কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

দেশজুড়ে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে উঠতি কিশোরদের গ্যাং কালচার। এই কালচারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের মধ্যকার সিনিয়র-জুনিয়রদের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা, মাদক, নারী নির্যাতন। এমনকি খুন-খারাবির প্রবণতাও রয়েছে এদের মধ্যে। টিকটক লাইকিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে গিয়ে এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আর কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য এক মারাত্মক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই সমাজে এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এদের কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কিশোর গ্যাং আসলে কারা? কিশোর গ্যাং হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে যেসব কিশোর দলবদ্ধভাবে দাঙ্গা, হাঙ্গামা, অন্যায়, বিশৃঙ্খলা চালায়। দেখা যায়, ১৫ থেকে ১৬ বছরের কিশোররাই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে।

কিশোর গ্যাংদের কাজ হচ্ছে মানুষকে উত্ত্যক্ত করা, মেয়েদের টিজ করা, বকাবকি করা, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের উদ্দেশে বাজে কমেন্ট করা, ভয়ভীতি দেখানো, সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এই বখাটে কিশোররা পড়ালেখা না করে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তারা সাধারণত রাতে দলবদ্ধভাবে নেশাদ্রব্য পান করে। এতে তারা উগ্র হয়ে ওঠে। আমাদের করণীয় হলো, সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করা। আর প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় কিশোর অপরাধীদের খবর। এদের সুপথে আনতে হলে পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন।

ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ
[email protected]  

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের লোকাল ট্রেনগুলো চালু করুন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১১:২৯ এএম
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের লোকাল ট্রেনগুলো চালু করুন

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় একটি রেলপথ চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ। একসময় এই রেলপথে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও বর্তমানে এ সুবিধা ভোগ করতে পারছে না চাঁদপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কয়েক বছর আগেও চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে চারটি ট্রেন চলাচল করত। এখন করছে মাত্র দুটি। তাও আবার অসময়ে। করোনা মহামারির দুর্যোগ মুহূর্তে চাঁদপুর কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ার পর বর্তমানে সাগরিকা এক্সপ্রেস ও মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে চাঁদপুর-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে। 

চাঁদপুর কমিউটার ট্রেনটি চালু থাকা অবস্থায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী ট্রেনে করে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু তা এখন আর হয়ে ওঠে না। বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কপথেই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া চাঁদপুর জেলা শহরে কর্মরত সরকারি-বেসরকারি ও খেটে খাওয়া অসংখ্য মানুষ সকালে ডেমু ট্রেনে গিয়ে আবার বিকেলে ফেরত আসতে পারত। কিন্তু বর্তমানে কষ্ট নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এই রুটে এখন একটি লোকাল ট্রেনই ভরসা সাধারণ যাত্রীদের। তাই শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে দ্রুত বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলো বাংলাদেশ পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কাছে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

মো. মাসুদ হোসেন
সমাজকর্মী ও লেখক, চাঁদপুর সদর
[email protected]

কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:১২ এএম
কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

ফসল রক্ষার জন্য কারেন্ট, নাইলনের ছোট ফাঁসের জাল পাতা হচ্ছে। আর তাতে আটকে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পাখি। অথচ কারেন্ট জাল ব্যবহার আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এই জালে কেবল ছোট মাছ নয়, পাখিও মারা পড়ছে। কারেন্ট জালের বিকল্প আছে। যা দিয়ে ফল, ফসল রক্ষা করা সম্ভব। সেটা হলো চটজাল। একবার চটজাল কিনে তা অনেক দিন নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। নাইলনের জালে যেটা সম্ভব না। 

পাখির স্বভাব হচ্ছে মুক্ত আকাশে ওড়াউড়ি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মা-পাখি খাবারের সন্ধানে যায়। তখনই জালে আটকে শুধু মা-পাখির জীবনই যায় না, বাচ্চাদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে। হত্যা না করেই আমরা পাখি তাড়াতে পারি। যদি মনে করি, পাখি সত্যিই সব ফসল খেয়ে নিচ্ছে। কারণ একটি ৩০ গ্রাম ওজনের পাখি দিনে সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম খাবার খায়। এরা পোকামাকড় ধরে খেতে গিয়ে বাগানে পাতা জালে আটকা পড়ছে। 

