লোকসভা নির্বাচন / তৃতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

লোকসভা নির্বাচন তৃতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:৫২ এএম
তৃতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ
ছবি : সংগৃহীত

ভারতে মঙ্গলবার (৭ মে) লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৬০ শতাংশ।

এবার সাত দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয় দফায় ভোট হয় ১০টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল মোট ৯৪টি আসনে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রার্থী না থাকায় গুজরাটের সুরাটে ভোট হয়নি।

সুরাট আসনে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থীসহ যে আটজন দাঁড়িয়েছিলেন, তারা সবাই নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে করে সুরাটের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

বাকি ৯৩ আসনের মধ্যে গুজরাটে ২৫টি, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারে ৫, পশ্চিমবঙ্গে ৪, আসামে ৪ ও গোয়াতে ২টি আসনে ভোট হয়। এ ছাড়া দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ– এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও ভোট হয়েছে। মূলত তৃতীয় দফা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির ৫৪৩টি আসনের বেশির ভাগেই ভোট হয়ে গেল।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওই ৯৪ আসনের মধ্যে ৮১টিই পেয়েছিল বিজেপি জোট এনডিএ। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইউপিএ জোট পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। আসামের একটি আসন এবং দমন ও দিউ আসনে ছোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।

আগের ধারবাহিকতা ঠিক রেখে এবারও ওই আসনগুলোর বেশির ভাগে বিজেপিকে জিততে দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীরাও লড়েছেন। যেমন, গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অমিত শাহ, যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত হিসেবে পরিচিত। গান্ধীনগর আসনটিও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেটি প্রায় ৩৫ বছর ধরে দলটির দখলে রয়েছে।

ভোটে লড়েছেন বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানকেও। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন বিদিশা আসন থেকে। ওই আসনটিও বিজেপির দখলে রয়েছে ৩৫ বছর ধরে। এ ছাড়া বিজেপির হয়ে মধ্য প্রদেশের গুনা রাজ্য থেকে দাঁড়িয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বিজেপির প্রতীকে এটি তার প্রথম নির্বাচন হলেও এর আগে তিনি কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

বিজেপি এবারের লোকসভা নির্বাচনে চার শরও বেশি আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, তাদের সে স্বপ্ন হয়তো অল্পের জন্য পূরণ হবে না। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ওই রেকর্ড শুধু কংগ্রেসই করতে পেরেছে। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর দলটি বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে বিজয়ী হয়। সেবার দলটি আসন জিতেছিল ৪১৪টি।

সাধারণ নির্বাচন নয়: রাহুল গান্ধী

এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তিনি ভোটারদের দলে দলে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘আজ ভোটের তৃতীয় ধাপ। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাই দলে দলে এসে ভোট দেওয়ার এবং আপনাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করার। মনে রাখবেন, এটি সাধারণ নির্বাচন নয়। এটি গণতন্ত্র ও দেশের সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখার নির্বাচন।’

এর আগে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেও দেশের জনসাধারণকে দলে দলে এভাবে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ভাগ্য যে এর ওপর নির্ভর করছে, সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে বলেন।
আহমেদাবাদে মোদির ভোট

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল সকালে গুজরাটের আহমেদাবাদে ভোট দেন। সকাল সাড়ে সাতটার কিছু সময় পর ভোটকেন্দ্র নিশান উচ্চবিদ্যালয়ে পৌঁছান মোদি। এ সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ তাকে অভিবাদন জানান। ওই স্থানে বিপুল মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তারা মোদিকে দেখে স্লোগান দেন। সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি

 

লোকসভা নির্বাচন আজ ভাগ্য পরীক্ষা রাহুল, রাজনাথ, স্মৃতি, রচনা, লকেটের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আজ ভাগ্য পরীক্ষা রাহুল, রাজনাথ, স্মৃতি, রচনা, লকেটের
প্রতীকী ছবি

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার (২০ মে)। ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে হবে এই পর্বের ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৪টিতে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টির মধ্যে ৭টি, বিহারের ৪০টির মধ্যে ৫টি, ওড়িশায় ২১টির মধ্যে ৫টি, ঝাড়খন্ডের ১৪টির মধ্যে ৩টিতে ভোট হবে আজ।

পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগ, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর ও হুগলিতেও ভোট হবে এই পর্বে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি এবং লাদাখের একমাত্র আসনটিতেও আজ ভোট গ্রহণ হবে পঞ্চম দফায়। 

এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি নেতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। এই নেতাদের মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষার মুখে থাকা সবচেয়ে বড় নাম রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রাদেশিক মন্ত্রী দীনেশপ্রতাপ সিংহ। উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি থেকে এবার প্রার্থী হয়েছেন রাহুল। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (লক্ষ্ণৌ), স্মৃতি ইরানি (আমেথি) এবং পীযূষ গয়াল (মুম্বাই উত্তর)।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ আসনে কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরে ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্ঠু ভোট নিতে নির্বাচন কমিশন সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে। লোকসভার চতুর্থ পর্বের ভোট হয় গত ১৩ মে। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেওয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন, যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।

পরীক্ষায় রাহুল, মোদির নতুন চ্যালেঞ্জ কেজরিওয়াল
আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্মৃতি ইরানির। এই নেতাদের মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষার মুখে থাকা সবচেয়ে বড় নাম রাহুল গান্ধী।

রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী ছেলের নামে ভোটারদের কাছে ভোট দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আপনারা যেভাবে আমাকে আপনাদের করে নিয়েছেন, তেমনি দয়া করে তাকেও আপনাদের একজন করে নিন। সে আপনাদের হতাশ করবে না।’ 

এই দফার ভোটে মোদির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিহাড় জেল থেকে বেরিয়েই শনিবার পুরোদস্তুর ভোটের প্রচারে নেমে পড়ে তিনি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে জেল থেকে বেরোনোর পর জনতার দরবারে হাজির হন কেজরিওয়াল। তাকে স্বাগত জানাতে উপচে পড়েছিল আম আদমি পার্টির (আপ) কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। সবার মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন, আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে দেশেকে বাঁচাতে হবে। দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে। আমি সর্বশক্তি দিয়ে এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছি।’

এক বছর আগেও যা অভাবনীয় ছিল, তাই করে দেখিয়েছেন কেজরিওয়াল। একসময় একে অপরের শত্রু হিসেবে বিবেচিত হলেও কংগ্রেস প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে তিনি রোড শো করছেন।

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রচার বিরোধী দলকে চাঙা করবে। যদিও তাতে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে তারা বড় কোনো জয় হাসিল করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় আছে।

কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি রাজধানী দিল্লি এবং উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আছে। দুইয়ে মিলে লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে তাদের আসনসংখ্যা মাত্র ২০।

এ ক্ষেত্রে কেজরিওয়াল হয়তো সহমর্মিতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ভোট আদায় করতে পারেন। কিন্তু তা ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলেই মনে করেন ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষক রাহুল বর্মা। তবে তারপরও কেজরিওয়াল বিজেপিকে বিব্রত করতে সক্ষম। জেল থেকে বেরোনোর পর জোর প্রচারে নেমে তিনি সরাসরি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে তার এই সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন।

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কেজরিওয়াল কারাগারে থাকার সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দিল্লিতে বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছেন। আর এখন কেজরিওয়াল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। এক হাতে কংগ্রেস, অন্য হাতে আম আদমি পার্টির প্রতীক নিয়ে তিনি হরিয়ানায় রোড শো করেছেন। আর কেবল দিল্লি বা হরিয়ানাই নয়, ইতোমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবেও প্রচার চালিয়েছেন।

আম আদমি পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকেও ইন্ডিয়া জোটের নেতারা কেজরিওয়ালকে প্রচারে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ সব আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:৩০ এএম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ সব আরোহী নিহত
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ অ্যাজেন্সি ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেহর নিউজ বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব যাত্রী ‘শহিদ’ হয়েছেন।

আল-জাজিরা জানায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু মরদেহ এমনভাবে পুড়েছে যে, শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি এবং একই প্রদেশের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি, হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রু ছিলেন।

