উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল: ১৩৯ উপজেলায় বিজয়ী যারা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

১৩৯ উপজেলায় বিজয়ী যারা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
১৩৯ উপজেলায় বিজয়ী যারা
বুধবার অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে বিজয়ীদের মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। ছবি: খবরের কাগজ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে বিজয়ীদের মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ঘোষিত বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতার জয়ের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র আটজন, বিএনপির বহিষ্কৃত ছয়জন, জাতীয় পার্টির তিনজন, জাতীয় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) দুইজন এবং ইসলামী আন্দোলনের একজন ও আল ইসলামের একজন বিজয়ী হয়েছেন।

ঢাকা বিভাগ:
ঢাকার দোহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, নবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ওয়াসেল কবির গুলফাম নির্বাচিত হয়েছেন।

নরসিংদীর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, পলাশে থানা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ নির্বাচিত হয়েছেন।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা, মধুখালীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান এবং সদরে কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।

মাদারীপুর সদরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিবুর রহমান খান, রাজৈরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মহসিন মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. সোহেল, পাকুন্দিয়ায় বিএনপি সমর্থক এমদাদুল হক ঝোটন, সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইয়েদুল ইসলাম, সিঙ্গাইরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থক আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটু, পাংশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বুড়ো নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সদরে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ইজাদুর রহমান মিলন, কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগের আমানত হোসেন খান, কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন স্বপন নির্বাচিত হয়েছেন।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ, মধুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি ইয়াকুব আলী নির্বাচিত হয়েছেন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, সদরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিএম লিয়াকত আলী, কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিমল বিষ্ণু বিশ্বাস বিজয়ী হয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগ:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার, কালাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, আক্কেলপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, গাবতলীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাহার আলী, পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাফফার চৌধুরী, বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম খান নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল, তানোরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নির্বাচিত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন, কাজীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, বেলকুচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।

পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা খোকন, সুজানগরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব, বেড়ায় আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, গোমস্তাপুরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ হোসেন আলিম, ভোলাহাটে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা, নলডাঙ্গা উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম, নাটোর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বিজয়ী হয়েছেন।

খুলনা বিভাগ:
মেহেরপুর সদরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম, মুজিবনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু নির্বাচিত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদরে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, খোকসায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত নির্বাচিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদায় দর্শনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মাসুম, কালীগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানি নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোরের মনিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু, কেশবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরা সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমির ওসমান, শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী শরীয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান শামীমুর রহমান ওছি নির্বাচিত হয়েছেন।

বাগেরহাট সদরে জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, রামপালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, কচুয়ায় রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু নির্বাচিত হয়েছেন।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন এবং শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাঈদ উজ জামান বিজয়ী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ:
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিএনপির আব্দুল হামিদ, ধোবাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম, ফুলপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

জামালপুর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ নির্বাচিত হয়েছেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপির আমিনুল ইসলাম বাদশা, শ্রীবরদীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ও দুর্গাপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নীরা বিজয়ী হয়েছেন।

সিলেট বিভাগ:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও শাল্লায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অবনী মোহন দাস নির্বাচিত হয়েছেন।

সিলেট সদরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফি, দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম ও গোলাপগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুর কাদির শাফী নির্বাচিত হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আওয়ামী লীগের আজীর উদ্দিন, জুড়ীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কিশোর রায় চৌধুরী, কুলাউড়ায় আল ইসলামীর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ফজলুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও বানিয়াচংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান বিজয়ী হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগ:
বরিশাল সদরে স্বতন্ত্র আব্দুল মালেক ও বাকেরগঞ্জে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজীব তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।

পিরোজপুর সদরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বায়েজীদ হোসেন, নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের নূরে আলম সিদ্দিকী ও ইন্দুরকানীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বিজয়ী হয়েছেন।

