ঢাকা ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি- বাংলা

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
স্মরণীয় যারা চিরদিন প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি- বাংলা

প্রবন্ধ: স্মরণীয় যারা চিরদিন

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: কোন শহিদ বুদ্ধিজীবী প্রথম পাকিস্তানি গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান?
উত্তর: পাকিস্তানি গণপরিষদে প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানান প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। বাংলাদেশ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল। আর তখন একটাই গণপরিষদ ছিল। সেটি হলো পাকিস্তান গণপরিষদ। যেহেতু বাংলাদেশের সব মানুষের ভাষা ছিল ‘বাংলা’, তাই তিনি ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে দাবি জানান যে, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হোক। মূলত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার সেটাই ছিল প্রথম দাবি।
প্রশ্ন: রণদাপ্রসাদ সাহাকে কেন দানবীর বলা হয়?
উত্তর: দানশীলতার জন্য রণদাপ্রসাদ সাহাকে দানবীর বলা হয়। এ দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধনের জন্য তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: দুজন শহিদ সাংবাদিকের নাম বলো ও তারা কোথায় কীভাবে শহিদ হন সে সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শহিদ হওয়া দুজন সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন শহিদ সাবের এবং মেহেরুন্নেসা।
শহিদ সাবের ছিলেন মেধাবী লেখক ও সাংবাদিক। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানি সেনারা আগুন দেয় দেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে। সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন শহিদ সাবের। আগুনে পুড়ে শহিদ হন তিনি। আর সাংবাদিক মেহেরুন্নেসাকেও অল্প বয়সেই প্রাণ দিতে হয় হানাদারদের নির্যাতনে।
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারি?
উত্তর: বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য মানুষ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের সবারই একটা আদর্শ ছিল। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তারা দেশকে ভালোবেসে প্রাণ দান করেছিলেন। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য তারা ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। আমরা তাদের আদর্শ অনুসারে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। তবেই আমাদের পক্ষে তাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?
উত্তর: ১৪ ডিসেম্বরকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে এ দেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানিরা। এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনীর সহায়তায় নানা পেশার অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। সেই শহিদদের স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি।
প্রশ্ন: কোন সময়কে মুক্তিযুদ্ধের কাল বলা হয়?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের কাল। এ ৯ মাস যুদ্ধ করার পর আমরা জয়ী হই, অর্জন করি আমাদের স্বাধীনতা।
প্রশ্ন: ফাঁকা ঘরে সঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করো।
ঘুমন্ত, জাগ্রত, স্বাধীন, পরাধীন, সাধু, অসাধু, লোভী, নির্লোভ, সরল, গরল
ক. ... অবস্থায় সংবাদ অফিসে শহিদ হন শহিদ সাবের।
খ. দেশ ... হওয়ার পরে অনেক বুদ্ধিজীবীর লাশ পাওয়া যায়।
গ. এ দেশের কৃষক ... জীবনযাপন করেন।
ঘ. বাংলাদেশে অনেক ... সন্ন্যাসী বাস করেন।
ঙ. আলবদর বাহিনীর লোকেরা ছিল অসাধু ও ...।
উত্তর: ক. ঘুমন্ত অবস্থায় সংবাদ অফিসে শহিদ হন শহিদ সাবের।
খ. দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেক বুদ্ধিজীবীর লাশ পাওয়া যায়।
গ. এ দেশের কৃষক সরল জীবনযাপন করেন।
ঘ. বাংলাদেশে অনেক সাধু সন্ন্যাসী বাস করেন।
ঙ. আলবদর বাহিনীর লোকেরা ছিল অসাধু ও লোভী।
প্রশ্ন: নিচের অনুচ্ছেদটিতে বিরাম চিহ্ন বসিয়ে লিখ।
সশস্ত্র যুদ্ধে আমাদের মুক্তিসেনারা প্রাণ দেন আর দেশের ভেতর অবরুদ্ধ জীবনযাপন করতে করতে প্রাণ দেন এ দেশের লাখ লাখ মানুষ তারা ছিলেন নানা পেশার- কেউ কৃষক কেউ মজুর কেউ পুলিশ কেউ সৈনিক আরও ছিলেন ছাত্র শিক্ষক সাংবাদিক সরকারি কর্মকর্তা লাখ লাখ নারী পুরুষ শিশুর রক্তে ভেজা আমাদের স্বাধীনতা
উত্তর: সশস্ত্র যুদ্ধে আমাদের মুক্তিসেনারা প্রাণ দেন। আর দেশের ভেতরে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করতে করতে প্রাণ দেন এ দেশের লাখ লাখ মানুষ। তারা ছিলেন নানা পেশার- কেউ কৃষক, কেউ মজুর, কেউ পুলিশ, কেউ সৈনিক। আরও ছিলেন ছাত্র শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা। লাখ লাখ নারী-পুরুষ-শিশুর রক্তে ভেজা আমাদের স্বাধীনতা।

লেখক: সহকারী শিক্ষক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা

জাহ্নবী

মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
মাটির নিচে যে শহর প্রবন্ধের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম শ্রেণির বাংলা

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলতে কী বোঝ? বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সম্পর্কে যা জানো লেখ।

উত্তর: প্রত্ন শব্দের অর্থ অতি পুরোনো বা প্রাচীন। এই সম্পর্কিত যে তত্ত্ব তাকে বলা হয় প্রত্নতত্ত্ব। প্রাচীনকালের জিনিসপত্র, মুদ্রা, অট্টালিকা ইত্যাদিকে বলা হয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হচ্ছে- ময়নামতি, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, উয়ারী-বটেশ্বর প্রভৃতি। নিচে এ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
ময়নামতি: বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো প্রাচীন নগরীর অবশিষ্টাংশ। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো- কোটিলা মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া, চারপত্র মুড়া, শালবন বিহার ইত্যাদি।
পাহাড়পুর: নওগাঁ জেলার একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাপ্ত প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে সোমপুর বিহার, সত্যপীর ভিটা উল্লেখযোগ্য।
উয়ারী-বটেশ্বর: এটি বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে- প্রাচীন দুর্গ-প্রাচীর, ইটের স্থাপত্য, মুদ্রা, গয়না, পোড়ামাটির ফলক, ধাতব বস্তু, অস্ত্র ইত্যাদি।

প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ লেখ।
উত্তর:    

প্রদত্ত শব্দ     সমার্থক শব্দ
    মাটি     মৃত্তিকা, ভূমি
    প্রাচীন     পুরোনো, আদি
    নদী     তটিনী, প্রবাহিনী, স্রোতস্বিনী
    ভূপৃষ্ঠ     ভূমি, ধরা
    সুন্দর     মনোরম, সুশ্রী
    বড়     বিশাল, বৃহৎ
    শ্রমিক     মজুর, কামলা
    গ্রাম     গঞ্জ, গাঁ
    গড়া     তৈরি, নির্মাণ
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদ আগে কোথা দিয়ে প্রবাহিত হতো, আর এখন কোথায় প্রবাহিত হয়?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদ আগে বেলাবোর কাছে দক্ষিণ দিকে গিয়ে প্রাচীন সোনারগাঁ নগরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো। আর এখন তা নরসিংদী দিয়ে বয়ে গেছে।

গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা/ আবরার জাহিন

 

জীবপ্রযুক্তি অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর- এইচএসসি জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
জীবপ্রযুক্তি অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর- এইচএসসি জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে উদ্ভিদের অসংখ্য অণুচারা উৎপাদন করা হলো জীবপ্রযুক্তির একটি দিক। জীবপ্রযুক্তির আরেকটি দিক হলো একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খণ্ডাণু পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবকোষের DNA-এর সঙ্গে জোড়া দিয়ে এতে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটানো।
ক. প্লাজমিড কী?     ১
খ. জিনোম সিকোয়েন্সিং বলতে কী বোঝ?    ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম প্রযুক্তিটির প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।     ৩
ঘ. উদ্দীপকে প্রযুক্তি দুটির মধ্যে কোনটি কৃষি ক্ষেত্রে সর্বাধিক কল্যাণ সাধন করেছে, তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও।     ৪

উত্তর: ক. প্লাজমিড: ক্রোমোসোম বহির্ভূত বৃত্তাকার DNA অণুকে প্লাজমিড বলে। বিজ্ঞানী Laderberg, E.coli ব্যাকটেরিয়া কোষে সর্বপ্রথম প্লাজমিডের সন্ধান পান।

