আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য, তাদেরকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতেই রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের বিদেশি পণ্য বর্জন করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ)।
গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসনবিরোধী লড়াই করা কঠিন। অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন। বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুন চিত্র কিছুদিন পর কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং এই ব্যাংকপাড়া যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংকপাড়ার অবস্থা যদি এমন হয় বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।’
আলোচনাসভার প্রধান বক্তা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নেবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাব না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারকে দেখতে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।’
গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/