ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

পদার্থ ও শক্তি অধ্যায়ের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি, বিজ্ঞান

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
পদার্থ ও শক্তি অধ্যায়ের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি, বিজ্ঞান

পঞ্চম অধ্যায়
পদার্থ ও শক্তি

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: সৌরশক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর সব শক্তির মূল উৎস সূর্য। সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে। সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তা সূর্যের উৎপন্ন শক্তির ২০০ কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই সৌরশক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার আমাদের প্রতিদিনের নানারকম কাজের চাহিদা মেটায়। বর্তমানে সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে বাষ্প উৎপাদনের মাধ্যমে টারবাইন ও জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া রান্নার কাজে সৌরচুল্লি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সৌরশক্তি বারবার ব্যবহার করা যাবে। কখনোই শেষ হবে না। তাই সৌর শক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন: লোডশেডিং কী? বিদ্যুৎশক্তির অপচয় রোধে তোমার করণীয় কী?
উত্তর: বিদ্যুতের ঘাটতি কমানোর জন্য পরিকল্পনা করে বিভিন্ন জায়গায় কখনো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ রাখা হয়। একে লোডশেডিং বলে।
বিদ্যুৎশক্তি অপচয় রোধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যায়:
১. অকারণে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখা যাবে না।
২. প্রয়োজন শেষ হলে সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ করে দিতে হবে।
৩. বিনা প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক পাখা ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালিয়ে রাখা যাবে না। অর্থাৎ সব রকমের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎশক্তির অপচয় রোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন: বায়ুকে পদার্থ বলার পাঁচটি কারণ লিখ।
উত্তর: বায়ু একটি পদার্থ। কারণ-
১. বায়ুর ওজন আছে, ২. বায়ুর আয়তন আছে,
৩. বায়ু স্থান দখল করে, ৪. বায়ু বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে,
৫. তাপ প্রয়োগে বায়ুর অবস্থার পরিবর্তন হয়।
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে শক্তি সংরক্ষণ করতে পারি?
উত্তর: আমরা নিম্নোক্ত উপায়ে শক্তি সংরক্ষণ করতে পারি-
১. ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক বাতি এবং যন্ত্রপাতিগুলো বন্ধ রাখা।
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ধরে রেফ্রিজারেটরের দরজা খোলা না রাখা।
৩. বাড়িতে ছায়ার ব্যবস্থা করার জন্য গাছ লাগানো।
৪. বাতি না জ্বালিয়ে পর্দা সরিয়ে দিনের আলো ব্যবহার করা।
৫. গাড়ির বদলে যথাসম্ভব হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
প্রশ্ন: শক্তির রূপান্তরের পাঁচটি উদাহরণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: এক প্রকার শক্তিকে অন্য প্রকার শক্তিতে পরিবর্তন করা সম্ভব। শক্তির এ পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।
শক্তি রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ: ১. যান্ত্রিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: হাতে হাত ঘষলে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. তাপশক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: স্টিম ইঞ্জিনে তাপের সাহায্যে স্টিম উৎপন্ন করে রেলগাড়ি চালানো হয়।
৩. আলোকশক্তি থেকে তাপশক্তি রূপান্তর: হারিকেনের চিমনিতে হাত দিলে গরম অনুভূত হয়। এখানে আলোকশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
৪. শব্দশক্তি থেকে তড়িৎশক্তি রূপান্তর: টেলিফোন বা রেডিওর প্রেরক যন্ত্রে শব্দশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৫. বিদ্যুৎশক্তি থেকে তাপশক্তি রূপান্তর: বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, হিটার প্রভৃতিতে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

লেখক: শিক্ষক
ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

জাহ্নবী

Unit-8, Lesson-4-এর লেসনভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, পর্ব-২, HSC- ইংরেজি ১ম পত্র

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
Unit-8, Lesson-4-এর লেসনভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, পর্ব-২,  HSC- ইংরেজি ১ম পত্র

Read the passage and answer question B.

My name is Amerigo. I am 13 years old and I live on the street, alone. My mother, who is separated from my father, doesn’t want me. She told me to go away. Now she is married to another man. My father lives very far away. I want to go to him, but he won’t take me either. I begged him to send me some money so that I could buy a bus ticket. I am still waiting. He hasn’t answered. The streets are now my home. Sometimes I find work. I used to collect trash and sell it to a vendor. I stopped doing that after I had a serious infection and a doctor told me to stay away from the trash dump. Once I worked for an ice cream shop owner and sold ice cream on the beach. But I got no money in return. The owner of the shop gave me something to eat and let me sleep in his hut at night. The work was difficult and painful. The ice cream box was quite heavy when it was full. I had to walk for hours, offering my ice cream to whoever wanted to buy. There were days when I could not even sell one ice cream. In a way, I am lucky because I am alive. My friends who work sorting rubbish in dumps often suffer from serious diseases. One of them was recently killed after he fell into a hole that opened up in the pile of trash. Many of us work for 10 to 12 hours and get so little in return that we can’t even buy food.

B. Answer the following questions.
(a) What do you know about Amerigo’s familial condition?
Ans: Amerigo is a street child who is deprived of the company of his parents. His parents have been separated from each other and live far away from Amerigo. 
(b) What did he request his father to do? 
Ans: As Amerigo wanted to go to his father, he requested his father to send him some money so that he could buy a bus ticket, but his father did not respond at all.
(c) Why does Amerigo think that streets are his home? 
Ans: Amerigo thinks that streets are his home because he has no home to live in, no family to live with. As he is deprived of food and shelter, he considers streets his home.
(d) What do you know about Amerigo’s work experience? 
Ans: Amerigo’s work experience was very painful; sometimes he would find work. He used to collect trash and sell it to a vendor, but he stopped doing that after he had a serious infection and a doctor told him to stay away from the trash dump. Once he worked for an ice cream shop owner and sold ice cream on the beach but for only meagre wages.
(e) Why does Amerigo consider himself lucky? 
Ans: Amerigo considers himself lucky because he is alive. His friends who work sorting rubbish in dumps often suffer from serious diseases. One of them was killed after he fell into a hole that opened up in a pile of trash. Many of them work for 10 to 12 hours and get very little in return that they cannot even buy food.

মো. মনসুর আলম, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান,
ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা/ আবরার জাহিন

মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি বাংলা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি বাংলা

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অবস্থিত? এই এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পেছনে কী কারণ তা লেখ।

উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলাব ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। প্রাচীন নিদর্শনপ্রাপ্তির ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এখানে খননকাজ শুরু হয়। খনন করে পাওয়া যায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ-প্রাচীর, ইটের স্থাপত্য, মুদ্রা, গয়না, পোড়ামাটির ফলক, ধাতব বস্তু, অস্ত্র ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ফলে এই এলাকাটি বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রশ্ন: উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কীভাবে মানুষের নজরে এল?

উত্তর: বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলাব ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত উয়ারী-বটেশ্বর। উয়ারী ও বটেশ্বর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এই দুই গ্রামের মানুষ বিভিন্ন সময় মাটি খনন করতে গিয়ে প্রায়ই পেত রৌপ্যমুদ্রা, প্রাচীন শহরের রাস্তা-গলি-বন্দরের পোড়ামাটি, মূল্যবান পাথর ও কাচের পুঁতি।
উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো প্রথম মানুষের সামনে পরিচিত করেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান ও তার ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠান। পরবর্তী সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্নতাত্ত্বিক এই এলাকাকে বিশেষভাবে পরিচিত করেন। এভাবেই উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো মানুষের নজরে আসে।

প্রশ্ন: কোন কোন নিদর্শন থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের সময়কাল জানা যায়?