খ. জিনোম সিকোয়েন্সিং: কোনো জীবের DNA-তে নাইট্রোজেন বেসগুলো যে নির্দিষ্ট অনুক্রমে সজ্জিত থাকে তাকে জিনোম সিকোয়েন্স (Genome Sequence) বা DNA সিকোয়েন্স বলে। আর কোনো DNA অণু বা DNA খণ্ডের মধ্যে বিদ্যমান বেস অনুক্রম বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিওটাইড নির্ণয়ের পদ্ধতিকে DNA সিকোয়েন্সিং বা জিনোম সিকোয়েন্সিং বলে।

গ. উদ্দীপকের প্রথম প্রযুক্তিটি টিস্যু কালচার প্রযুক্তি। নিচে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো-


১। মাতৃউদ্ভিদ নির্বাচন বা এক্সপ্লান্ট নির্বাচন: যে উদ্ভিদ থেকে এক্সপ্লান্ট নেওয়া হয় বা হবে সেই উদ্ভিদকে মাতৃউদ্ভিদ বলে। টিস্যু কালচারের জন্য উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন, স্বাস্থ্যবান ও নীরোগ মাতৃ উদ্ভিদ থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত কাণ্ডের শীর্ষমুকুল, পার্শ্বমুকুল এক্সপ্লান্ট হিসেবে অধিক ব্যবহৃত হয়। পর্ব ও পাতার শীর্ষও ব্যবহৃত হয়। সংগৃহীত টিস্যুকে এক্সপ্লান্ট বলে। 
২। কালচার মিডিয়াম বা আবাদ মাধ্যম তৈরি: উদ্ভিদের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য যেসব রাসায়নিক উপাদান প্রয়োজন হয় তার সমন্বয়ে আবাদ মাধ্যম বা কালচার মিডিয়াম বা পুষ্টি মাধ্যম প্রস্তুত করা হয়। বিভিন্ন ধরনের মুখ্য ও গৌণ উপাদান, ভিটামিন, সুক্রোজ (২-৪%), ফাইটোহরমোন, অ্যাগার ইত্যাদির মাধ্যমে এ মিডিয়াম তৈরি করা হয়। 
৩। পুষ্টির মাধ্যমে জীবাণুমুক্তকরণ বা নির্বীজকরণ: পুষ্টির মাধ্যমে সহজেই জীবাণু জন্মাতে পারে। তাই কালচার করার আগে এ মিডিয়ামকে কাচের পাত্রে নিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়। কালচারে ব্যবহৃত এক্সপ্লান্টকেও জীবাণুমুক্ত করা হয়। অটোক্ল্যাভ যন্ত্রে ১২১° সে. তাপমাত্রায় এবং ১৫ পাউন্ড বায়ুচাপে, ২০ মিনিট রেখে এদের জীবাণুমুক্ত করা হয়।
৪। মিডিয়ামে এক্সপ্লান্ট বা টিস্যু স্থাপন: বর্তমানে জীবাণুমুক্ত এক্সপ্লান্টকে ইনোকুলেশন চেম্বার বা ল্যামিনার এয়ার ফ্লো নামক বিশেষ যন্ত্রের সামনে জীবাণুযুক্ত মিডিয়ামে স্থাপন করা হয়, এতে এক্সপ্লান্ট স্থাপনের সময় কাচের পাত্রে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না। এ সময় প্রয়োজনীয় চিমটা, ছুরি, কাঁচি, হাত ইত্যাদি অ্যালকোহল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়। 
৫। ক্যালাস সৃষ্টি ও সংখ্যাবৃদ্ধি: মিডিয়ামে এক্সপ্লান্ট স্থাপনের পর পাত্রটির মুখ বন্ধ করে নির্দিষ্ট আলো (৩,০০০-৫,০০০ লাক্স), তাপমাত্রা (১৭-২০° সে.) ও আপেক্ষিক আর্দ্রতায় (৭০-৭৫%) একটি নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখা হয় এবং ১০ বা ১৪ ঘণ্টা আলোক-অন্ধকার চক্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কয়েকদিন পর টিস্যুটি বারবার বিভাজিত হয়ে একটি বহুকোষীয় মণ্ডে পরিণত হয়। এক্সপ্লান্ট মিডিয়ামে স্থাপন করার পর আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রিত রাখলে যে অবয়বহীন অবিন্যস্ত টিস্যুগুচ্ছ সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যালাস বলে। পরবর্তী সময়ে ৫-৭ দিনের মধ্যে ক্যালাস থেকে অসংখ্য মুকুল বা অনুচারা সৃষ্টি হয়।
৬। মূল উৎপাদকের মাধ্যমে স্থানান্তর ও চারা উৎপাদন: ক্যালাস থেকে উৎপাদিত মুকুলগুলো সাবধানে কেটে নিয়ে মূল উৎপাদনকারী মিডিয়ামে রাখা হয় এবং সেখানে প্রতিটি মুকুলে, মূল সৃষ্টি হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ চারায় পরিণত হয়।
৭। চারা টবে স্থানান্তর: উপযুক্ত সংখ্যক সুগঠিত মূল, কাণ্ড ও পাতাযুক্ত পূর্ণাঙ্গ চারাগাছ কালচার করা পাত্র থেকে সরিয়ে সাবধানতার সঙ্গে টবের মাটিতে স্থানান্তর করা হয় এবং নিয়মিত পরিমিত পানি দেওয়া হয়। এভাবে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারাগাছ উৎপাদন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
৮। প্রাকৃতিক পরিবেশে তথা মাঠ পর্যায়ে স্থানান্তর: টবের চারাগুলোকে মাঝে মাঝে কক্ষের বাইরে রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। চারাগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে সহনীয় ও সবল হয়ে উঠলে সেগুলোকে এক পর্যায়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে মাটিতে লাগানো হয়। আর এভাবেই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে এক্সপ্লান্ট (টিস্যু) থেকে নতুন চারা জন্মানো হয়।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম প্রযুক্তিটি হলো টিস্যু কালচার এবং দ্বিতীয় প্রযুক্তিটি হলো রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি। বর্তমানে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির চেয়ে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিই কৃষিক্ষেত্রে সর্বাধিক কল্যাণ সাধন করছে। কারণ টিস্যু কালচার প্রযুক্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু চারা উৎপাদন করে না, উদ্ভিদের প্রজনন ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। এমনকি উৎপন্ন চারাগুলো হুবহু মাতৃগুণসম্পন্ন হওয়ায় কোনো নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটে না। 
