![শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন](uploads/2024/04/04/1712208818.n-jab.jpg)
শ্বাসকষ্ট বা ডিসপনিয়া হলো নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। যদি ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস হয় বা গতি বেড়ে যায় কিংবা শ্বাসের সঙ্গে বাতাস প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়, তবেই তা কষ্ট হিসেবে অনুভূত হয়। কেয়ার হাসপাতাল অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফারজানা আলম
শ্বাসকষ্ট কী?
বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে যে কেউ যেকোনো সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারে। এটি অনুভব করা যেতে পারে যেন বাতাসের জন্য হাঁপাচ্ছেন, পর্যাপ্ত বাতাস পাচ্ছেন না, বা শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বা বুকের মধ্যে টান অনুভব করছেন।
শ্বাসকষ্টের কারণগুলোর মধ্যে আছে দীর্ঘ দূরত্বে দৌড়ানো বা জগিং। ব্যায়াম করার সময় শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কখনো কখনো শ্বাসকষ্ট হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যার কারণে হতে পারে। শারীরিক ব্যায়াম বা চাপের কারণে শ্বাসকষ্ট হয়, তবে সেটা এমনিতেই সেরে যায়।
শ্বাসকষ্টের কারণ
শ্বাসকষ্টের অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন- হাঁপানি, বিষম খাওয়া, এলার্জি, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসে প্রদাহ বা তরল জমা হওয়া, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা বা ভাইরাল সংক্রমণ যেমন কোভিড-১৯, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি। এ ছাড়া পালমোনারি হাইপারটেনশন, আংশিক বা সম্পূর্ণ ফুসফুসের অকার্যকারিতা, ফুসফুস ক্যানসার ইত্যাদি।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যার কারণে হঠাৎ বা নিয়মিত শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে কার্ডিওমায়োপ্যাথি, অ্যারিথমিয়া, হার্ট ফেইলিউর, হার্টের প্রদাহ।
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো একেকজনের মধ্যে একেক রকম। এর মধ্যে আছে শব্দ করে শ্বাস নেওয়া, বুক টান টান হওয়া, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, উচ্চ হৃৎস্পন্দনের হার বা ধড়ফড়, মনে হচ্ছে জোর করে শ্বাস নেওয়া দরকার এবং একটি গভীর শ্বাস পেতে কঠোর পরিশ্রম।
কখনো কখনো বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো অন্যান্য উপসর্গ থাকতে পারে, এই ধরনের লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়।
শ্বাসকষ্টের কারণ নির্ণয়
শ্বাসকষ্টের কারণ শনাক্ত করার জন্য ডাক্তার কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারেন। এর মধ্যে আছে বুকের এক্স-রে, কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যান, রক্তাল্পতা দেখতে রক্ত পরীক্ষা, ফুসফুস ফাংশন পরীক্ষা। এ ছাড়া কার্ডিওপালমোনারি ব্যায়াম পরীক্ষা যা রোগীকে ট্রেডমিলে হাঁটার মাধ্যমে করা যেতে পারে।
শ্বাসকষ্টের জন্য কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
হঠাৎ করে তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে এবং অন্যান্য উপসর্গ যেমন বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং গলায় কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
শ্বাসকষ্টের ঘরোয়া সমাধান
শ্বাসকষ্ট শুরু হলো প্রাথমিকভাবে ঘরে বসেই চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। যেমন রোগীকে চেয়ারে বসার সময় সামনের দিকে বসা বা সামনে বাঁকানো। দেয়ালের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এবং শ্বাসনালি শিথিল করা, বিশেষ করে হাঁটা বা ওপরে যাওয়ার সময়।
চেয়ার বা টেবিলের সমর্থন নিয়ে দাঁড়ানো এবং শ্বাসনালি খোলার জন্য ঘাড় শিথিল রাখা। কফি পান শ্বাসনালি খুলতেও সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান ত্যাগ এবং তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করুন। দূষণকারী, অ্যালার্জেন এবং পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
কলি