উত্তর: ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকরা মাটি খনন করার সময় একটি পাত্রে কিছু মুদ্রা পান। এগুলো ছিল বঙ্গদেশের ও ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্য মুদ্রা। ১৯৫৫ সালে বটেশ্বর গ্রামের শ্রমিকরা ত্রিকোণকার ও একমুখ চোখা ভারী লোহার দুটি পিণ্ড পায়। ১৯৫৬ সালে উয়ারী গ্রামে মাটি খননকালে হাবিবুল্লাহ পাঠান ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রার ভাণ্ডার পান। ১৯৭৪-৭৫ সালের পর থেকে হাবিবুল্লাহ পাঠান উয়ারী-বটেশ্বরের প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন সংগ্রহ করেন। প্রাচীন নিদর্শনপ্রাপ্তির ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালে এখানে খননকাজ শুরু হয়। খনন করে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ-নগর, ইটের স্থাপত্য, বন্দর, রাস্তা, গলি, পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান পাথর, পাথরের বাটখারা, কাচের পুঁতি, মুদ্রাভাণ্ডার প্রভৃতি নিদর্শন পাওয়া যায়। এসব নিদর্শন থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের সময়কাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: উয়ারী-বটেশ্বর এলাকা সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা যা ধারণা করেছেন তা বর্ণনা করো।

উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের ধারণা, সে সময় ব্রহ্মপুত্র নদ হয়ে বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সুদূর রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত ‘উয়ারী-বটেশ্বর’ রাজ্যের যোগাযোগ ছিল। উয়ারী-বটেশ্বরের আশপাশে প্রায় ৫০টি পুরোনো জায়গা পাওয়া গেছে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম, যেমন- রাঙ্গার টেক, সোনারুতলা, কেন্দুয়া, মরজাল, টঙ্গীরাজার বাড়ি, মন্দিরভিটা, জানখাঁরটেক ও টঙ্গীরটেকে প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়। দুর্গ-প্রাচীর, ইটের স্থাপত্য, মুদ্রা, গয়না, ধাতব বস্তু, অস্ত্র থেকে শুরু করে জীবন ধারণের যত প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে তা থেকে সহজেই বলা যায়, এখানকার মানুষ যথেষ্ট সভ্য ছিল। এই স্থানের বসতি এলাকাটি সম্ভবত রাজ্যের রাজধানী ছিল। 

গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা/ আবরার জাহিন

সমাজকর্মের শাখা অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, পর্ব-২, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
সমাজকর্মের শাখা অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, পর্ব-২, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৩

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
বুশরা নবম শ্রেণির ছাত্রী। নবম শ্রেণিতে তার পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। শিক্ষক বিষয়টি বুশরার বাবাকে অবহিত করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে একটি সমাজসেবা এজেন্সির শরণাপন্ন হন। কর্মকর্তা সমস্যাটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হন। 
ক. ক্লিনিক্যাল সমাজকর্ম কী?
খ. প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে সমাজকর্মের কোন শাখার মাধ্যমে বুশরার সমস্যার সমাধান করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করে।
ঘ. উদ্দীপকে অনুশীলন করা সমাজকর্মের শাখাটির কার্যকারিতা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন করো।

উত্তর: ক. ক্লিনিক্যাল সমাজকর্ম হলো মানসিক ও সামাজিক সামঞ্জস্যহীনতা, বিকলাঙ্গতা অথবা আবেগীয় ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার মতো অক্ষমতার প্রতিকার ও প্রতিরোধে সমাজকর্মের তত্ত্ব ও পদ্ধতির পেশাগত অনুশীলন।

