![নতুন প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যাটারি আবিষ্কার](uploads/2024/03/22/1711083329.a1.jpg)
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ‘জলীয় ধাতুর আয়ন’ দিয়ে নতুন এক নিরাপদ ব্যাটারি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘ওয়াটার ব্যাটারি’। প্রচলিত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সঙ্গে এর উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে এটি বিস্ফোরিত হবে না কিংবা আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কাও নেই এতে। জৈব ইলেকট্রোলাইট প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি পানি ব্যবহার করে ব্যাটারিটির টার্মিনালের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এটি অন্য যেকোনো প্রযুক্তির ব্যাটারির চেয়ে অধিক নিরাপদ বলে দাবি করেছেন তারা। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতোই এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
ওয়াটার ব্যাটারি নিয়ে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানী তিয়ানই মা জানিয়েছেন, ‘ওয়াটার ব্যাটারিতে ম্যাগনেশিয়াম ও জিংকের মতো সহজলভ্য উপাদান ব্যবহার করেছি আমরা। এতে পরিবেশের ঝুঁকি যেমন কমবে তেমনি এই ব্যাটারি বেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে। এটি বাজারে প্রচলিত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো সমান ক্ষমতার। এমনকি এটিকে সৌর প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। ওয়াটার ব্যাটারিটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ হয়। বর্তমানে নতুন ন্যানো উপকরণ ব্যবহার করে ওয়াটার ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।’
ওয়াটার ব্যাটারিকে শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পে ব্যবহার করার বিষয়েও আশাবাদী গবেষকরা। এতে গ্রিড সংরক্ষণাগার, নবায়নযোগ্য শক্তির সঙ্গে একীভূতকরণ ও বড় অগ্নিকাণ্ডের বিপদ এড়ানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। ‘আমাদের প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ছোট পরিসরের বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের অ্যাপ্লিকেশন, যেমন মানুষের বাড়ি ও বিনোদন ডিভাইসে বিদ্যুৎ দেওয়ার সম্ভাব্য সুযোগও বাস্তবায়ন সম্ভব,’ বলেছেন অধ্যাপক তিয়ানই মা। নতুন ব্যাটারি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার জন্য শিগগিরই কাজ করবে সিডনিনির্ভর প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গ্রাফিনএক্স। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০৩১ সালে ওয়াটার ব্যাটারির বাজার হবে ৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। নিরাপত্তা ও পরিবেশগত কারণে ওয়াটার ব্যাটারির প্রয়োজন আরও বাড়বে। সূত্র: সায়েন্স ডেইলি
জাহ্নবী