![মির্জা আব্বাসের মামলার রায় পিছিয়েছে](uploads/2023/11/30/1701352797.High_Court.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়েছেন আদালত। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১৬ বছর আগে দায়ের করা এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আদালত আগামী ১২ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করে এই আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশা করছেন দুদকের আইনজীবী। মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে এই প্রত্যাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি। আর মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তৎকালীন মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. শফিউল আলম এই মামলা করেন।
এতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ওই বছরের ১৬ জুন আদালত মামলায় আব্বাস ছাড়া আরও চারজন সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
প্রসঙ্গত, মির্জা আব্বাস বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন।