পঞ্চম অধ্যায়
পদার্থ ও শক্তি
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: সৌরশক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর সব শক্তির মূল উৎস সূর্য। সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে। সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তা সূর্যের উৎপন্ন শক্তির ২০০ কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই সৌরশক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার আমাদের প্রতিদিনের নানারকম কাজের চাহিদা মেটায়। বর্তমানে সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে বাষ্প উৎপাদনের মাধ্যমে টারবাইন ও জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া রান্নার কাজে সৌরচুল্লি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সৌরশক্তি বারবার ব্যবহার করা যাবে। কখনোই শেষ হবে না। তাই সৌর শক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন: লোডশেডিং কী? বিদ্যুৎশক্তির অপচয় রোধে তোমার করণীয় কী?
উত্তর: বিদ্যুতের ঘাটতি কমানোর জন্য পরিকল্পনা করে বিভিন্ন জায়গায় কখনো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ রাখা হয়। একে লোডশেডিং বলে।
বিদ্যুৎশক্তি অপচয় রোধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যায়:
১. অকারণে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখা যাবে না।
২. প্রয়োজন শেষ হলে সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ করে দিতে হবে।
৩. বিনা প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক পাখা ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালিয়ে রাখা যাবে না। অর্থাৎ সব রকমের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎশক্তির অপচয় রোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন: বায়ুকে পদার্থ বলার পাঁচটি কারণ লিখ।
উত্তর: বায়ু একটি পদার্থ। কারণ-
১. বায়ুর ওজন আছে, ২. বায়ুর আয়তন আছে,
৩. বায়ু স্থান দখল করে, ৪. বায়ু বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে,
৫. তাপ প্রয়োগে বায়ুর অবস্থার পরিবর্তন হয়।
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে শক্তি সংরক্ষণ করতে পারি?
উত্তর: আমরা নিম্নোক্ত উপায়ে শক্তি সংরক্ষণ করতে পারি-
১. ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক বাতি এবং যন্ত্রপাতিগুলো বন্ধ রাখা।
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ধরে রেফ্রিজারেটরের দরজা খোলা না রাখা।
৩. বাড়িতে ছায়ার ব্যবস্থা করার জন্য গাছ লাগানো।
৪. বাতি না জ্বালিয়ে পর্দা সরিয়ে দিনের আলো ব্যবহার করা।
৫. গাড়ির বদলে যথাসম্ভব হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
প্রশ্ন: শক্তির রূপান্তরের পাঁচটি উদাহরণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: এক প্রকার শক্তিকে অন্য প্রকার শক্তিতে পরিবর্তন করা সম্ভব। শক্তির এ পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।
শক্তি রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ: ১. যান্ত্রিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: হাতে হাত ঘষলে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. তাপশক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: স্টিম ইঞ্জিনে তাপের সাহায্যে স্টিম উৎপন্ন করে রেলগাড়ি চালানো হয়।
৩. আলোকশক্তি থেকে তাপশক্তি রূপান্তর: হারিকেনের চিমনিতে হাত দিলে গরম অনুভূত হয়। এখানে আলোকশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
৪. শব্দশক্তি থেকে তড়িৎশক্তি রূপান্তর: টেলিফোন বা রেডিওর প্রেরক যন্ত্রে শব্দশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৫. বিদ্যুৎশক্তি থেকে তাপশক্তি রূপান্তর: বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, হিটার প্রভৃতিতে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
লেখক: শিক্ষক
ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
জাহ্নবী