![কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা গল্পের বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি-বাংলা](image/lazy-loader.jpg)
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
গল্প: কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
ব্যথায় টনটন করা, খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠা, ঝকমকিয়ে ওঠা।
উত্তর: ব্যথায় টনটন করা- খুব ব্যথা করা। সুচবেঁধা রাজার শরীর ব্যথায় টনটন করত দিনরাত।
খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠা- মন আনন্দে ভরে ওঠা। রাখাল বন্ধুর বাঁশির সুর শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠত।
ঝকমকিয়ে ওঠা- ঝলমল করা। শীতের সকালে সূর্য উঠলেই চারপাশ ঝকমকিয়ে ওঠে।
প্রশ্ন: রাজপুত্র কোথায় বসে রাখাল বন্ধুর বাঁশি শুনত?
উত্তর: রাজপুত্র গাছতলায় বন্ধুর গলা জড়িয়ে বসে সেই বাঁশির সুর শুনত।
প্রশ্ন: তোমার মা বাড়িতে কী ধরনের পিঠা বানায় লেখ।
উত্তর: আমার মা বাড়িতে অনেক ধরনের পিঠা বানায়। যেমন- কুলি পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠা, নকশি পিঠা, ক্ষীর, খেজুরের পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?
উত্তর: অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে হয়তো রাজার শরীর থেকে সুচ বেরিয়ে আসত না। রাজা মারা যেতে পারত। কাঞ্চনমালার দুঃখের দিন শেষ হতো না।
প্রশ্ন: রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?
উত্তর: রাজপুত্রের সঙ্গে সেই রাজ্যের রাখাল ছেলের খুব ভাব ছিল। দুই বন্ধু পরস্পরকে খুব ভালোবাসত। কিন্তু রাজপুত্র যখন রাজা হয় তখন সে তার রাখাল বন্ধুকে ভুলে যায়। রাজপুত্র রাজা হওয়ার পর লোকলস্কর, সৈন্যসামন্তে গমগম করে রাজপুরী। রাজপুরী আলো করে থাকে রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ আর সুখ। এত সুখের মধ্যে রাজপুত্রের রাখাল বন্ধুর কথা মনে পড়ে না। রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায়।
প্রশ্ন: তুমি কি মনে করো অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?
উত্তর: আমি মনে করি অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল। কারণ অচেনা লোকটিই রাজার শরীরের সব সুচ খুলে তাকে মুক্ত করেন।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
সুখ, মায়া, চেনা, স্বাদ, রাজপুত্র, নগর, ভালো, নির্দয়, কান্না, কষ্ট, রানি, দম্ভ, সন্ধ্যা।
উত্তর: প্রদত্ত শব্দ বিপরীত শব্দ
সুখ দুঃখ
চেনা অচেনা
স্বাদ বিস্বাদ
রাজপুত্র রাজকন্যা
নগর গ্রাম
ভালো মন্দ
নির্দয় সদয়
কান্না হাসি
কষ্ট আনন্দ
রানি রাজা
দম্ভ অদম্ভ
সন্ধ্যা সকাল
গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা/ আবরার জহিন