খ. প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম হলো সমাজকর্ম অনুশীলনের বিশেষায়িত শাখা, যাতে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সমাজকর্মের জ্ঞান, নীতি, দক্ষতা ও কৌশল প্রয়োগ করা হয়। অর্থাৎ প্রবীণকল্যাণের লক্ষ্যে গৃহীত সমাজসেবা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনায় সমাজকর্মের জ্ঞান, নীতি ও দক্ষতার অনুশীলনই প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম। সমাজকর্ম অভিধানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম হলো সমাজকর্মের বিশেষ অনুশীলনক্ষেত্র, যাতে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মনোসামাজিক চিকিৎসা, প্রবীণদের প্রয়োজনীয় সমাজসেবা কার্যক্রমের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বুশরার সমস্যা সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখা বিদ্যালয় সমাজকর্মের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। পেশাদার সমাজকর্মের একটি প্রায়োগিক শাখা হলো বিদ্যালয় সমাজকর্ম। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনা করা, ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং স্থিতিশীল সমাজ গঠনের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে সমাজকর্মের এ শাখা কাজ করে। মূলত বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানে সহায়তা করা সমাজকর্মের এই শাখার প্রধান লক্ষ্য। সাধারণত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক আচরণ, যেমন- স্কুল পালানো, পারস্পরিক বিদ্বেষমূলক মনোভাব, লেখাপড়ায় অমনোযোগিতা, বিশেষ দৈহিক, আবেগীয় বা আর্থিক সমস্যা প্রভৃতি সমাধানে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কাজ করে।
অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের নিয়মনীতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে না। ফলে একপর্যায়ে Dropout হয় বা ঝরে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কারণে ঝরে পড়ার হাত থেকে সমাজকর্মীরা উদ্ধার করে থাকেন।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, বিদ্যালয় সমাজকর্মের মাধ্যমে বুশরার সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

ঘ. শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিয়োজিত সমাজকর্মের একটি বিশেষ শাখা হলো বিদ্যালয় সমাজকর্ম।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও চারিত্রিক দিক বিকাশে সমাজকর্মের এ শাখা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতিকর পারিপার্শ্বিকতার হাত থেকে রক্ষা এবং সেই সঙ্গে স্কুল জীবনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের সফল জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীর গৃহ, স্কুল ও কমিউনিটিতে এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলো শিক্ষার্থীর স্কুল পরিবেশে খাপ খাওয়াতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় বিদ্যালয় সমাজকর্মী সাহায্য করে থাকেন। সমস্যাগ্রস্ত এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিকাশে এবং সামাজিক পরিবেশগত তথ্যাদি সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিদ্যালয় সমাজকর্মীরা স্কুল ও সামাজিক এজেন্সির মধ্যে সংযোগকারী ভূমিকা পালন করেন। দুর্বল, অমনোযোগী ও কম মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের যথাযথ যত্ন করা শিক্ষক, অভিভাবক কারও পক্ষে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সমাজকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বোপরি প্রতীয়মান হয়, উদ্দীপকে অনুশীলন করা সমাজকর্মের শাখাটির কার্যকারিতা বাংলাদেশে অনন্য।

কামরুন নাহার রুনু, প্রভাষক, সমাজকর্ম, শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা/ আবরার জাহিন

প্রোগ্রামিং ভাষা অধ্যায়ের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
প্রোগ্রামিং ভাষা অধ্যায়ের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রোগ্রামের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধনের পদ্ধতিকে কী বলে?
ক. কোডিং     খ. ডিকোডিং
গ. এনকোডিং     ঘ. ডিবাগিং
২. সব ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যাকে কী বলা হয়?
ক. ক্যারেক্টার     খ. ইন্টিজার 
গ. রিয়াল     ঘ. ডাবল
৩. ‘Non-volatile’ মেমোরি কোনটি?
ক. র্যাম     খ. ক্যাশ মেমোরি 
গ. ভার্চুয়াল মেমোরি     ঘ. রম
৪. প্রোগ্রামের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে কী বলা হয়?
ক. গন্তব্য প্রোগ্রাম     খ. উৎস প্রোগ্রাম 
গ.ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রাম     ঘ. অনুবাদক প্রোগ্রাম
৫. মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহৃত হয়?
ক. C     খ. Python     গ. Java     ঘ. Algol
৬. কোনটি মধ্যম স্তরের ভাষা?
ক. বেসিক     খ. কোবোল 
গ. ফোরট্রান     ঘ. সি
৭. উচ্চ স্তরের ভাষায় লিখিত পুরো প্রোগ্রামটি একসঙ্গে অনুবাদ করে কোনটি?
ক. অ্যাসেম্বলার     খ. ইন্টারপ্রেটার 
গ. ডিবাগার     ঘ. কম্পাইলার
৮. ডেটা টাইপ ইন্টিজারের ফরম্যাট স্পেসিফায়ার কোনটি?
ক. % c     খ. % i 
গ. % d     ঘ. % if
৯. সি ভাষায় বৈধ চলক কোনটি?
ক. sn@yahoo     খ. Roll107 
গ. abc ny     ঘ. abc-n
১০. একই ধরনের ডেটা সংরক্ষণ করে কোনটি?
ক. ফাংশন     খ. অ্যারে 
গ. পয়েন্টার     ঘ. স্ট্রাকচার

