১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে আসছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে- মুদ্রণ, সম্প্রচার ও অনলাইন। বিশ্বে গত ৫২ বছরে গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। একে পরিবর্তন না বলে বিবর্তন বলাই শ্রেয়। বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও একধরনের গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করছে।
গণমাধ্যম এখন নাগরিক জীবনের প্রায় প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী। বর্তমান মিডিয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি যা সামগ্রিক অর্থে পুরো বিশ্বকেই ছোট করে দিয়েছে। ইদানীং সবখানে শুধু ভাইরালের ছড়াছড়ি। দেখে মনে হয় ভাইরাল না হলে, ফেসবুকে লাইক না পেলে, ইউটিউবে ভিউজ না পেলে কোনো ঘটনাই ঘটনা নয়, কোনো খবরই খবর না। সবারই ইচ্ছা ভাইরাল করা বা ভাইরাল হওয়া। কিন্তু এই ভাইরাল করতে গিয়ে যখন নিম্ন মানের, অসত্য, অর্ধসত্য, রুচিহীন, দৃষ্টিকটু ও আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন সেটা ভয়াবহ ফলাফল বয়ে আনে ব্যক্তির জীবন ও সমাজে। তাই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হই। বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসে এই প্রত্যাশা রইল।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
লেখক
[email protected]