জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছবি : খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। তাদের মধ্যে হারুন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পুরাতন কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় একটি অজ্ঞাত মরদেহের পা দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সেসময় লাশের গলা শার্ট দিয়ে পেঁচানো ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামের ভ্যান ছিনতাই করে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার পুরাতন কবরে লাশ চাপা দিয়ে রেখে যায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মো. শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

সালমান/

আইসিটি মামলা: দুই সপ্তাহ বিদ্যালয়ে আসছেন না ৪ শিক্ষক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
আইসিটি মামলা: দুই সপ্তাহ বিদ্যালয়ে আসছেন না ৪ শিক্ষক
ছবি : খবরের কাগজ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক গত ১৪ দিন ধরে অনুপুস্থিত। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার পর থেকে তারা পলাতক।

জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার জাহাজামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আবদুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব (সাময়িক বরখাস্ত) গত ৬ মে থেকে বিদ্যালয়ে অনুপুস্থিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে নোয়াখালীর সুধারাম (সদর) থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা করেন হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ। ওই মামলায় প্রধান আসামি সদর উপজেলার মাইজভান্ডার শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এখন কারাগারে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বাদি মামুন অর রশিদের স্ত্রী নলুয়া রেহান আলী চৌধুরীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি হ্যাক করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ অনৈক সম্পর্কের প্রস্তাব করেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি খবরের কাগজকে বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা করা হয়েছে। পরে মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

হাতিয়ার বিদ্যালয়গুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা অনুপুস্থিত থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। 

এই বিদ্যালয়গুলোর সভাপতিরা জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষকরা এতোদিন অনুপুস্থিত থাকা অস্বাভাববিক। 

হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল জব্বার খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার জানা মতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন।’ কিন্তু খবরের কাগজের হাতে আসা হাজিরা খাতা অনুযায়ী তারা ১৪ দিন অনুপস্থিত বলার পর তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে অনেক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) মো. মনসুর আলী খবরের কাগজকে বলেন, খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/জোবাইদা/অমিয়/

ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, বিভক্ত আ.লীগ নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, বিভক্ত আ.লীগ নেতাকর্মীরা
ছবি : খবরের কাগজ

রাত পোহালেই দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা এবং গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে রয়েছে পুরো নির্বাচনি এলাকা। এই তিন উপজেলায় ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রত্যেকটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এতে নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

সদর উপজেলার চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে এবারও প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে দলীয় প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হতে চাইলেও বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদের কাছে হেরে যান। 

এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ (দোয়াত)। আবু সাঈদ সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর অনুসারী। 

আশরাফ হোসাইনের পক্ষের নেতা-কর্মীরাও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তাকে নির্বাচিত করতে মাঠঘাট চষে বেড়িয়েছেন। 

এ ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আল আমিন আলভি (আনারস), মো. মনিরুজ্জামান (জোড়া ফুল) এবং হোসাইন নূর মুহাম্মদ (মোটরসাইকেল)। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মুক্তাগাছায় নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচ ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। 

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী (হেলিকপ্টার) এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলীর (দোয়াত-কলম) পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। 

বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দের (মোটরসাইকেল) অবস্থান নিয়েছেন। 

এই তিনজন ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মুহাম্মদ রেজাউল করিম (আনারস)। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গৌরীপুরে ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খান। এবার তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সোমনাথ সাহা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপির কাছে অল্প ভোটে হেরে যান তিনি। এবার আনারস প্রতীক নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন সোমনাথ। 

বর্তমান সংসদ সদস্য পপি প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নিলেও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মোফাজ্জল হোসেন খানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ অবস্থান নিয়েছেন সোমনাথের পক্ষে। 

এদিকে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের অপর প্রার্থী এইচ এম খায়রুল বাসার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। তিনিও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনি মাঠে সরব। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১০৩টি কেন্দ্রের ৮৯৯টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সদরে মোট ভোটার তিন লাখ ১৬ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।

মুক্তাগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১১৮টি কেন্দ্রের ৯১৬টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার তিন লাখ ৬৯ হাজার ৪১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।

গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯৫টি কেন্দ্রের ৭৩৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪১ হাজার ৮৫৯ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৯ জন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোটগ্রহণ। কোনো প্রার্থীর পক্ষের লোকজন কেন্দ্রসহ আশপাশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে দমন করবে। তবে, আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/

২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম : ডিসি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম : ডিসি
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে ২০২৪ সালে ২৪ লাখ বৃক্ষ শোভা ছড়াবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, গতবারের রোপণ করা ২৩ লাখ বৃক্ষ থেকে যেগুলো টিকেনি সেগুলো পুনঃস্থাপন করা হবে। এই ২৩ লাখের সঙ্গে আরও এক লাখ যোগ করে ২০২৪ সালে ২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম। 

রবিবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিনা অনুমতিতে গাছ কাটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বন আইন কিংবা পরিবেশ আইনে সংশোধন আনা হবে। ২০২৩ সালের রোপণ করা ২৩ লাখ বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত অডিট করতে নির্দেশ দেন তিনি। 

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশনে চট্টগ্রাম জেলা সর্বাধিক ৪০ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এক নম্বরে রয়েছে। এই অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের ব্যাপারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তাছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন তিনি।
 
সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, চট্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসএম ইফতেখারুল/জোবাইদা/অমিয়/

কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
জামসেদ আহমেদ ও মো. শাহজালাল

কুমিল্লার চান্দিনায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চান্দিনা-রামমোহন সড়কের উদালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চান্দিনা পৌরসভার ছায়কোট এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মো. জামসেদ আহমেদ (৩৬) ও একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. শাহজালাল (৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে চান্দিনার ছায়কোট থেকে মাছের রেনু আনার জন্য আলিকামোড়া গ্রামে গিয়েছিলেন জামসেদ ও শাহজালাল। পিকআপ দিয়ে মাছের রেনু পাঠিয়ে তারা দুজন মোটরসাইকেল দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলার উদালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ খবরের কাগজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

জহির শান্ত/পপি/

মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

মাদারীপুরের ডাসারে অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিকের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৯ মে) বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ স্থানীয়রা।

লিখিত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উচ্চবিদ্যালয়ে গত ১৭ মে, শুক্রবার প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় বিদ্যালয়টির সভাপতি তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকুরী দেওয়ার জন্য মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে লোক দেখানো লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে জুয়েল রায় নামের একজন প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

অর্থ লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাকুরীপ্রার্থী ৯ জনের পরিবর্তে মাত্র ৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

অভিযোগ পত্র থেকে আরও জানা যায়, চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিক ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগের রাতে জুয়েল রায়কে প্রশ্ন সরবরাহ করে।

প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থী দীপংকর হালদার বলেন, ‘গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাতে শশিকর কলেজের পশ্চিম পাশে নির্জন জায়গায় উত্তম হালদারের উপস্থিতি বিমল মল্লিক আমার কাছে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তা নাচক করে দেই। টাকার বিনিময়ে চাকুরী নিতে আমি অস্বীকার করি।’

এই বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য অরুন মল্লিক বলেন, ‘চলবল স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে ৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ৫ জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ডের উপরে আস্থা হারিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এতেই প্রমাণ হয় এই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। এই নিয়োগের অনিয়মগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষা করবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা শচীন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, ‘স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম চলছে। বর্তমান সভাপতি তিনি তার নিজের ইচ্ছামতন এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কখন কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তা ম্যানেজিং কমিটির অনেক সদস্যকে অবহিতই করেন না। আমি মনে করি, এই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।’

অভিযোগের বিষয়ে নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এই বিষয়ে মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিব উল্লাহ খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ আমার কাছে দেয়, তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।’

রফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/