ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

বাংলাদেশ আইটিএফ ওয়ার্ল্ড টেনিস মাস্টার্স ট্যুরের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
বাংলাদেশ আইটিএফ ওয়ার্ল্ড টেনিস মাস্টার্স ট্যুরের শুভ উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ আইটিএফ ওয়ার্ল্ড টেনিস মাস্টার্স ট্যুর ২০২৪, এমটি-১০০’ টেনিস প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রমনায় শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি (সর্ব) মো. জসিম উদ্দিন, মো. মোতাহার হোসেন (সাজু), নেয়াজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, সিআইপি, কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য (সর্ব) আ ম আখতারুজ্জামান (মুকুল), জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, মো. গোলাম কবির, শেখ মো. আসলাম ও মিসেস শিরিন আক্তার চৌধুরী সহ বিভিন্ন ক্লাব/সংস্থার প্রতিনিধিসহ অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়বৃন্দ। 

প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, কোরিয়া, আমেরিকা ও সুইডেন হতে ১১২ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিযোগিতায় ৩০+, ৩৫+, ৪০+, ৪৫+, ৫০+, ৫৫+, ৬০+, ৬৫+ ও ৭০+ এর পুরুষ একক ও পুরুষ দ্বৈত ইভেন্টে খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করছেন। 

আজ ৩০+ এর ৪টি, ৩৫+ এর ৪টি, ৪০+ এর ৯টি, ৪৫+ এর ৭টি, ৫০+ এর ২টি, ৫৫+ এর ৪টি, ৬০+ এর ৪টি, ৬৫+ এর ৪টি এবং ৭০+ এর ৪টিসহ মোট ৪২টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ক্লাব বিশ্বকাপ মেসির জন্মদিন ম্লান করে দিল পালমেইরাস

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
মেসির জন্মদিন ম্লান করে দিল পালমেইরাস
ছবি : সংগৃহীত

৩৮তম জন্মদিনটা রাঙাতে পারলেন না লিওনেল মেসি। মাঠেই তাকে শুভেচ্ছা জানানোর ব্যবস্থা করে ইন্টার মায়ামি। কিন্তু সবকিছু ম্লান করে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস।

জয়ের কাছে থেকেও পয়েন্ট ভাগাভাগিতে শেষ হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি। ফ্লোরিডার ক্লাবটি ২-০ গোলের লিডে ছিল। কিন্তু মায়ামিকে হতাশ করে দিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ স্কোরে।

তবে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে দুই দলেরই। ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করে দ্বিতীয় রাউন্ডে পালমেইরাস আর সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও ১ গোলের ব্যবধানের কারণে দুইয়ে থেকে শেষ ষোলোতে গেছে ইন্টার মায়ামি। বিদায় নিয়েছে ইউরোপের ক্লাব পোর্তো তিন ম্যাচের দুটিতে সমতা ও একটি হেরে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড রক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে টাডিও অ্যালেনডে স্বাগতিক দলকে এনে দেন প্রথম লিড। গোলটিতে সহায়তা করেন লুইস সুয়ারেজ।

গোল শোধের চেষ্টা চালালেও দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে উল্টো আরও একটি গোল হজম করে বসে পালমেইরাস। গোলটি করেন সুয়ারেজ। এই গোলে বুড়ো বয়সেও নিজের স্কিল প্রদর্শন করেন তিনি।

তবে হাল না ছাড়া পালমেইরাস ৮০ মিনিটে ম্যাচে ফেরে। একটি গোল করে ব্যবধান কমান বদলি নামা পাউলিনিয়ো ফিলিয়ো। মিনিট সাতেক পরই বদলি নামা আরেক ফুটবলার মাউরিসিও গোল করে সমতা ফেরান ম্যাচে। গ্রুপের অপর ম্যাচে পোর্ত আল আহলির বিপক্ষে ৪-৪ গোলের সমতা করেছে। 

গ্রুপে দুইয়ে থাকায় ইন্টার মায়ামি শেষ ষোলোয় পিএসজির মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি ২৯ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে গড়াবে। ওদিকে পালমেইরাস পেয়েছে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোকে। ২৮ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার নকআউট ম্যাচে ব্রাজিলের এক ক্লাব বিদায় নেবে। অন্য ক্লাবে শেষ আটে চলে যাবে।

জিততে ইংল্যান্ডের চাই ৩৫০ রান, ভারতের ১০ উইকেট

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১১:১১ এএম
জিততে ইংল্যান্ডের চাই ৩৫০ রান, ভারতের ১০ উইকেট
ছবি : সংগৃহীত

হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই হেসেছে ঋষভ পন্তের ব্যাট। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুই ইনিংসেই। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন লোকেশ রাহুল। এসেছে তার ব্যাটেও শতক। ঋষভের ব্যাটে ১১৮ আর রাহুল করেছেন ১৩৭ রান। 

কিন্তু এই দুই বাটারের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। ৩৩৩ রানে ৫ উইকেট থেকে ভারত অলআউট ৩৬৪ রানে। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭১ রান। দিন শেষে বিনা উইকেট ২১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।

এত বড় লক্ষ্য তাড়া করা মোটেও সহজ কাজ নয় টেস্ট ক্রিকেটে। তবে বছর তিনেক আগে এজবাস্টনে বাজবল যুগের সূচনায় ৩৫০ এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ইংলিশরা ভারতেরই  বিপক্ষে। 

ভারতের সামনে সুযোগ ছিল আরও বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার। রাহুল ও পন্ত চতুর্থ উইকেটে গড়েছিলেন ১৯৫ রানের জুটি। দুইজন খেলেন দুই মেজাজে। রাহুলের শতকটি এশিয়ার বাইরে হিসেবে ষষ্ঠ। ক্যারিয়ারে এ কীর্তিতে তাঁর উপরে এখন কেবল সুনীল গাভাস্কার ১৫ শতক নিয়ে। পন্তের সেঞ্চুরিটি ইংল্যান্ডে নিজের চতুর্থ, উইকেটকিপার হিসেবে যা যৌথ সর্বোচ্চ।

দলীয় ৩৩৩ রানে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলা রাহুল বিদায়ে ছন্দপতন হয় ভারতীয়দের ব্যাটিংয়ে। শেষের ৬ ব্যাটার মিলে করতে পারেন মাত্র ৩১ রান। মাত্র ৭১ বলের ব্যবধানে ৩৬৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।

ভারতের এই ধসটা নামান পেসার জশ টাং। চার বলে ৩ উইকেট নিয়ে সবকিছু ওলট-পালট করে দেন তিনি। পরপর দুই বলে ফেরান শার্দুল ঠাকুর ও মোহাম্মদ সিরাজকে। একবল পর বোল্ড করেন জাসপ্রীত বুমরাহকে। 

শেষ বিকালে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক ওপেনাররা অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাটিং করেছেন। মাত্র ৬ ওভার ব্যাটিং করলেও কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে তাদের সংগ্রহ ২১ রান। জিততে দরকার আরও ৩৫০ রান।

এতবড় লক্ষ্য তাড়া করা অনেক কঠিন হলেও, এজবাস্টনের স্মৃতিতে উজ্জীবিত হয়ে ইংলিশদের লক্ষ্য এবারও তেমন কিছুই করা। অন্যদিকে, ভারতের লক্ষ্য প্রথম সেশনেই জয়ের সুবাস বের করে আনা।

সবমিলিয়ে হেডিংলি টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছে।

শুভ জন্মদিন লিওনেল মেসি শেষ নাচের অপেক্ষায় জাদুকর

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
শেষ নাচের অপেক্ষায় জাদুকর
ছবি : সংগৃহীত
২৪ জুন, ১৯৮৭। এক উষ্ণ দুপুরে রোসারিওর আকাশে ফুটেছিল এক ফুটবল-নক্ষত্রের জন্মরং। তিন যুগ পেরিয়ে আজ তিনি ৩৮। যিনি শুধু একজন ফুটবলার নন। তিনি ইতিহাস, তিনি সময়ের মহাকাব্য। তিনি কি কেবল বয়সে বন্দি এক ফুটবলার? না, তিনি এক আবেগের নাম, এক বিপ্লবী। এক চিরন্তন কবিতা, যিনি সময়কে থমকে দিয়েছেন বাঁ পায়ের জাদুতে। 
 
বাঁ পায়ের কেরামতি। সেটা অপার্থিব নাকি মায়াবী বিভ্রম। কেউ বলে ঐশী দক্ষতা, কেউবা অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা। সবুজ গালিচায় সর্পিল গতিতে তার আঁকাবাঁকা চলা মুগ্ধতার রেণু ছড়ায়। সঙ্গে ওলটপালট হয় রেকর্ড বুক। কত গোল, কত ট্রফি, কত কীর্তি, রোসারিও থেকে বার্সেলোনা, টিস্যু পেপারে সাইন করা থেকে ভুবন মাতানো এক ফুটবলার- লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
 
