গরমের তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকায় মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ভ্যাপসা গরম আর তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, পশুপাখি আর সবুজ বৃক্ষরাজি। ভ্যাপসা গরমে চরম বেকায়দায় পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই জীবিকার তাগিদে বের হতে পারছেন না। টিনের চালার ঘরে বসবাসকারী মানুষের দুর্ভোগও চরম আকার ধারণ করেছে। একটু স্বস্তি ও প্রশান্তির পরশ পেতে মানুষজন ছুটছে গাছের শীতল ছায়ায়। মূলত প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণের জন্য মানুষই দায়ী।
মানুষ প্রকৃতির ওপর নানাভাবে খবরদারি করছে। তারা নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, পাহাড় পোড়ানোর মতো প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজে মেতে উঠেছে। এতে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে মানুষ বেপরোয়াভাবে দখল করেছে খাল-বিল ও নদী-নালা। পরিণামে প্রকৃতিও বৈরী আচরণ করছে। মানুষের নির্মম আচরণের শিকার হয়ে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেছে। ফলে অসময়ে বন্যা, বৃষ্টি, খরার মতো দুর্যোগের কবলে পড়ছে গোটা দেশ। যে সময়ে বৃষ্টি হওয়ার কথা, সে সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। আবার অসময়ে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো দেশ। তা ছাড়া বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাও দিন দিন বাড়ছে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। নতুবা মানুষকে এর চরম খেসারত দিতে হবে।
মো. আশরাফুল ইসলাম
শিক্ষক, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ
[email protected]