বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুনসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী মামলার রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আর ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১০ জন।
রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর আশীষ রায় চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জানান, এর ২ বছর পর ২০০১ সালে বিচার শুরুর আদেশ হয়। ওই আদেশ চ্যালঞ্জ করে এক আসামি হাইকোর্টে গেলে আটকে যায় বিচার কার্যক্রম। এরপর হাইকোর্টের আদেশে আবার বিচার কার্যক্রম ২০২২ সালে শুরু হয়।
এদিকে ১৭ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপির দপ্তর থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তদন্তের নথিপত্র (কেস ডকেট) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। আদালতের নির্দেশের পরও তিনি তা আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানান এপিপি সাদিয়া।
পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির তথ্যানুযায়ী, বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও বান্টির বন্ধু আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর বিরোধের শুরু। এর জেরেই ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ঢাকার তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে।
অমিয়/