রংপুর বিভাগ:
রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন মিলন নির্বাচিত হয়েছেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাহনেওয়াজ প্রধান, তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্বতন্ত্র নিজাম উদ্দীন খান, আটোয়ারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা আনিসুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম পুষ্প নির্বাচিত হয়েছেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন রাজ, ঘোড়াঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের শুভ রহমান চৌধুরী, বিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ কবির নির্বাচিত হয়েছেন।

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা সামশীল আরেফিন টিটু নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু নির্বাচিত হয়েছেন।

নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারহানা আক্তার সুমি, ডিমলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জাতীয় পার্টির নেতা রোকুনুজ্জামান শাহীন, রৌমারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু ও চররাজীবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বিজয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ:
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী, সন্দ্বীপে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য নুরুল আফসার, মহেশখালীতে স্বতন্ত্র জয়নাল আবেদিন, কুতুবদিয়ায় স্বতন্ত্র ব্যারিস্টার হানিফ বিন কাশেম নির্বাচিত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, রামগড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, আলীকদমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, রাঙামাটির বরকলে জেএসএস সমর্থিত বিধান চাকমা, সদরে জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী অন্নসাধন চাকমা, কাউখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুদ্দোহা চৌধুরী, জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন।

কুমিল্লার লাকসামে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুছ ভুইয়া, মনোহরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী, মেঘনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুর মতলব উত্তরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মানিক, মতলব দক্ষিণে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।

ফেনীর পরশুরামে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফিরোজ মজুমদার, ফুলগাজীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার নির্বাচিত হয়েছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক আলী, সুবর্ণচরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আওয়ামী লীগ নেতা শের আলম, নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক রুমা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, রামগতিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বিজয়ী হয়েছেন।

অমিয়/

এনজিও সিসিডিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
এনজিও সিসিডিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)

মাত্র তিন কর্মকর্তাকে দিয়ে সরকারের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ উঠেছে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) নামে একটি এনজিওর বিরুদ্ধে। এভাবে সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ রয়েছে, এই তিন কর্মকর্তার টিম লিডার হিসেবে কাজ করার যথেষ্ট যোগ্যতা নেই। তারা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র দাখিল করেছেন। ওই তিন কর্মকর্তা হলেন আতিকুর রহমান খান (প্রকল্প টিম লিডার), তার দুই সহযোগী লিয়াকত আলী ও হাবিবুল্লাহ মণ্ডল। তারাও প্রকল্প টিম লিডার হিসেবে কাজ করছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে (সওজ) জামিল নামে এক সাবেক কর্মচারী অভিযোগটি করেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ, প্রদান ও তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য এনজিও নিয়োগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও সওজের যত এনজিওসংশ্লিষ্ট কাজ রয়েছে, তার ৯৯ শতাংশ কাজই সিসিডিবির দখলে রয়েছে। সিসিডিবিকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার ফলে দক্ষ ও যোগ্য অনেক এনজিও ওই দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বিভিন্ন এনজিওর একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, সরকারি ক্রয়নীতি অনুযায়ী একটি প্রকল্পে টিম লিডার হিসেবে একজন ব্যক্তি কাজ করতে পারবেন। তবে একটি প্রকল্পের জন্য সিসিডিবি একই ব্যক্তিকে একই সময়ে তাদের চলমান একাধিক সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন পদে দেখিয়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই সঙ্গে একটি প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কমপক্ষে ৩০ জন লোকের প্রয়োজন হলেও মাত্র চারজন নিয়োগ করে কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্নাতক পাসের জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে একই প্রকল্প টিম লিডার দিয়ে একাধিক প্রকল্পের কাজ উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

যেসব প্রকল্পে কাজ করছেন সিসিডিবির এই তিন টিম লিডার
আতিকুর রহমান খান (একই সময়ে চলমান পাঁচটি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প (সওজ অংশ), ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট ও সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প (ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক) সদ্য সমাপ্ত।

