![যৌনরোগের ‘মহামারিতে’ যুক্তরাষ্ট্র](uploads/2024/02/02/1706851976.usa.jpg)
গনোরিয়া, সিফিলিস ও ক্ল্যাইমাডিয়ার মতো যৌনরোগের কার্যত ‘মহামারি’ মোকাবিলা করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। দেশটির ন্যাশনাল কোয়ালিশন অব এসটিডি ডিরেক্টরসের বরাতে এমনটিই জানিয়েছে সায়েন্স অ্যালার্ট। সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিসির যৌনরোগসংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এমন সংবাদ এল।
সিডিসির রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে দেশটিতে যৌনরোগ শনাক্ত হয়েছে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৬ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ক্ল্যাইমাডিয়া রোগে। গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬ জন এবং সিফিলিসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়া অন্যান্য যৌনরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৫ জন।
শুধু ২০২২ সালেই নয়। সিডিসির সমীক্ষা বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও কার্যত একই অবস্থা। গত ৫ বছরে দেশটিতে প্রতিবছরই যৌনসংক্রান্ত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখের বেশি ছিল। তবে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর সিফিলিসে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত দেশটির বিশেষজ্ঞ মহল। ২০১৮ সালে সিফিলিস আক্রান্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩, ২০২০ সালে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭, ২০২১ সালে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৮ এবং ২০২২ সালে ২ লাখ ছাড়ায়। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে সিফিলিসে আক্রান্ত রোগীর হার বছর হিসেবে ৮০ শতাংশ এবং এক বছরে ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিফিলিস রোগ সঠিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। কিন্তু সময়মতো নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া রোগটি শিশুদের জন্যও বিপজ্জনক। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুদেরও সিফিলিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেরিতে চিকিৎসা হলে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট