দেশজুড়ে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে উঠতি কিশোরদের গ্যাং কালচার। এই কালচারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের মধ্যকার সিনিয়র-জুনিয়রদের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা, মাদক, নারী নির্যাতন। এমনকি খুন-খারাবির প্রবণতাও রয়েছে এদের মধ্যে। টিকটক লাইকিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে গিয়ে এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আর কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য এক মারাত্মক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই সমাজে এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এদের কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কিশোর গ্যাং আসলে কারা? কিশোর গ্যাং হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে যেসব কিশোর দলবদ্ধভাবে দাঙ্গা, হাঙ্গামা, অন্যায়, বিশৃঙ্খলা চালায়। দেখা যায়, ১৫ থেকে ১৬ বছরের কিশোররাই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে।
কিশোর গ্যাংদের কাজ হচ্ছে মানুষকে উত্ত্যক্ত করা, মেয়েদের টিজ করা, বকাবকি করা, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের উদ্দেশে বাজে কমেন্ট করা, ভয়ভীতি দেখানো, সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এই বখাটে কিশোররা পড়ালেখা না করে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তারা সাধারণত রাতে দলবদ্ধভাবে নেশাদ্রব্য পান করে। এতে তারা উগ্র হয়ে ওঠে। আমাদের করণীয় হলো, সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করা। আর প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় কিশোর অপরাধীদের খবর। এদের সুপথে আনতে হলে পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন।
ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ
[email protected]