বরিশালের দুই উপজেলা ৬৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বরিশালের দুই উপজেলা ৬৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
বরিশালের দুই উপজেলা ৬৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২০ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষায় এগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলা হয়। শতকরা হিসাবে বরিশালে দুই উপজেলার ৬৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি এবং বাকেরগঞ্জের ১১৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত ঠেকাতে এই দুই উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। এখানে ৬০০ পুলিশ সদস্য থাকার কথা থাকলেও রাখা হবে দ্বিগুণ। ভোটের দিন ৪০টি মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতিটি ইউনিয়নে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।’

বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দ্বীপ অঞ্চলের ১৫টি কেন্দ্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানকার ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টিই ‘গুরুত্বপূর্ণ’। নির্বাচনে কোনো সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না। সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

বরিশাল সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে তিনজন তৃতীয় লিঙ্গের ও ৯৫ হাজার ৯৭ জন নারী ও ১ লাখ ১১০ জন পুরুষ ভোটার রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন তিনজন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পুলিশ। বিএমপি কমিশনার জিহাদুল কবির স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ছাড়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে লাইন্সেধারী বৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাচল ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। গণবিজ্ঞপ্তিতে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক, লঞ্চ এবং ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচল ব্যতীত) ও মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী, প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টদের রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার দেখানো সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

মাদারীপুরের ডাসারে অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিকের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৯ মে) বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ স্থানীয়রা।

লিখিত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উচ্চবিদ্যালয়ে গত ১৭ মে, শুক্রবার প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় বিদ্যালয়টির সভাপতি তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকুরী দেওয়ার জন্য মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে লোক দেখানো লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে জুয়েল রায় নামের একজন প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

অর্থ লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাকুরীপ্রার্থী ৯ জনের পরিবর্তে মাত্র ৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

অভিযোগ পত্র থেকে আরও জানা যায়, চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিক ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগের রাতে জুয়েল রায়কে প্রশ্ন সরবরাহ করে।

প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থী দীপংকর হালদার বলেন, ‘গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাতে শশিকর কলেজের পশ্চিম পাশে নির্জন জায়গায় উত্তম হালদারের উপস্থিতি বিমল মল্লিক আমার কাছে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তা নাচক করে দেই। টাকার বিনিময়ে চাকুরী নিতে আমি অস্বীকার করি।’

এই বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য অরুন মল্লিক বলেন, ‘চলবল স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে ৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ৫ জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ডের উপরে আস্থা হারিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এতেই প্রমাণ হয় এই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। এই নিয়োগের অনিয়মগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষা করবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা শচীন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, ‘স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম চলছে। বর্তমান সভাপতি তিনি তার নিজের ইচ্ছামতন এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কখন কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তা ম্যানেজিং কমিটির অনেক সদস্যকে অবহিতই করেন না। আমি মনে করি, এই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।’

অভিযোগের বিষয়ে নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল মল্লিক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এই বিষয়ে মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিব উল্লাহ খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ আমার কাছে দেয়, তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।’

রফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সাতক্ষীরায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
সাতক্ষীরায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর
ছবি : খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালী ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/

দুই বোনকে হাতুড়িপেটা: খবরের কাগজে সংবাদে বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
দুই বোনকে হাতুড়িপেটা: খবরের কাগজে সংবাদে বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেতা
আলিফ ইয়ামান পায়েল

পাবনার চাটমোহরে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৮ মে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ‘যমজ বোনদের পিটিয়ে আহতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে খবরের কাগজ। সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

রবিবার (১৯ মে) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে পাবনার চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। 

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পায়েলের ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংসদ পায়েলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে।’

গত ১৭ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাটমোহর পৌরসভার উথুলি খামারপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী যমজ বোন মিমিয়া ও লামিয়াকে রড এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল ও তার বাবা-মা। পরে গুরুতর আহত দুই বোনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আহতদের বাবা রেজাউল করিম রিজু বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর রাতেই পায়েলের বাবা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন পায়েল ও তার মা। 

