বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না: মমতা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না: মমতা

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩২ এএম
বিজেপি ২০০ আসনও পাবে না: মমতা
তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপি ভারতে জিতবে না এবং ২০০ আসনও পাবে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কৃষক বাজার ময়দানে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেখানকার আবু তাহের খানের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্য রাখার সময় বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘এই মুর্শিদাবাদেই গাদ্দার মিরজাফর বাংলাকে হারিয়ে দিয়েছিল। যারা প্রচুর টাকা করেছে তারাই বিজেপি করে। ওরাই ইডি, সিবিআইকে ভয় পায়। ১০ বছরে একটা কাজও করেনি বিজেপি।’

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এনআরসি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘দরকার হলে না খেয়ে থাকব, তবে বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। জীবন বাজি রেখে বলছি। আমার জীবন থাকতে এনআরসি করতে দেব না।’

কেন্দ্রের বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আগামী দিনে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন বলেও উল্লেখ করেন মমতা। ‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সভায় মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমরা ‘ইন্ডিয়া’, আমাদের ভোট দিন। ‘ইন্ডিয়া’ এখানে নেই, ওটা দিল্লির। আমিই তৈরি করেছি। কংগ্রেস, সিপিএম এখানে ‘ইন্ডিয়া’ নয়। ওরা বিজেপি করে। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দুটো ভোট দেওয়া। একটা ভোটও দেবেন না।’

সভায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও আঙুল তোলেন মমতা। তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ ছাড়া লোকসভা নির্বাচনের যে সমীক্ষাগুলোতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলো ভুয়া বলেও উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দেশে ২০০টি আসনও পাবে না বিজেপি। সব সমীক্ষা ভুয়া। লাখ লাখ টাকা ঢেলে সমীক্ষা করেছে। ওতে কান দেবেন না। মানুষের চোখ বলছে, বিজেপি জিতবে না।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

লোকসভা নির্বাচন আজ ভাগ্য পরীক্ষা রাহুল, রাজনাথ, স্মৃতি, রচনা, লকেটের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আজ ভাগ্য পরীক্ষা রাহুল, রাজনাথ, স্মৃতি, রচনা, লকেটের
প্রতীকী ছবি

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার (২০ মে)। ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে হবে এই পর্বের ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৪টিতে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টির মধ্যে ৭টি, বিহারের ৪০টির মধ্যে ৫টি, ওড়িশায় ২১টির মধ্যে ৫টি, ঝাড়খন্ডের ১৪টির মধ্যে ৩টিতে ভোট হবে আজ।

পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগ, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর ও হুগলিতেও ভোট হবে এই পর্বে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি এবং লাদাখের একমাত্র আসনটিতেও আজ ভোট গ্রহণ হবে পঞ্চম দফায়। 

এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি নেতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। এই নেতাদের মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষার মুখে থাকা সবচেয়ে বড় নাম রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রাদেশিক মন্ত্রী দীনেশপ্রতাপ সিংহ। উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি থেকে এবার প্রার্থী হয়েছেন রাহুল। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (লক্ষ্ণৌ), স্মৃতি ইরানি (আমেথি) এবং পীযূষ গয়াল (মুম্বাই উত্তর)।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ আসনে কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরে ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্ঠু ভোট নিতে নির্বাচন কমিশন সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে। লোকসভার চতুর্থ পর্বের ভোট হয় গত ১৩ মে। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেওয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন, যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।

পরীক্ষায় রাহুল, মোদির নতুন চ্যালেঞ্জ কেজরিওয়াল
আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্মৃতি ইরানির। এই নেতাদের মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষার মুখে থাকা সবচেয়ে বড় নাম রাহুল গান্ধী।

রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী ছেলের নামে ভোটারদের কাছে ভোট দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আপনারা যেভাবে আমাকে আপনাদের করে নিয়েছেন, তেমনি দয়া করে তাকেও আপনাদের একজন করে নিন। সে আপনাদের হতাশ করবে না।’ 

এই দফার ভোটে মোদির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিহাড় জেল থেকে বেরিয়েই শনিবার পুরোদস্তুর ভোটের প্রচারে নেমে পড়ে তিনি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে জেল থেকে বেরোনোর পর জনতার দরবারে হাজির হন কেজরিওয়াল। তাকে স্বাগত জানাতে উপচে পড়েছিল আম আদমি পার্টির (আপ) কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। সবার মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন, আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে দেশেকে বাঁচাতে হবে। দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে। আমি সর্বশক্তি দিয়ে এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছি।’

এক বছর আগেও যা অভাবনীয় ছিল, তাই করে দেখিয়েছেন কেজরিওয়াল। একসময় একে অপরের শত্রু হিসেবে বিবেচিত হলেও কংগ্রেস প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে তিনি রোড শো করছেন।

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রচার বিরোধী দলকে চাঙা করবে। যদিও তাতে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে তারা বড় কোনো জয় হাসিল করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় আছে।

কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি রাজধানী দিল্লি এবং উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আছে। দুইয়ে মিলে লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে তাদের আসনসংখ্যা মাত্র ২০।

এ ক্ষেত্রে কেজরিওয়াল হয়তো সহমর্মিতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ভোট আদায় করতে পারেন। কিন্তু তা ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলেই মনে করেন ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষক রাহুল বর্মা। তবে তারপরও কেজরিওয়াল বিজেপিকে বিব্রত করতে সক্ষম। জেল থেকে বেরোনোর পর জোর প্রচারে নেমে তিনি সরাসরি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে তার এই সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন।

