শ্বাসকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করলে রোগীকে নেবুলাইজার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যেনতেনভাবে নেবুলাইজার দিলে ওষুধ ভালোভাবে রোগীর শরীরে নাও যেতে পারে। ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট কমবে না। তাই আমাদের নেবুলাইজার ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। হেলথ এক্সচেঞ্জ অবলম্বনে লিখেছেন মেহেদী।
নেবুলাইজার দেওয়ার আগে
রোগীকে আরামদায়কভাবে আধশোয়া বা বসা অবস্থায় রাখতে হবে।
নেবুলাইজার মেশিনের অংশগুলো জোড়া দিয়ে প্রতি স্প্রেতে ২৩ মিলি পানি, সঙ্গে ৫ মিলি সালবিউটামল সল্যুশন এবং প্রয়োজনে ৫ মিলি ইপ্রাট্রোসিয়াম সল্যুশন নিতে হবে।
নেবুলাইজার মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে সুইচ অন করতে হবে। ফলে বাতাস দ্রুত বেগে প্রবাহিত হতে শুরু করবে।
ওষুধের অ্যারোসল মাউথপিস (টিপিস) বা মাস্ক দিয়ে মুখে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে নিতে হবে। মাউথপিস ব্যবহার করলে সেটা দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট বন্ধ করে রাখতে হবে।
নেবুলাইজ করার সময় রোগীকে ধীরে ধীরে লম্বা শ্বাস নিতে হবে।
সাধারণত ৩ থেকে ৬ মিলি তরল ওষুধ ৫ থেকে ১০ মিনিটে নেবুলাইজ করা হয়।
নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের পর
ব্যবহারের পর ব্যবহারকারী ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। নেবুলাইজারের কমপ্রেশার, টিউব, মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার আলাদা করে ফেলতে হবে। মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর বাতাসে শুকাতে দিতে হবে। কমপ্রেশার এবং টিউব সাধারণত গরম পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। টিউবের বাইরের দিকটা কেবল পরিষ্কার করা যায়।
মাউথপিস বা মাস্ক ছয় মাস পরপর পাল্টাতে হবে। ফিল্টারটি নিয়মিত পাল্টানো জরুরি। বিশেষ করে ফিল্টারে ময়লা দেখা গেলেই তা পাল্টে ফেলতে হবে।
মনে রাখতে হবে
নেবুলাইজার অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীদের নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এতে রোগীর শ্বাসকষ্টের সাময়িক উপশম হয় মাত্র।
একবার বা দুইবার নেবুলাইজ করার পরও যদি রোগীর কষ্ট না কমে, তাহলে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
কখনো কখনো নেবুলাইজ করার শুরুতে রোগীর শ্বাসনালি তাৎক্ষণিক সংকুচিত হয়ে পড়ে, তখন রোগীকে অক্সিজেন দিতে হতে পারে।
নেবুলাইজারে যদি ইপ্রাট্রোসিয়াম সল্যুশন ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা গ্লুকোমা রোগীদের চোখে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে মাউথপিস ব্যবহার করা নিরাপদ।
কিছু ক্ষেত্রে নেবুলাইজারে ব্যবহৃত ওষুধ রোগীর পটাসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তখন রোগীকে পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দিতে হতে পারে।
জাহ্নবী