রাইসি এবং তার সঙ্গীরা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে সকালে দুর্ঘটনাস্থলের ছবি দিয়েছে রয়টার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। এটি আগুনে পুড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটির কেবিন। 

৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি গতকাল রবিবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান ও জোলফা শহরের মাঝামাঝি ডিজমার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। এমন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটল, যখন গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।

> ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!
> ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

অমিয়/

ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:০২ এএম
ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি ও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেখানে ‘জীবিত কাউকে এখনও দেখা যায়নি’ বলে জানাচ্ছে ইরানের সংবাদমাধ্যম। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার আশা আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি পাওয়া গেছে। 

দুর্ঘটনাস্থলের ছবিও দিয়েছে রয়টার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। এটি আগুনে পুড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটির কেবিন। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন বলে জানা গেছে।

অমিয়/

কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি
নিহত বিজেপি নেতা আইজাজ আহমাদ শেখ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে পৃথক দুটি জঙ্গি হামলায় এক বিজেপি নেতা নিহত ও রাজস্থানের জয়পুর থেকে ঘুরতে যাওয়া এক দম্পতি আহত হয়েছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে স্থানীয় এক আসনে ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে গত শনিবার এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) রাতে প্রথমে পহেলগাঁওয়ে একটি পর্যটক ক্য়াম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় গুরুতর আহত হন জয়পুর থেকে বেড়াতে যাওয়া তাবরেজ এবং তার স্ত্রী ফারহা। এরপর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দ্বিতীয় হামলাটি হয় সোপিয়ানে বিজেপি নেতার বাড়িতে। 

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আইজাজ আহমাদ শেখ নামে ওই বিজেপি নেতার।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। দলীয় নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিজেপি।

ভারতে ছয় সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাত পর্বের এ নির্বাচনে চার পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, আরও তিন পর্ব বাকি আছে। আজ পঞ্চম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪ জুন ভোট গণনার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সূত্র: রয়টার্সের

গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায় একটি আবেগঘন স্মরণসভার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ সমাপ্তির ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের স্মরণসভা বানচালের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করেছে তারা।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তামিল টাইগার্সকে উদ্দেশ করে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে যারা একটি সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিল। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের সভাগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য করে বিধায় তারা এদিন পুরোনো স্মৃতিসৌধগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।

সাবেক যুদ্ধ অঞ্চলগুলো এই ধরনের স্মরণসভাগুলো অনেক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পণ্ড এবং অংশগ্রহণকারীদের ধরপাকড় করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কড়া নজরদারি এবং ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন সত্ত্বেও শনিবার সভার আয়োজন করা হয়।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ভুক্তভোগীদের স্মরণ করতে এই আয়োজন করা হয় বলে জানায় তামিলরা। 

টাইগার্সদের সর্বশেষ দুর্গে সামরিক হামলার মাধ্যমে ২০০৯ সালে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

জাতিসংঘের ধারণামতে, যুদ্ধের শেষ মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। বেসামরিক লোকদের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলার জন্য এই সামরিক অপারেশনটি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছিল।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ৪১ বছর বয়সী এক তামিল কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগের দিন এখানে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, এখানে অসংখ্য আহত মানুষ সাহায্যের জন্য কাঁদছিল, দৃশ্যটি আমাকে সারা জীবন তাড়িত করবে।’ 

‘সম্মিলিত ব্যর্থতা’
কয়েক হাজার তামিল যুদ্ধকবলিত গ্রামগুলোতে সফর করে মৃতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করে। এই বছর এই স্মরণসভায় অংশ নেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক প্রধান আগনেস ক্যালামার্ড, যিনি এই ধরনের সভায় অংশ নেওয়া সর্বোচ্চ উচ্চপদস্থ বিদেশি। তিনি তামিলদের পর চলা এই নিধনযজ্ঞকে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন। 

এ ছাড়া আল-জাজিরাকে পাঠানো এক মেইল বার্তায় তিনি তিন দশক ধরে চলা এই সশস্ত্র সংঘাতে ভুক্তভোগীদের স্বপক্ষে সুষ্ঠু বিচারের জন্য শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।