুই ফুট প্রস্থের ফাঁকা স্থানটি নেট দিয়ে আটকানো থাকলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটতো না। এ ক্ষেত্রে হাসপতালে কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে।’

হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। তবে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিউল করিম রাফি খবরের কাগজকে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পলাশ/পপি/অমিয়/

নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৪

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৪

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।  

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে ঘটনা দুটি ঘটে। 

নিহতরা হলেন আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২), করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) এবং হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ার মোছলেহ উদ্দিন (৫০)। 

এ ঘটনায় কামাল মিয়া গুরুতর আহত হন। তারা ধান কাটতে জমিতে অবস্থান করছিলেন। 

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য জমিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে শরিফা বেগম ও তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত আবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের অপরজন। 

তিনি আরও জানান, এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। 
 
শাওন খন্দকার/ইসরাত চৈতী/  

চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

সারা দেশের মতো চাঁদপুরেও ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম চালু করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিন দিনব্যাপী এই অভিযানের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।   

এ সময় বাসস্ট্যান্ডে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া পেট্রোল পাম্পগুলোয় সচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার সাঁটানো হয়। পাম্প কর্তৃপক্ষকে হেলমেট ছাড়া চালকদের জ্বালানি না দিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

এদিকে শহরের যানজট এড়াতে ট্রাফিক বিভাগে একটি রেকার সংযুক্ত করা হয়। জেলার হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলাসহ প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘সেতুমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন হেলমেট ছাড়া কাউকে ফুয়েল দেওয়া যাবে না। সারা দেশেই কার্যক্রম চালু হয়েছে। চাঁদপুরেও পুলিশ একযোগে ৮ উপজেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যারা হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে বের হবে তাদের ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা হবে।’

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। যারা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন, তাদেন জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। এর আগে মানুষ যাতে হেলমেট ব্যবহার করে, আমরা মানুষের মাঝে সচেতনতা করতে প্রচারণা করেছি। বিশেষ করে প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি যাতে হেলমেটবিহীন কোনো মোটরসাইকেল আরোহীকে পেট্রল-অকটেন  না দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।’ 
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদ চৌধুরী, পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসিন আলম, চাঁদপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মাহফুজুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি এনামুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। 

শরীফুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/  

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের কর্মীসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের কর্মীসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যা
লংগদু থানা

রাঙামাটির লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। 

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন-  ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫)। বিদ্যাধন চাকমা লংগদু উপজেলার কাট্টলী কুকিছড়া গ্রামের সময় মনি চাকমার ছেলে আর ধন্য মনি চাকমা উপজেলার বড় হাড়িকাবা ধুধুকছড়া গ্রামের লেংগ্যা চাকমার ছেলে।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সেখান থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।

এদিকে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা জেএসএসকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে এক বিবৃতিতে ঘটনার বিবরণে বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদুর বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা নিহত হন। হামলায় নেতৃত্ব দেন পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২)। তিনি বড় হাড়িকাবারের কুট্টছড়ি গ্রামের লক্ষ্মী মনি চাকমার ছেলে।’

বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে হত্যাকারীদের ও সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তার করে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। তবে এ নিয়ে জেএসএসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জিয়াউর জুয়েল/সালমান/

সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে নিহত ২

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে নিহত ২
সাতক্ষীরার তালায় ধানবোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ধানবোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। 

শনিবার (১৮ মে) উপজেলার খুলনা-পাইকগাছা সড়কের হরিশ্চন্দ্রকাটীর বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- খুলনার কয়রা উপজেলার বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (৪৪) ও মান্দারবাড়িয়া গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, কয়রা এলাকা থেকে ১৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জে ধান কেটে মজুরি হিসেবে ২৫-৩০ মণ ধান পান। তারা ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার সকালে ট্রাক উল্টে সাইদুল গাজী ও মনিরুল ইসলাম নামে দুই শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।

নাজমুল শাহাদাৎ/সাদিয়া নাহার/

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
নিহত দুই কৃষক। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন।  

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চোদ্দপুর গ্রামের আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন। আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। 

স্থানীয়রা জানায়, নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত মিয়ার বাড়িতে ধান কাটার জন্য সাত দিন ধরে এসেছেন তারা। সকালে ধান কাটার জন্য গেলে বজ্রপাতে আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন মারা যায়। পরে পাশের জমিতে থাকা শ্রমিকরা তাদের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালিহাতী উপজেলার বীবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’  

জুয়েল/ইসরাত চৈতী/