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কেজরিওয়াল কারাগারে থাকার সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দিল্লিতে বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছেন। আর এখন কেজরিওয়াল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। এক হাতে কংগ্রেস, অন্য হাতে আম আদমি পার্টির প্রতীক নিয়ে তিনি হরিয়ানায় রোড শো করেছেন। আর কেবল দিল্লি বা হরিয়ানাই নয়, ইতোমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবেও প্রচার চালিয়েছেন।

আম আদমি পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকেও ইন্ডিয়া জোটের নেতারা কেজরিওয়ালকে প্রচারে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস

ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:০২ এএম
ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি ও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেখানে ‘জীবিত কাউকে এখনও দেখা যায়নি’ বলে জানাচ্ছে ইরানের সংবাদমাধ্যম। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার আশা আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি পাওয়া গেছে। 

দুর্ঘটনাস্থলের ছবিও দিয়েছে রয়টার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। এটি আগুনে পুড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটির কেবিন। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন বলে জানা গেছে।

অমিয়/

কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি
নিহত বিজেপি নেতা আইজাজ আহমাদ শেখ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে পৃথক দুটি জঙ্গি হামলায় এক বিজেপি নেতা নিহত ও রাজস্থানের জয়পুর থেকে ঘুরতে যাওয়া এক দম্পতি আহত হয়েছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে স্থানীয় এক আসনে ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে গত শনিবার এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) রাতে প্রথমে পহেলগাঁওয়ে একটি পর্যটক ক্য়াম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় গুরুতর আহত হন জয়পুর থেকে বেড়াতে যাওয়া তাবরেজ এবং তার স্ত্রী ফারহা। এরপর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দ্বিতীয় হামলাটি হয় সোপিয়ানে বিজেপি নেতার বাড়িতে। 

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আইজাজ আহমাদ শেখ নামে ওই বিজেপি নেতার।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। দলীয় নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিজেপি।

ভারতে ছয় সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাত পর্বের এ নির্বাচনে চার পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, আরও তিন পর্ব বাকি আছে। আজ পঞ্চম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪ জুন ভোট গণনার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সূত্র: রয়টার্সের

গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায় একটি আবেগঘন স্মরণসভার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ সমাপ্তির ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের স্মরণসভা বানচালের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করেছে তারা।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তামিল টাইগার্সকে উদ্দেশ করে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে যারা একটি সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিল। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের সভাগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য করে বিধায় তারা এদিন পুরোনো স্মৃতিসৌধগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।

সাবেক যুদ্ধ অঞ্চলগুলো এই ধরনের স্মরণসভাগুলো অনেক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পণ্ড এবং অংশগ্রহণকারীদের ধরপাকড় করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কড়া নজরদারি এবং ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন সত্ত্বেও শনিবার সভার আয়োজন করা হয়।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ভুক্তভোগীদের স্মরণ করতে এই আয়োজন করা হয় বলে জানায় তামিলরা। 

টাইগার্সদের সর্বশেষ দুর্গে সামরিক হামলার মাধ্যমে ২০০৯ সালে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

জাতিসংঘের ধারণামতে, যুদ্ধের শেষ মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। বেসামরিক লোকদের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলার জন্য এই সামরিক অপারেশনটি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছিল।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ৪১ বছর বয়সী এক তামিল কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগের দিন এখানে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, এখানে অসংখ্য আহত মানুষ সাহায্যের জন্য কাঁদছিল, দৃশ্যটি আমাকে সারা জীবন তাড়িত করবে।’ 

‘সম্মিলিত ব্যর্থতা’
কয়েক হাজার তামিল যুদ্ধকবলিত গ্রামগুলোতে সফর করে মৃতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করে। এই বছর এই স্মরণসভায় অংশ নেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক প্রধান আগনেস ক্যালামার্ড, যিনি এই ধরনের সভায় অংশ নেওয়া সর্বোচ্চ উচ্চপদস্থ বিদেশি। তিনি তামিলদের পর চলা এই নিধনযজ্ঞকে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন। 

এ ছাড়া আল-জাজিরাকে পাঠানো এক মেইল বার্তায় তিনি তিন দশক ধরে চলা এই সশস্ত্র সংঘাতে ভুক্তভোগীদের স্বপক্ষে সুষ্ঠু বিচারের জন্য শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

কৌশলগত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:২৬ এএম
কৌশলগত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান-যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত চুক্তির একটি ‘সেমিফাইনাল’ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের বৈঠকে ওই আলোচনা হয়। 

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাহরানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (১৯ মে) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চুক্তিগুলোকে বিবেচনা করা হয়। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে এ প্রচেষ্টা অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ এবং সুলিভানের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে, যা প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে কী কাজ করা হচ্ছে তারা সেটি নিয়েও আলোচনা করেন। বৈঠকে গাজার পরিস্থিতি ও যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তা এবং সেখানে মানবিক সাহায্য প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার খুব কাছে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে চুক্তির বাস্তবায়নকে ধরা হয় ব্যাপক আকারের দর-কষাকষির ক্ষেত্র হিসেবে। সেটি এখনো রয়ে গেছে নাগালের বাইরে।

এই চুক্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন ও সৌদি সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিশ্বাসযোগ্য পথ খুঁজে বের করতেও আলোচনা করেছেন সৌদি যুবরাজ এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা সহকারী। 

হোয়াইট হাউস জানায়, যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য রবিবার সন্ধ্যার দিকে সুলিভানের ইসরায়েল সফর করার কথা রয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।