মানুষের মতো পাখি তো আর এত সতর্ক না। চিকন ফাঁসের জাল কোথাও পাতা হলে রাতবিরাতে পাখি তা এড়িয়ে চলতে পারে না। ঘণ্টা বেঁধে তার সঙ্গে সুতার লাইন বাসার ভেতরে নিয়ে সেটা ধরে টান দিলে ঘণ্টা বাজবে। পাখি ভয়ে পালাবে। একইভাবে আমরা টিন বেঁধে শব্দ করেও পাখি তাড়াতে পারি। জমির মধ্যে পলিথিন ঝুলিয়ে দিলে তা বাতাসে শব্দ করে। এই শব্দ শুনে পাখি চলে যায়। আবার ফসলের খেতে সিডি ঝুলিয়ে দিলেও পাখি দূর হয়। পাখি তো প্রকৃতির অলংকার। এরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। 

কেন আমরা জেনেশুনে তাদের হত্যা করব। এ তো অন্যায়। তাই জাল যদি পাততেই হয়, চটজাল দিয়ে গাছ ঘিরে দিন। এতে এক দিকে ফসল রক্ষা হবে, অন্যদিকে পাখিরও ক্ষতি হবে না।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি-৭৬/বি, রোড-১১, বনানী, ঢাকা
[email protected] 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:০০ এএম
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

গতকাল শুক্রবার ছিল বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৪। উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আর দীর্ঘদিন বাঁচুন। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ।  

আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যান। বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।  পরিশেষে বলতে চাই, শরীর থাকলেই রোগ থাকবে কিন্তু তা নিয়ে অযথা চিন্তিত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু সময় বিশেষে নিয়ম মেনে রুটিন চেকআপ ও যথাযথ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রেখে চলুন। শরীরে রক্তচাপজনিত কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ামাত্র দ্বিধা না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই ভবিষ্যতের জটিল সমস্যাকে এড়ানো সম্ভব।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]     

আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন, পরে পরামর্শ দেবেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন, পরে পরামর্শ দেবেন

সোশ্যাল মিডিয়ায়, খবরের কাগজে ও টিভিতে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন ও খবরাখবর দেন, তার অধিকাংশই মিথ্যা অথবা অতিরঞ্জিত। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। এমনকি সেই বিজ্ঞাপন ও খবরের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা জগতের তারকাদের। সেই তারকারা টাকার বিনিময়ে যা শেখানো হচ্ছে, তাই বলছেন। কিন্তু যেসব ভালো গুণের কথা তারা বলছেন, সে সম্পর্কে তারা নিজেরা কতটা নিশ্চিত? দেখানো হচ্ছে, একেবারে নোংরা ও কাদা-পানিমাখা সাদা শার্ট গুঁড়া সাবান দিয়ে ধুলেই নিমেষেই আগের মতো নতুন ও সাদা হয়ে যাচ্ছে! নোংরা বা তেলচিটে বাসন একবার ঘষে ধুয়ে দিলেই একেবারে সাফ। 

বেসিন বা কমোড একটু ঘষে দিলেই একদম পরিষ্কার। কিন্তু বাস্তবে তা মোটেই হয় না। তার মানে মানুষকে জেনেশুনে ঠকানো হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হচ্ছে, ফলে জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শোনা যায়, ঠাণ্ডা পানীয়র ক্ষেত্রে যা উৎপাদন খরচ, তার থেকে অনেক বেশি টাকা নাকি যায় বিজ্ঞাপনে। এগুলো দেখার জন্য নিশ্চয় আলাদা দপ্তর আছে। তারপরও এসব বিজ্ঞাপন রমরমা। তাই প্রশ্ন জাগে, এসব দপ্তর আদৌ তাদের কাজ ঠিকঠাক করছে তো? সেই সঙ্গে চিত্রতারকা, খেলোয়াড়দের কাছেও অনুরোধ, আপনারা যেসব পণ্যের বিজ্ঞাপন করছেন, সেসব পণ্য আগে নিজেরা ব্যবহার করুন। আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন। তারপর না হয় অন্যদের পরামর্শ দেবেন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

গরম কৃতকর্মের ফল?

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৫ এএম
গরম কৃতকর্মের ফল?

কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল। যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বন-ডাই অক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধির অন্যতম একটি প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজনবোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে সাফ করে নগরায়ণ বৃদ্ধি। জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষিজমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্প-কারখানাগুলোর প্রসার ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় গাছ কাটার ফলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মান বাড়ছে। 

মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হলো প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। কৃষিজমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস। মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচণ্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]