শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২তলা থেকে পড়ে জিল্লুর রহমান (৭০) নামে এক রোগী মারা গেছেন।
শুক্রবার (৩ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জিল্লুর রহমান গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া এলাকার কাসেম আলীর ছেলে।
তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় ওই হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের বারান্দায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান হলেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান রুবিনা ইয়াসমিন। তিন কার্যবিসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ধুমপান করতে নিষেধ করলে নামাজের কক্ষে গিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে ধুমপান করছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি সেখানে মাথা ঘুরে কক্ষের দেয়ালের পাশে ফাঁকা স্থান দিয়ে ১২তলা থেকে ১০তলায় পড়ে গুরুতর আহত হন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক রোগী বলেন, ‘নামাজের ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকলে এবং ওই কক্ষের দেয়ালের পাশে থাকা লম্বালম্বি দেড় থেকে দুই ফুট প্রস্থের ফাঁকা স্থানটি নেট দিয়ে আটকানো থাকলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটতো না। এ ক্ষেত্রে হাসপতালে কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে।’
হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। তবে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিউল করিম রাফি খবরের কাগজকে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পলাশ/পপি/অমিয়/