অন্যদিকে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের বহুল আলোচিত ও অত্যন্ত সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। জীবন-জীবিকার প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। যেমন-
১. এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিটামিন A সমৃদ্ধ সুপার রাইস তৈরি করা হয়, যা এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ভাতপ্রিয় লাখ লাখ ছেলেমেয়ের ভিটামিন A-এর অভাব পূরণ করে। 
২. এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধক্ষম জাত উদ্ভাবনে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগ যেমন- হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধী অ্যান্টিজেন সমৃদ্ধ তামাকগাছ, কলেরা প্রতিরোধী আলু, জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টমেটো গাছ ইত্যাদি তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে জীবপ্রযুক্তি। এতে খুব সহজে এসব ট্রান্সজেনিক শাকসবজি, ফলমূল মানুষ গ্রহণ করতে পারে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টি হয়।
৩. রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভিদের নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়েছে। যেমন- রাই জাতীয় সরিষা থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের জিন নিয়ে গমের কয়েকটি প্রকরণ সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪. আমেরিকান তুলা গাছে পোকার আক্রমণের ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ উৎপাদন হ্রাস পেত। এই সমস্যা দূর করতে Bacillus thuringiensis নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে একটি জিন যোগ করার মাধ্যমে ট্রান্সজেনিক তুলা গাছ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে ওই গাছে পোকার জন্য বিষাক্ত প্রোটিন সৃষ্টি হয়। এখন ওই পোকার আক্রমণ ঘটে না, এতে তুলার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। 
৫. উদ্ভিদের গুণগত মান উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়াতে ভেড়ার লোমকে উন্নতমানের করার জন্য সালফার সমৃদ্ধ ক্লোভার ঘাস রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে, যা ভেড়ার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। 
৬. বায়বীয় নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে ‘নিফজিন’ (যা নাইট্রোজেন সংবন্ধনের জন্য দায়ী) E.coli ব্যাকটেরিয়াতে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে। এই নিফ জিনবাহী ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা জমিতে নাইট্রোজেনঘটিত সার প্রয়োগ কমাতে সাহায্য করবে।
৭. রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে বীজহীন ফল সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেমন- জাপানে বীজহীন তরমুজ সৃষ্টি। এ ছাড়া দ্যুতিময় উদ্ভিদ ও ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গরোধী উদ্ভিদ সৃষ্টিতে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৮. Streptomyces গোত্রীয় ব্যাকটেরিয়ায় এক রকম জিন আছে, যা Basta নামক আগাছানাশককে প্রতিরোধ করতে পারে। এই জিন টমেটো, আলু, ভুট্টা ও গমের মধ্যে ঢুকিয়ে Basta প্রতিরোধী শস্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে এসব শস্যক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে আগাছানাশক ছড়িয়ে সেগুলোকে নষ্ট করা যায়, কিন্তু গাছগুলোর ক্ষতি হয় না।
৯. জোনাকি পোকার আলো সৃষ্টিকারী লুসিফেরিন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণকারী জিন রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে তামাকগাছে স্থানান্তরিত করে ওই গাছে জোনাকি পোকার মতো আলো সৃষ্টি করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে অনেক ঘরশোভা উদ্ভিদকে দ্যুতিময় করার চেষ্টা চলছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিই কৃষিক্ষেত্রে সর্বাধিক কল্যাণ সাধন করছে।