১১. কোন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামের জন্য অনুবাদকের প্রয়োজন হয় না?
ক. Natural     খ. Machine 
গ. High Level     ঘ. Assembly
১২. সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে লিখিত ভাষা কোনটি?
ক. যান্ত্রিক     খ. অ্যাসেম্বলি 
গ. উচ্চ স্তরের     ঘ. চতুর্থ প্রজন্মের
১৩. প্রোগ্রাম কোডিংয়ের পূর্ববর্তী ধাপ কোনটি?
ক. সমস্যা বিশ্লেষণ     খ. প্রোগ্রাম ডিজাইন 
গ. প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন     ঘ. প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ
১৪. কোনটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা?
ক. BASIC     খ. HTML 
গ. C     ঘ. Java
১৫. ইনহেরিটেন্স কোন প্রোগ্রামিং মডেলের বৈশিষ্ট্য?
ক. স্ট্রাকচার্ড প্রোগ্রামিং 
খ. অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং 
গ. ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং 
ঘ. ইভেন্ট ড্রাইভেন প্রোগ্রামিং
১৬. সি ভাষায় float ডেটা টাইপ কত বিটের?
ক. 16     খ. 32 
গ. 48     ঘ. 64
১৭. কোনটি লজিক্যাল অ্যান্ড অপারেটরের চিহ্ন?
ক. 11     খ. ! 
গ. &&     ঘ. = =
১৮. উৎস প্রোগ্রামকে একত্রে বস্তু প্রোগ্রামে রূপান্তর করে কোনটি?
ক. কম্পাইলার     খ. ইন্টারপ্রেটার 
গ. লিংকার     ঘ. অ্যাসেম্বলার
১৯. মেশিন ভাষায় অনূদিত হয় কোনটি?
ক. অপারেন্ড     খ. লেবেল 
গ. কমেন্ট     ঘ. অপারেশন কোড
২০. কোনটি চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা?
ক. BASIC     খ. PASCAL 
গ. INTYELLECT     ঘ. CSL

২১. প্রোগ্রামে কোন ধরনের ভুলের জন্য কম্পিউটার বার্তা দেয়?
ক. সিনট্যাক্স ভুল     খ. লজিক্যাল ভুল 
গ. ডেটা ভুল     ঘ. যেকোনো ভুল
২২. সি ভাষায় সমজাতীয় ডেটা সংরক্ষণের জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক. ফাংশন     খ. পয়েন্টার 
গ. স্ট্রাকচার     ঘ. অ্যারে
২৩. প্রোগ্রাম রচনার জন্য প্রয়োজন—
i. সমস্যা শনাক্তকরণ 
ii. প্রোগ্রাম বাগ করা 
iii. প্রোগ্রাম ডিবাগিং করা 
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii     খ. i. ও iii 
গ. ii. ও iii     ঘ. i, ii ও iii
২৪. কোন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে?
ক. মেশিন ভাষা     
খ. উচ্চ স্তরের ভাষা 
গ. অ্যাসেম্বলি ভাষা     
ঘ. চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা
২৫. ‘গতি বেশি, কিন্তু ধারণক্ষমতা কম’ এ রকম মেমোরি কোনটি?
ক. ক্যাশ লেভেল-১     খ. রেজিস্টার 
গ. ভার্চুয়াল মেমোরি     ঘ. র্যাম
২৬. 4GL বলতে কী বোঝায়?
ক. অতি উচ্চ স্তরের ভাষা 
খ. উচ্চ স্তরের ভাষা 
গ. মধ্যম স্তরের ভাষা 
ঘ. নিম্ন স্তরের ভাষা
২৭. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্টে প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন প্রতীকটি ব্যবহৃত হয়?
ক. বৃত্ত     খ. সামান্তরিক 
গ. আয়তক্ষেত্র     ঘ. রম্বস
২৮. কোনটিতে কম মেমোরি ও রিসোর্স নিয়ে সহজে প্রোগ্রাম লেখা যায়?
ক. অ্যাকসেস     খ. ওরাকল 
গ. সি     ঘ. পাইথন
২৯. C ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে কী কোড বলা হয়?
ক. আসকি     খ. সোর্স 
গ. অবজেক্ট     ঘ. ইউনি
৩০. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট তৈরির পরবর্তী ধাপ কোনটি?
ক. প্রোগ্রাম পরীক্ষা করা 
খ. কোড লেখা 
গ. সমস্যা সমাধান বর্ণনা 
ঘ. প্রোগ্রাম রিলিজ করা