হাবিবুল্লাহ মণ্ডল (একই সময়ে চলমান পাঁচটি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প, ডেপুটি টিম লিডার, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, সিলেট সড়ক জোনের আওতাধীন ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প (সাপোর্ট প্রকল্প) ও নলুয়া বাহারচর প্রকল্প (সওজ)।

লিয়াকত আলী (একই সময়ে চলমান ছয়টি প্রকল্পের টিম লিডার)। এগুলো হলো আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়কে চার লেনে মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প, সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্প, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (ভিত্তিতে), হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য সহায়ক প্রকল্প, কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ককে (এন-১০২) চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (বন্দর অংশ) ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের আওতাধীন ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সিসিডিবির প্রকল্প টিম লিডার আতিকুর রহমান খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই-বাছাই ও যোগ্যতার ভিত্তিকে আমরা কাজ পাই।’ তিনি বলেন, ‘সিসিডিবি পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ করেছে। এ ছাড়া ঢাকা ও সাভারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজ করছে। এ কাজও ছয় মাসের বেশি হবে না। আমাদের হাতে তেমন কোনো কাজ এখন নেই।’

জাল সার্টিফিকেট ও একজন লিডার একাধিক প্রকল্পে কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিসিডিবি বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি এনজিও। এখানে জাল সার্টিফিকেটে কাজ করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া একজন একাধিক প্রকল্পে কাজ করার বিষয়টিও ভিত্তিহীন। আমাদের হাতে এখন সরকারি তেমন কোনো প্রকল্প নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকটি এনজিও যারা কাজ পায় না তারা আমাদের পেছনে লেগেছে। মানহানির চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করব বলে অফিসে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

এসব বিষয়ে সিসিডিবির আরও দুই টিম লিডার হাবিবুল্লাহ মণ্ডল ও লিয়াকত আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাল সার্টিফিকেট ও একাধিক প্রকল্পে কাজ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা অসত্য। সিসিডিবিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি চক্র এ ধরনের মিথ্যাচার করেছে। এ ছাড়া একাধিক প্রকল্প বলতে কে কয়টা দায়িত্ব পালন করবে সেটা অফিসের সিদ্ধান্ত। অফিসে যেভাবে দায়িত্ব দেয় আমরা সেভাবে পালন করি।’ 

বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন অসাধু প্রকৌশলী সিসিডিবির দুর্নীতি-অনিয়মে সহযোগিতা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সওজের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আমরা তা তদন্ত করি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, বাংলাদেশের উদ্বেগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, বাংলাদেশের উদ্বেগ
ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দেশটির সরকারের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা।’

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি কোনো ছাত্র খুব জখম হয়েছে, আমাদের কাছে এমন খবর নেই। রাষ্ট্রদূতকে কিরগিজস্তানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি।’

মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজস্তানের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

কিরগিজস্তানে মূলত কতজন বাংলাদেশি আছেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। দূতাবাসের ধারণা, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক মিলিয়ে হাজার দুয়েক বাংলাদেশি কিরগিজস্তানে রয়েছেন।

কিরগিজস্তানে মিসরের কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিদেশিদের ওপর হামলা শুরু করেছে স্থানীয়রা। এতে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হয়েছেন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ১৫-২০ জনের গ্রুপ করে একটি রুমের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে এক ব্যক্তিকে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে। একজন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। 

তবে তিনি কোন দেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন একসঙ্গে ২০-২৫টি গাড়ি করে শহরে টহল দিচ্ছেন।

তাপপ্রবাহে শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে মাউশির ৯ নির্দেশনা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৪ এএম
তাপপ্রবাহে শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে মাউশির ৯ নির্দেশনা

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাপপ্রবাহের সময় শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্দেশনায় রয়েছে: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা, শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে শ্রেণিকক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি থাকে) সচল রাখা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা, শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা, নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোনো শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়, প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা, শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা এবং বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদের দূরে রাখে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।