পার্থ হাসান/জোবাইদা/অমিয়/

রাজশাহী স্বাচিপের সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
রাজশাহী স্বাচিপের সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা
স্বাচিপের রাজশাহী ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রাজশাহী ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডা. এফএমএ জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

ডা. অর্ণা জামান আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

আর স্বাচিপ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার পদে সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডা. রাকিব সাদিক নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। 

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। 

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। স্বাচিপ রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তফা আলম নান্নু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক (সাগর)। 

সঞ্চালনা করেন স্বাচিপ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।

এনায়েত করিম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই করে এসআই হাতেনাতে ধরা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই করে এসআই হাতেনাতে ধরা
স্বর্ণ ছিনতাইকারী এসআই আমিনুল ইসলাম (গোল চিহ্নিত)। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোর্সসহ পুলিশের এক এসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার এসআই আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রামের খুলশী থানায় কর্মরত রয়েছেন। আরেকজন হলেন সোর্স মো. জাহেদ। 

লোহাগড়া থানার আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল মালেক তার ভাইকে নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। লোহাগড়া যাওয়ার পথে নগরের টাইগার পাস এলাকায় তাদের গাড়ি থামিয়ে চেক করেন এসআই আমিনুল ইসলাম। সেখান থেকে আবদুল মালেককে নিয়ে নগরের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার হয়ে চলে আসেন বহাদ্দারহাট এলাকার এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে। আসার পথে মালেকের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের চুড়ি নিয়ে নেন এসআই। কিন্তু বহাদ্দারহাট এলাকায় এসে ৩টি চুড়ি ফেরত দিয়ে বলেন চলে যাও। 

ষোলশহর ২নম্বর গেট এলাকায় আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের ওপরে ওই ঘটনায় সময় ভুক্তভোগী প্রবাসী আবদুল মালেক খবরের কাগজকে বলেন, গত ১২ মে আমি সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছি। আজ (রবিবার) আমার ছোট ভাই এসেছে। আমার ভাইসহ আমি আসার পথে সিভিলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি করার কথা বলেন এসআই আমিনুল। আমাকে সিএনজি গাড়ি থেকে নামিয়ে অপর একটি সিএনজিতে তুলে নেন। নগরের টাইগার পাস এলাকা থেকে আমাকে বহদ্দারহাট নিয়ে আসেন। সেখানে আমাকে মারধরের হুমকি ও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। তখন আমি আমার কাছে স্বর্ণের বিষয়ে থাকা সব ডকুমেন্ট দেখাই। এরপর রাজস্ব পরিশোধের কাগজটি নিয়ে নেন। পরে আমাকে তিনটি স্বর্ণের চুড়ি ফেরত দিয়ে চলে যেতে বলেন। আমি বলেছি আমাকে থানায় নিয়ে যান, যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে যান। আমি চলে যাব কেন? চলে গেলে আমার স্বর্ণ ফেরত দেন। কিন্তু আমাকে স্বর্ণ ফেরত না দিয়ে তারা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে সিএনজি গাড়ি টান দেন। পরে আমি চিৎকার দেই চোর চোর বলে। এ সময় অপর একটি গাড়িতে করে আমি তাদের পিছু নেই। এ সময় আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি যাত্রীরা মিলে তাদের ধরি। তারা পালাতে চেয়েছিল। সাধারণ মানুষ তাদের ধরেছে ফ্লাইওভারের ওপরে। এরপর পিবিআইয়ের একজন পুলিশ এসে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। পরে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। 

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমান চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ওই এসআইকে তার এক সোর্সসহ আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের ওপর থেকে আটক করেছি। সে কাজটি ভালো করেনি। সিভিলে অভিযান চালানোর কোনো নিয়ম নেই। আর স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়া বড় অন্যায় হয়েছে। ঘটনাস্থল যেহেতু খুলশী থানা এলাকায়, তাই দুজনকে খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘পুলিশের এক এসআইসহ দুজন খুলশী থানায় আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী মামলা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।