![এ সপ্তাহের নতুন বই](uploads/2024/05/17/New-Books-of-the-week-1715947362.jpg)
জ্ঞানসমুদ্রে পিপাশা নিবারণের অন্যতম হাতিয়ার হলো বই। একটি ভালো বই মানুষের জানাশোনার পরিসরকেই বিস্তৃত করে না বরং বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটিয়ে জীবনকে বদলে দিতে পারে। কবি ও ছড়াকার রেদোয়ান মাসুদ বলেছেন, ‘বই হচ্ছে জোনাকি পোকার মতো, চারদিকে অন্ধকার অথচ নিজে জ্বলে থাকে।’...
সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা
যতীন সরকার
শ্রেণি: সাহিত্য ও সাহিত্যিক বিষয়ক প্রবন্ধ
প্রকাশনী: কথাপ্রকাশ, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১৫০; মূল্য: ৪০০ টাকা
যতীন সরকার এ যুগের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদ। অর্ধশতাব্দীরও অধিককাল ধরে তার শানিত লেখনী শুভবুদ্ধিসম্পন্ন পাঠককে সমৃদ্ধ করে এসেছে। সমকালীন বাংলা সাহিত্যের কীর্তিমান এই প্রাবন্ধিকের চিন্তাচর্চার পরিসর সুদূরবিস্তৃত। সংস্কৃতি, সমাজ, সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে তার ক্ষুরধার বিশ্লেষণ পাঠকের সামনে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা তার গভীর মননচর্চার উজ্জ্বল দীপ্তিতে ভাস্বর। এই চিন্তানায়ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে কোনো সংকটমুক্তির পূর্বশর্ত সাংস্কৃতিক জাগরণ। তিনি শুধু সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা করেননি, সে লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত উপায় নির্দেশ করেছেন। রুচির অবক্ষয়ের এ যুগে চিন্তাউদ্দীপক ও প্রসাদগুণসম্পন্ন প্রবন্ধ দুর্লভ হয়ে উঠেছে। শক্তিমান প্রাবন্ধিক যতীন সরকারের প্রবন্ধসম্ভার বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
লোনা মাটির ফসল
মৃত্যুঞ্জয় রায়
শ্রেণি: ফসল ও শাকসবজি চাষ
প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ২৪০; মূল্য: ৬০০ টাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, এ কথা আমরা সবাই জানি। সমুদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ায় তা উপকূলীয় অঞ্চলের নদী-খাল দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে। সমুদ্রের পানি লবণাক্ত। তাই সেসব পানি ও জোয়ারের পানি এসব অঞ্চলের মাটিকে প্লাবিত করার ফলে মাটি দিন দিন অধিক লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর, কৃষি ও পরিবেশের ওপর। লোনা মাটিতে ফসল চাষ করতে হলে আগে লোনা মাটি ও লবণাক্ততার কারণ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কেন লবণাক্ততা বাড়ছে তা জানলে লবণাক্ততা কমানোর কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই গ্রন্থে লোনা মাটি ও লবণাক্ততা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেওয়া হয়েছে, সে মাটির ব্যবস্থাপনা কী হবে, কী কী ফসল চাষ কীভাবে করা যাবে সেসব বিষয়ে আলোচনা আছে এ গ্রন্থে।...
জীব-জন্তু
সুকুমার রায়
শ্রেণি: প্রাণী ও জীবজগৎ (বয়স ৪-৮)
প্রকাশনী: গ্রন্থিক প্রকাশন, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১০৮; মূল্য: ৩৩০ টাকা
গরিলা থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে। গাছের ডালপালার ছায়ায় সে জঙ্গল দিনদুপুরেও অন্ধকার হয়ে থাকে, সেখানে ভালো করে বাতাস চলে না, জীবজন্তুর সাড়াশব্দ নেই। পাখির গান হয়তো কচিৎ কখনো শোনা যায়। তারই মধ্যে গাছের ডালে বা গাছের তলায় লতাপাতার মাচা বেঁধে গরিলা ফলমূল খেয়ে দিন কাটায়। সে দেশের লোকে পারতপক্ষে সে জঙ্গলে ঢোকে না- কারণ গরিলার মেজাজের তো ঠিক নেই, সে যদি একবার ক্ষেপে দাঁড়ায়, তবে বাঘ ভালুক হাতি তার কাছে কেউই লাগে না। বড় বড় শিকারি, সিংহ বা গন্ডার ধরা যাদের ব্যবসা, তারা পর্যন্ত গরিলার নাম শুনলে এগোতে চায় না। পৃথিবীতে প্রায় সবরকম জানোয়ারকেই মানুষ ধরে খাঁচায় পুরে চিড়িয়াখানায় আটকাতে পেরেছে- কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো বড় গরিলাকে মানুষ ধরতে পারেনি। মাঝে দু-একটা গরিলার ছানা ধরা পড়েছে, কিন্তু তার কোনোটাই বেশি দিন বাঁচেনি।...
সুন্দর মনের সর্বনাশে
আদিল মাহমুদ
শ্রেণি: কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশনী: নালন্দা, ঢাকা
প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা ২০২৪
পৃষ্ঠা: ৬৪; মূল্য: ২০০ টাকা
এই কাব্যগ্রন্থের প্রত্যেকটি কবিতা তাসবি দানার মতো এক সুতোয় গাঁথা। কাছাকাছি সময়ে লেখা। এজন্য কবিতাগুলোর আর আলাদাভাবে নাম দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি কবি। তবে বৃষ্টি বা নদীর বয়ে যাওয়া পানির মতো একের পর এক কবিতা মিল রেখে সাজানো। এখানে আছে আপন আল্পনার আঁকা একটি কাল্পনিক প্রেমের অভ্যর্থনা, আলাপ, পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা এবং তার শেষ পরিণতির উপাখ্যান। প্রেমের অন্তরঙ্গ রূপ এঁকেছেন তিনি নিবিড় সূক্ষ্মতায়। প্রেমানুরাগী মনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, এমনটাই দেখতে পাবেন কবিতাগুলোর সর্বাঙ্গে।
The Garden
দ্য গার্ডেন
ক্লেয়ার বিমস
প্রকাশক: ডাবলডে, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশকাল: ৯ এপ্রিল ২০২৪
পৃষ্ঠা: ৩০৪; মূল্য: ২২.৭৫ ডলার
আমেরিকার তরুণ কথাসাহিত্যিক ক্লেয়ার বিমস এ মাসেই প্রকাশ করেছেন তার নতুন উপন্যাস ‘দ্য গার্ডেন’। এ উপন্যাসের কাহিনিতে বলা হয়েছে, প্রধান চরিত্র ইরিন উইলার্ডের চারবার গর্ভপাত হয়েছে। পঞ্চমবারের মতো গর্ভধারণ করার পর তার স্বামীর সঙ্গে যায় বার্কশায়ারের এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। চিকিৎসক দম্পতি তাদের বাড়িতেই চালায় ডক্টরস হল নামের হাসপাতাল। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যায় ইরিন। এখানে আসার পর তার মনে পড়ে যায় অনেকদিন আগে ভুলে যাওয়া এক বাগানের কথা। অন্যদিকে ইরিনের জটিল অবস্থা সারানোর ব্যাপারে চিকিৎসক দম্পতির একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ইরিন বুঝতে পারে, ওই বাগানের নিজস্ব শক্তিই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির পথে অন্তরায়। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর সঙ্গে পরামর্শ করে ইরিন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সবাই মিলে বাগানের অশুভ শক্তির প্রভাব তাদের ওপর থেকে দূর করে ফেলবে।