শুরুটা ছিল তীব্র লড়াইয়ের। ছোটবেলায় গ্রোথ হরমোনের অভাবে খর্বকায় শিশু মেসিকে কেউ ভাবেনি বিশ্ব কাঁপাবে। কিন্তু বার্সেলোনায় সেই যাত্রা শুরু হয়েছিল চুপিচুপি, যেন কোনো গীতিকাব্যের প্রথম লাইন।
 
২০০৪ সালে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক, এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই দশক। অনেক শিরোপা, কত্ত ব্যালন ডি’অর। তার গোলের সংখ্যা কাঁড়ি কাঁড়ি, রেকর্ডের খাতা যেন ফুরোচ্ছে না কিছুতেই। তবুও একটা অপূর্ণতা ঘিরে ছিল তাকে, তাও একটানা প্রায় এক যুগ।
 
একটি বিশ্বকাপের জন্য কত হাপিত্যেশ ছিল মেসির, তা সবারই জানা। ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০, মেসির কাঁধে চড়ে ২০১৪। দুই বিশ্বকাপের ফাইনালেই জার্মান মেশিনে বিকল হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর দুবার কোপা আমেরিকার খেতাব মিস। পেনাল্টি মিসে সূর্যাস্ত। অভিমান-দুঃখে অবসরও নিয়েছিলেন মেসি। কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলে আর না।’
 
তবে শেষ সেখানেই নয়। হেরে যাওয়ার মুহূর্ত থেকে যারা চ্যাম্পিয়নের সরণিতে ফিরে আসেন, তারাই প্রকৃত লিজেন্ড। মেসিও যেমন তাই। মেসির সূর্য তখন ডুবে যাচ্ছিল কোপা মিসে। কিন্তু তিনিই তো মেসি-পুনর্জন্ম যার আরেক নাম। ২০২১ সালে মারাকানায় ব্রাজিলকে হারিয়ে পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি, কোপা আমেরিকা। সেই জয় ছিল শুধুই শিরোপা নয়, ছিল জীবনের দিকে নতুন করে প্রত্যাবর্তন।
 
তারপর কাতার ২০২২, মেসির মহাকাব্যিক অর্জন। ৩৫ বছর বয়সে খেললেন স্বপ্নের মতো। গোল করলেন, অ্যাসিস্ট দিলেন, নেতৃত্ব দিলেন, উদযাপন করলেন নিজের মতো করে। আর শেষ পর্যন্ত হাতে তুললেন সোনালি ট্রফিটা।
 
‘মেসি ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছে’, এই বাক্যটা হয়ে রইল এক সমাপ্তি-রহিত আনন্দের নাম। এরপরও থামেননি। পিএসজি ছেড়ে পাড়ি জমালেন আমেরিকায়, ইন্টার মায়ামিতে। অনেকেই ভেবেছিল, এবার বুঝি বিদায়ের ঘণ্টা বাজবে। কিন্তু না, তিনি এখনো স্বতঃস্ফূর্ত, চঞ্চল, প্রাণবন্ত। আরও একটি কোপা আমেরিকা জিতেছেন এর মাঝে, যেন বলে দিচ্ছেন- ‘আমি এখনো শেষ হইনি।’
 
জীবন নামের বহতা নদীতে চিরস্থায়ী দুঃখ বলে কিছু নেই। কোন এক রাঙা ভোরে সব হতাশা, গ্লানি, অপ্রাপ্তি, কলঙ্ক উবে যায় প্রখর স্বর্ণালি সাফল্যে। ঐতো সূর্য, ঐটাই সাফল্য। জীবন বারবার ফিরে আসার স্ক্রিপ্ট তৈরি করার সুযোগ দেয়, সাহসের সঙ্গে যে গ্রহণ করতে পারে তিনিই   দিগবিজয়ী, তিনিই কিংবদন্তি; তিনিই লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
 
সেই কিংবদন্তি এখন তাকিয়ে আছেন ২০২৬ বিশ্বকাপের দিকে। মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হবে সেই প্রতিযোগিতা। এটাই হবে তার শেষ নাচ। আর যদি সেই মঞ্চেও আসে জয়ের ধ্বনি, তবে তিনি হবেন চিরন্তন পূর্ণতা। দুটি বিশ্বকাপ, অগণিত গোল, অজস্র সাফল্যের স্মৃতি- একজন মানুষ, এক মহাকাব্য।
 
মেসি চিৎকার করেন না, বিতর্কে জড়ান না। তার পায়ের ভাষাই তার উত্তর, তার চোখের আলোই তার আবেগ। আজ তার জন্মদিনে শুধু ‘শুভ জন্মদিন’ বললে অত্যুক্তি হবে। বরং বলা ভালো, ‘ধন্য এ সময়, যে সময়ে আমরা দেখেই যাচ্ছি লিওনেল মেসির খেলা।’
 