এস. এম. মাহবুবুল আলম (তামীম), প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ 
ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, ঢাকা/ আবরার জাহিন

ইবাদত অধ্যায়ের শূন্যস্থান পূরণ করো-পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
ইবাদত অধ্যায়ের শূন্যস্থান পূরণ করো-পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

শূন্যস্থান পূরণ করো 

১৮. মৃত্যু-পরবর্তী -------- বলা হয় আখেরাত।
১৯. আখেরাতের প্রথম ধাপ হলো -----------।
২০. জান্নাত হলো ----------- সুখের স্থান।
২১. আমরা আল্লাহতায়ালার ------ আদায় করব।
২২. শ্বাস ফেলার সময় যে বিষাক্ত বায়ু বের হয় তার নাম -----------।
২৩. শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা ------ গ্রহণ করি।
২৪. পানির অপর নাম -----------।
২৫. জলীয়বাষ্প ----------- ভেসে বেড়ায়।
২৬. আলো, বাতাস, পানি সবই -----------।
২৭. অক্সিজেন ছাড়া কোনো জীব------ পারে না।
২৮. আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ---- জীবিকা দান করেন।
২৯. আল্লাহ ----------- মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিয়ত বিশুদ্ধ পানির জোগান দিয়ে চলেছেন।
৩০. বাসিরুন শব্দের অর্থ -----------।
৩১. সামিউন শব্দের অর্থ সব -----------।
৩২. জুলুম ও অন্যায়কে একজন মুসলিম ------------ করবে। 
৩৩. কাদির শব্দের অর্থ ------------।
৩৪. সর্বশেষ নবীর নাম------------। 
৩৫. ------- চরিত্রে থাকবে আল্লাহতায়ালার ভয়।
৩৬. সৃষ্টিকুলের মধ্যে ----- আল্লাহর কাছে সেরা।
৩৭. সুখে-দুঃখে মহান আল্লাহর ওপর ----- করি।
৩৮. কখনো মিথ্যা সাক্ষ্য দেব না কারণ আল্লাহ সব ------------।
৩৯. যারা আল্লাহ ও রাসুলের কথা মানবে না তাদের অবস্থান হবে -----------।
৪০. ইলাহ শব্দের অর্থ ---।
৪১. আবদ অর্থ অনুগত ---।
৪২. আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলাই ---।
৪৩. ইবাদতে আল্লাহতায়ালা --- হন।
৪৪. ইবাদতের জন্য --- থাকা প্রয়োজন।
৪৫. --- মন শয়তানের কারখানা।
৪৬. --- অবস্থায় কোরআন মজিদ স্পর্শ করা যায় না।
৪৭. পবিত্রতা --- অঙ্গ।
৪৮. অজু, গোসলের জন্য পানি---রাখা প্রয়োজন।
৪৯. পাক-পবিত্র থাকলে শরীর --- থাকে।
৫০. সালাত আদায়ের জন্য --- পবিত্র হওয়া একান্ত আবশ্যক।