কবির/এমএ/

 

উপজেলা নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট মঙ্গলবার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৪ এএম
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট মঙ্গলবার

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬৩ জেলার ১৫৬ উপজেলায় ভোট আগামী মঙ্গলবার। সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ১০৬ পৌরসভার ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি ভোটার। এরই মধ্যে ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে ২১ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনি অপরাধ দমনে মাঠে রয়েছেন ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১০ জেলার ১৭ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে রবিবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার বন্ধ রয়েছে। ভোটের আগের দিন আজ দূরবর্তী কয়েকটি উপজেলার ৬৯৭টি কেন্দ্রে আজই পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। এ ছাড়া বাকি ১২ হাজার ৩২৩টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জাম পাঠানো হবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে এ পর্যায়ে ১৫৬ উপজেলায় ভোটের মাঠে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই নির্বাচনে প্রথমে ১৬০ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। পরে মামলাসহ নানা কারণে স্থগিত হয়েছে চার উপজেলার নির্বাচন। সেগুলো হলো চট্টগ্রামের রাউজান, বান্দরবানের রুমা, মৌলভীবাজার সদর ও কুমিল্লা সদরের আদর্শনগর উপজেলা। এই ধাপে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে ২৪ উপজেলায়।

বিনা ভোটে জয়ী ২১ প্রার্থী 

একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এরই মধ্যে এ ধাপে নির্বাচিত হয়েছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে- কুমিল্লা আদর্শ সদরে আমিনুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরে মো. আ. ছালাম, ফরিদপুরের নগরকান্দায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান, চট্টগ্রামের রাউজানে এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আবুল কাশেম চিশতী, সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামাল হোসেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাজশাহীর বাগমারায় শহীদুল ইসলাম, রাঙামাটির রাজস্থলীতে হারাধন কর্মকার, কুমিল্লা আদর্শ সদরে আহাম্মেদ নিয়াজ, চট্টগ্রামের রাউজানে নুর মোহাম্মদ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রফিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সুমন ও রূপগঞ্জে মিজানুর রহমান। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাঙামাটির রাজস্থলীতে গৌতমী খিয়াং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সাঈদা সুলতানা, কুমিল্লা আদর্শ সদরে হোসনে আরা বেগম, চট্টগ্রামের রাউজানে রুবিনা ইয়াছমিন রুজি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শাহিদা মোশারফ ও রূপগঞ্জে ফেরদৌসী আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬৩ জেলার ১৫৬ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বন্ধে এসব ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে দুজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যও থাকছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে তিন দিন মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গতকাল মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চপর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির স্মার্টকার্ড (আইডিইএ) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এই সেলে দায়িত্ব পালন করছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট হয় গত ৮ মে। সেই ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। তার মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ভোট পড়ে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৬৩৫ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ।

এদিকে তৃতীয় ধাপে ১১১ উপজেলায় (২১টিতে ইভিএম) ভোট গ্রহণ আগামী ২৯ মে। এসব উপজেলায় ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৪৩৪ জন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৭১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৭৮ জন। এসব উপজেলায় তিন পদে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ছয়জন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। এসব প্রার্থী গত ১৩ মে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। 

সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের ৫৫ উপজেলায় (২টিতে ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে ৫ জুন। নির্বাচনে এসব উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেন ৭৩৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২৬৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসব উপজেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয় গত ১২ মে, প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল চলে ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি হয় ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত। গতকাল ১৯ মে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আজ ২০ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। 

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যায়ে ৪৭৬ উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন আয়োজন করেছে ইসি। বাকি ১৯ উপজেলায় নির্বাচনের সময় হলে এবং চার ধাপে যেসব উপজেলার ভোট স্থগিত হবে, সেসব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।

এলিস/এমএ/

বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ছবি : বাসস

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।’ 

রবিবার (১৯ মে) বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একসঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে, বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াই-সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে গল্প, সেই গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুর কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে, এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।