উত্তর: ১.ঘ ২.খ ৩. ঘ ৪. খ ৫. খ ৬. ঘ ৭. ঘ ৮.গ ৯. খ ১০. খ ১১. খ ১২. খ ১৩. খ ১৪. ঘ ১৫. খ ১৬. খ ১৭.গ ১৮.ক ১৯. ঘ ২০.গ ২১.ক ২২. ঘ ২৩. খ ২৪.ক ২৫. খ ২৬.ক ২৭.গ ২৮.গ ২৯. খ ৩০. খ।

এস কে এম মোজাম্মেল হক, সহকারী অধ্যাপক,
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা/আবরার জাহিন

মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম শ্রেণির বাংলা

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলতে কী বোঝ? বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সম্পর্কে যা জানো লেখ।

উত্তর: প্রত্ন শব্দের অর্থ অতি পুরোনো বা প্রাচীন। এই সম্পর্কিত যে তত্ত্ব তাকে বলা হয় প্রত্নতত্ত্ব। প্রাচীনকালের জিনিসপত্র, মুদ্রা, অট্টালিকা ইত্যাদিকে বলা হয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হচ্ছে- ময়নামতি, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, উয়ারী-বটেশ্বর প্রভৃতি। নিচে এ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
ময়নামতি: বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো প্রাচীন নগরীর অবশিষ্টাংশ। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো- কোটিলা মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া, চারপত্র মুড়া, শালবন বিহার ইত্যাদি।
পাহাড়পুর: নওগাঁ জেলার একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাপ্ত প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে সোমপুর বিহার, সত্যপীর ভিটা উল্লেখযোগ্য।
উয়ারী-বটেশ্বর: এটি বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে- প্রাচীন দুর্গ-প্রাচীর, ইটের স্থাপত্য, মুদ্রা, গয়না, পোড়ামাটির ফলক, ধাতব বস্তু, অস্ত্র ইত্যাদি।

প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ লেখ।
উত্তর:    

প্রদত্ত শব্দ     সমার্থক শব্দ
    মাটি     মৃত্তিকা, ভূমি
    প্রাচীন     পুরোনো, আদি
    নদী     তটিনী, প্রবাহিনী, স্রোতস্বিনী
    ভূপৃষ্ঠ     ভূমি, ধরা
    সুন্দর     মনোরম, সুশ্রী
    বড়     বিশাল, বৃহৎ
    শ্রমিক     মজুর, কামলা
    গ্রাম     গঞ্জ, গাঁ
    গড়া     তৈরি, নির্মাণ
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদ আগে কোথা দিয়ে প্রবাহিত হতো, আর এখন কোথায় প্রবাহিত হয়?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদ আগে বেলাবোর কাছে দক্ষিণ দিকে গিয়ে প্রাচীন সোনারগাঁ নগরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো। আর এখন তা নরসিংদী দিয়ে বয়ে গেছে।

গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা/ আবরার জাহিন