ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিশু আয়ানের মৃত্যু তদন্তে নতুন কমিটি গঠন হাইকোর্টের

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
শিশু আয়ানের মৃত্যু তদন্তে নতুন কমিটি গঠন হাইকোর্টের
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছেন, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন মনঃপূত নয়। 

নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন, শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ বি এম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সুশঙ্কর কুমার মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক আমিনুর রশিদ এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাথী দস্তিদার। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে রিট আবেদনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। 

গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাঁতারকুলে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করানো হয় শিশু আয়ানের। অপারেশনের পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। এরপর টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে (রাত ১টায়) ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যায় শিশু আয়ান। এ ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায় করে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে জনস্বার্থে গত ৯ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। এতে আয়ানের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে শিশু আয়ানের বাবা ওই রিটে পক্ষভুক্ত হন। নতুন করে রিটে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি এক আদেশে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের সরকার অনুমোদিত ও অনানুমোদিত সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা ১ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। 

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে ২৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ওই প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনটি ‘আইওয়াশ’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে করা সুপারিশগুলো ‘হাস্যকর’ বলেও মন্তব্য করেন আদালত। শুনানির একপর্যায়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে মেডিকেল সেক্টরে মাফিয়া চক্র কাজ করে। তারা ওষুধসহ মেডিকেল উপকরণ সরবরাহে রি-এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’ এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদনটি মনঃপূত হয়নি বিবেচনা করে আজ নতুন কমিটি গঠন করলেন হাইকোর্ট।

৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা ড. ইউনূসের রিটের রায় ৩০ জুলাই

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
ড. ইউনূসের রিটের রায় ৩০ জুলাই
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি মামলা বাতিল চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিটের রায় ঘোষণা হবে আগামী ৩০ জুলাই।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। 

২০১১ থেকে ২০১৬-১৭ সাত করবর্ষে গ্রামীণ কল্যাণের আয়কর দ্বিতীয়বার মূল্যায়ন করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় মূল্যায়নের বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা যায়। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আপিল করা হবে না মর্মে অঙ্গীকার করতে হয়। গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ আপিল না করে রিভিউ আবেদন করে। ওই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে দুটি রিট করা হয়। হাইকোর্ট এসব রিটের শুনানি শেষে রিভিউ খারিজের আদেশ বাতিল করেন এবং গ্রামীণ কল্যাণকে আপিল করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনের শুনানি শেষে গত ১১ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গ্রামীণ কল্যাণের রিট দুটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ শুনানি শেষে ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ধার্য দিনে রায় ঘোষণা পিছিয়ে আগামী ৩০ জুলাই নির্ধারণ করা হয়। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলী। গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সরদার জিন্নাত আলী।

৫ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
৫ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দীন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যারিস্টার পার্থকে

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সালমান/

মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ
হাইকোর্ট

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ খারিজ আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
 
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। 

দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ মামলায় প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের সত্যতার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটি বাতিলে আসামিপক্ষ কোনো উপাদান দেখাতে পারেননি। উভয়পক্ষে শুনানি নিয়ে মামলা বাতিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ড. ইউনূসের পক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলা বাতিলে আনা হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। সেইসঙ্গে বিচার শুরুর জন্য গত ১৫ জুলাই দিন ধার্য ছিল। সে অনুয়ায়ী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মামলার কার্যক্রম বাতিলে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া ছয় আবেদনকারী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

অমিয়/

কোটা আন্দোলনে নিহত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে বিচার বিভাগীয় কমিটি

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে বিচার বিভাগীয় কমিটি
প্রতীকী ছবি

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে মোট ৬ জনের মৃত্যুসহ সংঘর্ষ ও সহিংসতা তদন্তে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

গত রবিবার (২১ জুলাই) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেন।

সোমবার (২২ জুলাই) সাধারণ ছুটি থাকায় কমিটির কোনো কার্যক্রম হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এখন দেশব্যাপী কারফিউ ও সাধারণ ছুটি চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে তদন্ত কমিটি। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য গ্রহণ, আলামত সংগ্রহ ও যাচাই এবং পারিপার্শ্বিক সকল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।   

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ৬ জনের মৃত্যু, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সরকারের প্রস্তাবে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গত ১৮ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আজ মঙ্গলবারও সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ দেশের অধস্তন আদালতসমূহ বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি রবিবার

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি রবিবার
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হবে আগামী রবিবার (২১ জুলাই)। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুই শিক্ষার্থীর লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ওয়াবদুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৩ নম্বরে রয়েছে। 

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, রবিবার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করবে। কিন্তু একই বিষয়ে আরেকটি লিভ টু আপিলের প্রেক্ষাপটে আদালত রবিবার শুনানির জন্য ধার্য করেছেন। 

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে লিভ টু আপিল করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী। আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। 

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপি পেয়ে গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ১৪ জুলাই বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রটি আইনগত কৃর্তত্ববহির্ভূত, ভিত্তিহীন ও অবৈধ ঘোষণা করা হলো। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা বলবৎ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ছাড়া ২০১২ সালে করা ২৩৫ নম্বর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ; ২০১৩ সালের ২০৬২ নম্বর লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে রায়ে তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির সরকারি অফিস আদেশ (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি, জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটাসহ (যদি অন্যান্য থাকে) সব কোটা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হলো। 

রায়ে হাইকোর্ট আরও বলেছেন, নির্ধারিত শ্রেণিগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এই রায় বিবাদীদের (সরকারের) জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করার ক্ষেত্রে বিবাদীদের (সরকারের) স্বাধীনতা থাকবে। 

২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সাতজন সন্তান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ জুন নির্দেশনাসহ রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে দুজন ৯ জুলাই আপিল বিভাগে এ মামলায় পক্ষভূক্ত হন। ১০ জুলাই শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা ঘোষণা করে পরবর্তী শুনানি ৭ আগস্ট ধার্য করেন।