রবীন্দ্রনাথকে কতটা ভালোবাসি! । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

রবীন্দ্রনাথকে কতটা ভালোবাসি!

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১০:২৩ এএম
রবীন্দ্রনাথকে কতটা ভালোবাসি!

২৫ বৈশাখ ও ২২ শ্রাবণ কিছু লোক আসেন শাহজাদপুর, শিলাইদহ ও পতিসরে। অন্য দিনগুলো ফাঁকাই থাকে। বলি, যান না ঘুরে আসুন। কত জায়গায় তো সেলফি তোলেন, এবারের সেলফিটা না হয় রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সেই জমিদারি এলাকা শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরের কুঠিবাড়িতেই তুললেন। দেখবেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে বাড়তি লাইক পাবেন। কিন্তু বাঙালি ইকোপার্কে যাবে। মাল্টিপ্লেক্সে যাবে। প্রেমের তীর্থ টিএসসিসহ নতুন নতুন জায়গায় যাবে। জেমস বা সানি লিওন এলে হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে দেখতে চলে যাবে। স্টেডিয়ামে আইপিএল দেখতে যাবে। সেই বাঙালিকে জিজ্ঞেস করুন কখনো শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে গেছেন কি না। নিশ্চিত থাকুন, হাজারে একজন বড়জোর বলবেন, তিনি গিয়েছেন।

ভারতে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাংলাদেশি যান। তারা কি কখনো শুনেছেন, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের উপর/ একটি শিশির বিন্দু’ কবিতার এই লাইনগুলো! তাদের অনেকেই যান তাজমহলে, কাশ্মীরে, কুলু-মানালিতে, দিল্লিতে, চেন্নাইয়ে। কত গর্ব করে বলেন, দেখে এসেছি ভারত। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, কজন কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি গেছি? অথচ যাতায়াতে কোনো অসুবিধা নেই। পাতাল ট্রেনে চেপে গিরিশ পার্কে নেমে হেঁটে বড়জোর মিনিট দশেক। লাইন দিতে হয় না, পুলিশ বডি সার্চ করে না।

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:১২ এএম
কারেন্ট জালে পাখি নিধন বন্ধ হোক

ফসল রক্ষার জন্য কারেন্ট, নাইলনের ছোট ফাঁসের জাল পাতা হচ্ছে। আর তাতে আটকে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পাখি। অথচ কারেন্ট জাল ব্যবহার আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এই জালে কেবল ছোট মাছ নয়, পাখিও মারা পড়ছে। কারেন্ট জালের বিকল্প আছে। যা দিয়ে ফল, ফসল রক্ষা করা সম্ভব। সেটা হলো চটজাল। একবার চটজাল কিনে তা অনেক দিন নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। নাইলনের জালে যেটা সম্ভব না। 

পাখির স্বভাব হচ্ছে মুক্ত আকাশে ওড়াউড়ি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মা-পাখি খাবারের সন্ধানে যায়। তখনই জালে আটকে শুধু মা-পাখির জীবনই যায় না, বাচ্চাদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে। হত্যা না করেই আমরা পাখি তাড়াতে পারি। যদি মনে করি, পাখি সত্যিই সব ফসল খেয়ে নিচ্ছে। কারণ একটি ৩০ গ্রাম ওজনের পাখি দিনে সর্বোচ্চ ১০ গ্রাম খাবার খায়। এরা পোকামাকড় ধরে খেতে গিয়ে বাগানে পাতা জালে আটকা পড়ছে। 

মানুষের মতো পাখি তো আর এত সতর্ক না। চিকন ফাঁসের জাল কোথাও পাতা হলে রাতবিরাতে পাখি তা এড়িয়ে চলতে পারে না। ঘণ্টা বেঁধে তার সঙ্গে সুতার লাইন বাসার ভেতরে নিয়ে সেটা ধরে টান দিলে ঘণ্টা বাজবে। পাখি ভয়ে পালাবে। একইভাবে আমরা টিন বেঁধে শব্দ করেও পাখি তাড়াতে পারি। জমির মধ্যে পলিথিন ঝুলিয়ে দিলে তা বাতাসে শব্দ করে। এই শব্দ শুনে পাখি চলে যায়। আবার ফসলের খেতে সিডি ঝুলিয়ে দিলেও পাখি দূর হয়। পাখি তো প্রকৃতির অলংকার। এরা ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। 

কেন আমরা জেনেশুনে তাদের হত্যা করব। এ তো অন্যায়। তাই জাল যদি পাততেই হয়, চটজাল দিয়ে গাছ ঘিরে দিন। এতে এক দিকে ফসল রক্ষা হবে, অন্যদিকে পাখিরও ক্ষতি হবে না।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি-৭৬/বি, রোড-১১, বনানী, ঢাকা
[email protected] 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:০০ এএম
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

গতকাল শুক্রবার ছিল বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৪। উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আর দীর্ঘদিন বাঁচুন। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ।  

আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যান। বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।  পরিশেষে বলতে চাই, শরীর থাকলেই রোগ থাকবে কিন্তু তা নিয়ে অযথা চিন্তিত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু সময় বিশেষে নিয়ম মেনে রুটিন চেকআপ ও যথাযথ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রেখে চলুন। শরীরে রক্তচাপজনিত কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ামাত্র দ্বিধা না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই ভবিষ্যতের জটিল সমস্যাকে এড়ানো সম্ভব।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]     

আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন, পরে পরামর্শ দেবেন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন, পরে পরামর্শ দেবেন

সোশ্যাল মিডিয়ায়, খবরের কাগজে ও টিভিতে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন ও খবরাখবর দেন, তার অধিকাংশই মিথ্যা অথবা অতিরঞ্জিত। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। এমনকি সেই বিজ্ঞাপন ও খবরের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা জগতের তারকাদের। সেই তারকারা টাকার বিনিময়ে যা শেখানো হচ্ছে, তাই বলছেন। কিন্তু যেসব ভালো গুণের কথা তারা বলছেন, সে সম্পর্কে তারা নিজেরা কতটা নিশ্চিত? দেখানো হচ্ছে, একেবারে নোংরা ও কাদা-পানিমাখা সাদা শার্ট গুঁড়া সাবান দিয়ে ধুলেই নিমেষেই আগের মতো নতুন ও সাদা হয়ে যাচ্ছে! নোংরা বা তেলচিটে বাসন একবার ঘষে ধুয়ে দিলেই একেবারে সাফ। 

বেসিন বা কমোড একটু ঘষে দিলেই একদম পরিষ্কার। কিন্তু বাস্তবে তা মোটেই হয় না। তার মানে মানুষকে জেনেশুনে ঠকানো হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হচ্ছে, ফলে জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। শোনা যায়, ঠাণ্ডা পানীয়র ক্ষেত্রে যা উৎপাদন খরচ, তার থেকে অনেক বেশি টাকা নাকি যায় বিজ্ঞাপনে। এগুলো দেখার জন্য নিশ্চয় আলাদা দপ্তর আছে। তারপরও এসব বিজ্ঞাপন রমরমা। তাই প্রশ্ন জাগে, এসব দপ্তর আদৌ তাদের কাজ ঠিকঠাক করছে তো? সেই সঙ্গে চিত্রতারকা, খেলোয়াড়দের কাছেও অনুরোধ, আপনারা যেসব পণ্যের বিজ্ঞাপন করছেন, সেসব পণ্য আগে নিজেরা ব্যবহার করুন। আগে নিজেরা নিশ্চিত হোন। তারপর না হয় অন্যদের পরামর্শ দেবেন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

গরম কৃতকর্মের ফল?

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৫ এএম
গরম কৃতকর্মের ফল?

কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল। যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বন-ডাই অক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধির অন্যতম একটি প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজনবোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে সাফ করে নগরায়ণ বৃদ্ধি। জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষিজমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্প-কারখানাগুলোর প্রসার ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় গাছ কাটার ফলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মান বাড়ছে। 

মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হলো প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। কৃষিজমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস। মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচণ্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

যার মা আছে সে কখনোই গরিব নয়

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৩২ এএম
যার মা আছে সে কখনোই গরিব নয়

শিশু জন্মের আগে থেকেই মায়ের সান্নিধ্যে অভ্যস্ত হতে থাকে একটু একটু করে। জন্মের পর সেটা ধীরে ধীরে কেবল বাড়তেই থাকে। মা আমাদের অস্তিত্বের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হন। বিশ্বজুড়ে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার দিবসটি পালিত হয়। আব্রাহাম লিংকনের একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে- ‘যার মা আছে সে কখনোই গরিব নয়’। অর্থাৎ কেবল মায়ের আশ্রয় থাকলেই বন্ধুর পথের নানা বিপদ পাড়ি দেওয়া যায় সহজেই। মা থাকা মানে সবচেয়ে বড় ভরসা ও ভালোবাসার জায়গাটি অক্ষুণ্ণ থাকা। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে হলেও মা দেখতে চান সন্তানের হাসিমাখা মুখ। যিনি মা হারিয়েছেন, তিনি যেন নিজের একটি অংশকেই হারিয়ে ফেলেছেন। যদিও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা চাই প্রতিটি দিনই, তবু একটি বিশেষ দিন যেন আমাদের মায়ের জন্য আবেগ প্রকাশের কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়। মা দিবস আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেয় সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি দায়িত্ব ও সম্মানের কথা। মা দিবসের তাৎপর্যের মূলে তিনটি বিষয়- সব মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সব মাতৃত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের প্রতিফলন। সেই মানুষটির জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনের দরকার হয় না। তার জন্য ৩৬৫ দিনই যথেষ্ট নয়। তবু সবাই পালন করেন মাতৃ দিবস। প্রতিবছর আনন্দের সঙ্গে সন্তানরা পালন করে থাকেন মাতৃ দিবস।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]