উত্তর: ১৮. জগৎকে, ১৯. কবর, ২০. চিরস্থায়ী, ২১. শোকর, ২২. কার্বন ডাই-অক্সাইড, ২৩. অক্সিজেন, ২৪. জীবন, ২৫. বাতাসে, ২৬. আল্লাহর দান, ২৭. বাঁচতে, ২৮. অফুরন্ত, ২৯. পানি চক্রের, ৩০. সর্বদ্রষ্টা, ৩১. শোনেন, ৩২. ঘৃণা, ৩৩. সর্বশক্তিমান, ৩৪. হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৩৫. মুসলিম, ৩৬. মানুষ, ৩৭. ভরসা, ৩৮. শোনেন, ৩৯. জাহান্নাম, ৪০. মাবুদ, ৪১. বান্দা,  ৪২. ইবাদত, ৪৩. খুশি, ৪৪. পাক-পবিত্র, ৪৫. অপবিত্র, ৪৬. অপবিত্র, ৪৭. ঈমানের, ৪৮. পবিত্র, ৪৯. সুস্থ, ৫০. স্থান।

মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মাস্টার ট্রেইনার ও সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুবাগ, রমনা, ঢাকা/আবরার জাহিন

Unit-8, Lesson-4-এর প্রশ্নোত্তর-এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
Unit-8, Lesson-4-এর প্রশ্নোত্তর-এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র

Seen Passage 

Read the given text and answer the questions.
Andy: Hi, Tamal. Can you help me with something?
Tamal: Sure, Andy.
Andy: What are the main tourist spots in Bangladesh? I know about Cox’s Bazar. I visited there last month.
Tamal: Oh. Cox’s Bazar is the most popular tourist spot.
Andy: Ans it’s beautiful! But I’d like to see some new places this time. 
Tamal: Right! There are many places to see in our country. You can go to Sreemangal. You can enjoy the beauty of the tea gardens there. From there you can go to Madhabkunda. There are some wonderful waterfalls there. You can also go to Saint Martin’s Island. It’s a special place.
Andy: What is special about the Saint Martin’s Island?
Tamal: It’s an island in the Bay of Bengal and it’s the only coral island in Bangladesh. You can see coral in different shapes and colours. And the water in the Bay of Bengal is very clean and blue!
Andy: Oh, that sounds wonderful!
Tamal: Yes! It is! you can also see the turtles on the island. The turtles make their nests on the beach and then they lay their eggs in them. You can see many fish, too.
Andy: Wow! Really? Can I go sailing?
Tamal: well, you can take a day cruise. You can go on wooden boats or sea truck. The cruises are exciting and safe. They are a great way to see the Bay.
Andy: Thanks for the information, Tamal.
1. Match the wards in column A with their similar meaning in column B.
Answer:  (a+iv) Popular- appealing to general public.
(b+ii) Main- most important of its kind.
(c+iii) Beautiful- pleasing to senses.
(d+v) Beach- an area of sand.
(e+i) Waterfall- a place where a stream falls from a high place.

আস-সাদিক, সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা/ আবরার জাহিন

৫টি সারমর্ম ও সারাংশ লিখন- এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
৫টি সারমর্ম ও সারাংশ লিখন- এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র
ছবি: সংগৃহীত

সারমর্ম ও সারাংশ

প্রশ্ন: সারমর্ম লেখ-১
দৈন্য যদি আসে আসুক, লজ্জা কিবা তাহে,
মাথা উঁচু রাখিস
সুখের সাথী মুখের পানে যদি নাহি চাহে
ধৈর্য ধরে থাকিস।
রুদ্ররূপ তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে
বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস,
আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে
ঊর্ধ্বে দুহাত বাড়াস।

উত্তর: সারমর্ম: মানব জীবন পুষ্পশয্যা নয়। দুঃখ-দৈন্য যা-ই আসুক, কোনো কিছুতেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং সাহসের সঙ্গে হাসি মুখে এসব মোকাবিলা করতে হবে। জীবনে সব বাধা দূর করার জন্য প্রয়োজনে সংগ্রাম করতে হবে। এর মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত পৌরুষ ও বীর্যবত্তা।

