![নারায়ণগঞ্জে রাজস্ব আদায় ১০ কোটি টাকা](uploads/2023/11/30/1701335385.Narayanganj.jpg)
নারায়ণগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেই শেষ হচ্ছে আয়কর মেলা। মাসব্যাপী জেলা আয়কর অফিসে করদাতা ও রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্য আয়োজিত এ মেলার শেষ হবে আজ। এবার আয়কর মেলায় পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। সেবা নিয়েছে ৪২ হাজার ৯২৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
গতকাল কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জে সকাল থেকে করদাতার ভিড় দেখা যায় মেলাতে। ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গেই তারা আয়কর দিতে এসেছেন। করদাতাদের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছেন আয়োজকরা। কর কর্মকর্তাদের সেবায় অনেকটা খুশি সেবাগ্রহীতারা। তবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক ব্যবসায়ী করতাদা নানা সংকটে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের তথ্যমতে, এখানে চলতি ২০২২৩-২৪ অর্থবছরে ১২০০ কোটি টাকা আয়কর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে মাসব্যাপী এ মেলাতেই আদায় করা হয়েছে ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মেলায় করদাতার এসেছেন ৪২ হাজার ৯২৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে রিটার্ন জমা করেছেন ২৯ হাজার ২৯১ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত করদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৭৬৯ জন।
এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের আয়কর ও রিটার্নের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল। ওই অর্থবছরে ৯৫০ কোটি টাকা লক্ষ্য ধরা হলেও রাজস্ব আদায় করা হয় ১ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। সেরা করদাতাদের দেওয়া হয় পুরস্কার। প্রতিবারের মতো এবারও সেরা ভ্যাটদাতা ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে সেরা পুরস্কার।
কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের উপকর কমিশনার (সদর দপ্তর প্রশাসন) সোনালী বিশ্বাস জানান, মাসব্যাপী মেলায় নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের করদাতারা এসেছেন। মেলায় তাদের জন্য সুবিধাধার্থে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করেছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোথায় কী করতে হবে। আলাদা আলাদা সেবার জন্য অনেক বুথ বানানো হয়েছে। সেবাগ্রহীতাদের সব ধরনের ভোগান্তি এড়ানোর লক্ষ্য রেখেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা প্রত্যাশা করি, গতবারের মতো এবারও কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হবে।
সোনালী বিশ্বাস জানান, আশা করছি আজ মেলার শেষ দিনে করতাদাতার ভিড় আরও বেশি থাকবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এ কর অঞ্চলের সেরা করদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে।
এদিকে কর অঞ্চলের সেবায় খুশি সেবাগ্রহীতারা। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে গতকাল দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ‘এখানে আয়কর প্রদানে তেমন কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মেলায় অনেক বুথ থাকায় যেকোনো বুথে গিয়ে সেবা মিলছে। ফলে ভোগান্তি দূরে থাক, সেবা পেয়ে আমরা খুশি।’ তবে রাজনৈতিক এ পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল ও অবরোধের কারণে অনেকে শেষ দিকে আয়কর অফিসে রিটার্ন দাখিল করতে আসছেন বলে জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে যুদ্ধেও কারণে বিভিন্ন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান সংকটে পড়ছে বলে দাবি করেন করতাদারা। বলেন, আয় কমে এলে কর প্রদানও কমে আসবে।