২৫ বৈশাখ ও ২২ শ্রাবণ কিছু লোক আসেন শাহজাদপুর, শিলাইদহ ও পতিসরে। অন্য দিনগুলো ফাঁকাই থাকে। বলি, যান না ঘুরে আসুন। কত জায়গায় তো সেলফি তোলেন, এবারের সেলফিটা না হয় রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সেই জমিদারি এলাকা শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরের কুঠিবাড়িতেই তুললেন। দেখবেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে বাড়তি লাইক পাবেন। কিন্তু বাঙালি ইকোপার্কে যাবে। মাল্টিপ্লেক্সে যাবে। প্রেমের তীর্থ টিএসসিসহ নতুন নতুন জায়গায় যাবে। জেমস বা সানি লিওন এলে হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে দেখতে চলে যাবে। স্টেডিয়ামে আইপিএল দেখতে যাবে। সেই বাঙালিকে জিজ্ঞেস করুন কখনো শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে গেছেন কি না। নিশ্চিত থাকুন, হাজারে একজন বড়জোর বলবেন, তিনি গিয়েছেন।
ভারতে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাংলাদেশি যান। তারা কি কখনো শুনেছেন, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের উপর/ একটি শিশির বিন্দু’ কবিতার এই লাইনগুলো! তাদের অনেকেই যান তাজমহলে, কাশ্মীরে, কুলু-মানালিতে, দিল্লিতে, চেন্নাইয়ে। কত গর্ব করে বলেন, দেখে এসেছি ভারত। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, কজন কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি গেছি? অথচ যাতায়াতে কোনো অসুবিধা নেই। পাতাল ট্রেনে চেপে গিরিশ পার্কে নেমে হেঁটে বড়জোর মিনিট দশেক। লাইন দিতে হয় না, পুলিশ বডি সার্চ করে না।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]