প্রশ্ন: সারমর্ম লেখ-২            
দণ্ডিতের সঙ্গে
দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। যার তরে প্রাণ    
কোনো ব্যথা নাহি পায় কোনো, তারে দণ্ডদান
প্রবলের অত্যাচার। যে দণ্ড বেদনা
পুত্রেরে পার না দিতে, সে কারেও দিও না।
যে তোমার পুত্র নহে, তারও পিতা আছে
মহা অপরাধী হবে তুমি তার কাছে। 

উত্তর: সারমর্ম: মানুষই অপরাধ করে। আর তার ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বিচারক কর্তৃক কোনো অপরাধীকে দণ্ড দেওয়ার আগে নিজেকে দণ্ডিত ব্যক্তির আপনজন ভাবতে হবে। সেই সঙ্গে হতে হবে আন্তরিক সহমর্মী। তাহলেই তা হবে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচার।

প্রশ্ন: সারাংশ লেখ-১
প্রকৃত জ্ঞানের স্পৃহা না থাকলে শিক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তখন পরীক্ষা পাসটাই বড় হয়। এতে পরীক্ষায় পাস করা লোকের অভাব না থাকলেও জ্ঞানীর অভাব দেখা দেয়। পরীক্ষা পাসের মোহ যদি ছাত্রছাত্রীদের উৎকণ্ঠিত রাখে, তবে জ্ঞান নির্বাসনে চলে যায়। পৃথিবীতে অক্ষয় আসন লাভের জন্য তরুণ সমাজকে জ্ঞানের প্রতি উৎসাহী করে তুলতে হবে। পরীক্ষা পাসের মোহ থেকে মুক্ত না হলে তরুণ সমাজের সামনে কখনোই জ্ঞানের দিগন্ত উন্মোচিত হবে না।
উত্তর: সারাংশ: শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য জ্ঞানার্জন। উদ্দেশ্যবিহীন শিক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। জ্ঞানের পিপাসা ছাড়া প্রকৃত জ্ঞানী তৈরি হয় না। পরীক্ষার শৃঙ্খল প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। পরীক্ষার মোহ থেকে মুক্ত করে তরুণদের জ্ঞানচচর্চায় উৎসাহী করতে হবে। 

প্রশ্ন: সারাংশ লেখ-২
অপরের জন্য তুমি তোমার প্রাণ দাও, আমি বলতে চাই নে। অপরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুঃখ তুমি দূর করো। অপরকে একটুখানি সুখ দাও। অপরের সঙ্গে একটুখানি মিষ্টি কথা বলো। পথের অসহায় মানুষটির দিকে একটা করুণ কটাক্ষ নিক্ষেপ করো। তাহলেই অনেক হবে। চরিত্রবান মনুষ্যত্ব সম্পন্ন মানুষ নিজের চেয়ে পরের অভাবে বেশি অধীর হন, পরের দুঃখকে ঢেকে রাখতে গৌরব বোধ করেন।

উত্তর: সারাংশ: পরের জন্য প্রাণ না দিয়েও ছোট ছোট উপকার করে মানুষকে সুখী করা যায়। সুন্দর ব্যবহার ও সহানুভূতির মাধ্যমেই অনেক উপকার করা যায়। ভালো মানুষ অন্যের দুঃখে-বেদনা বোধ করেন। তাই তারা পরের দুঃখ দূর করতে চায়।

প্রশ্ন: সারাংশ লেখ-৩
আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে অর্থের বা বিত্তের ওপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল আগে যাওয়ার নেশায় লক্ষ্যহীন প্রচণ্ড বেগে শুধুই আত্মবিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষ যদি এই মূঢ়তাকে জয় করকে না পারে ,তবে মনুষ্যত্ব কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন একপর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, যেখান থেকে আর হয়তো নামার উপায় নেই, এবার উঠার সিঁড়িটা না খুঁজলেই নয়।
উত্তর: সারাংশ: বর্তমান বিশ্ব অর্থ-বিত্তের ওপর বড় বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখন মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারিত হয় অর্থের মাপকাঠিতে। ফলে এক দুর্নিবার লোভ মানুষকে অর্থের পেছনে তাড়া করে ফিরছে। এতে মনুষ্যত্ব বিপর্যস্ত হচ্ছে। আমাদের এখন দরকার মনুষ্যত্ব অর্জনের পথের সন্ধান লাভ।

মঈনউদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ,
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ/ আবরার জাহিন