আমি সুখী, কারণ সব বাদ দিয়ে আমি ফুটবল খেলতেই চেয়েছি। আমি যেহেতু খেলতে ভালোবাসি, এটা আমার কাছে ‘কাজ’ মনে হয় না। এখনো সেই একই রকম আনন্দ নিয়ে খেলি, যেভাবে সেই ছোট্টবেলায় খেলতাম  -লিওনেল মেসি
 
মেসি হলো একটি প্রতিভা। সে সবকিছু। আমি যখন তাকে দেখি, তখন আমার ম্যারাডোনার কথা মনে হয়    -ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্মানি কিংবদন্তি
 
মেসিকে নিয়ে কিছু লিখো না। তাকে বর্ণনা করার চেষ্টাও করো না। শুধু তার খেলা দেখো এবং উপভোগ করে যাও     -পেপ গার্দিওলা
 

টিভিতে আজকের খেলা (২৪ জুন)

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:১০ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ জুন)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (২৪ জুন) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

ইংল্যান্ড-ভারত, প্রথম টেস্ট
পঞ্চম দিন, জিওহটস্টার

ফুটবল (সরাসরি)

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

বেনফিকা-বায়ার্ন, রাত ১টা
অকল্যান্ড-বোকা জুনিয়র্স, রাত ১টা
ডিএজেডএন

কেন ২৩ জুন অলিম্পিক দিবস?

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
কেন ২৩ জুন অলিম্পিক দিবস?
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জানা-অজানা সকল খেলাকে এক মঞ্চে এনে পরিচিত করিয়েছে অলিম্পিক গেমস। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই মাল্টি-স্পোর্টস ইভেন্ট অ্যাথলেটদের জন্য সর্বোচ্চ মর্যাদার এক মঞ্চ। অলিম্পিকের লক্ষ্য কেবলই শতাধিক খেলার ইভেন্ট আয়োজন করা নয়। মূল লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে শান্তি-সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। সবকিছুই থমকে গিয়েছিল দুই বিশ্বযুদ্ধের (১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালে) কবলে পড়ে। যুদ্ধ কাটিয়ে অলিম্পিক ফেরে এবং সেই পুনর্জাগরণ আজও বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় ২৩ জুন। প্রতিবছর এই দিনটিতে পালন করা হয় অলিম্পিক দিবস।

৭৭ বছর আগের কথা। ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছিল অলিম্পিক দিবস, যা অলিম্পিকের যাত্রা শুরুর ৫৪ বছর পরের ঘটনা। ১৮৯৪ সালের ২৩ জুন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গঠিত হওয়ার কারণে এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে অলিম্পিক দিবস হিসেবে। ঐতিহাসিক গেমসের সূচনা করেছিলেন ফরাসি শিক্ষা ও ইতিহাসবিদ পিয়েরি দে কুবার্কিন। তিনি অলিম্পিক মঞ্চের ভিত গড়ে দেন এবং অ্যাথেনসে ১৮৯৬ সালে প্রথমবারে মতো মাল্টি-স্পোর্টস ইভেন্টের সাক্ষী হয় বিশ্ব।

নতুন করে ১৯৪৮ যখন যখন আবারও অলিম্পিক গেমস চালু হয়, তখন দিনটি সমগ্র বিশ্বেই গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পরিচিত লাভ করে। যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গেই দিনটিকে পালন করা হয় দেশে-দেশে। আয়োজিত হয় দৌঁড় প্রতিযোগিতা, শরীরচর্চা অভিযান। যাতে করে অলিম্পিকের চেতনার মাধ্যমে ছড়িয়ে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপনের বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া যায় সবার মাঝে।

অলিম্পিকের প্রথম আসরে ছিলেন মাত্র ২৪১ অ্যাথলেট। তাদের সবাই পুরুষ ছিলেন এবং ২০০’র বেশি ছিলেন গ্রিক অ্যাথলেট। ১০ ডিসিপ্লিনের মোট ৪৩টি ইভেন্টে সবমিলিয়ে ছিল ১৪ দেশের প্রতিনিধি। সর্বশেষ ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেট অংশ নেয় ১০ হাজার ৭১৪ জন। ৪৮ ডিসিপ্লিনে ৩২৯ ইভেন্টে ছিল ২০৪ দেশের প্রতিনিধি। ক্রমেই বেড়েছে পরিধি এবং জনপ্রিয়তা। অলিম্পিকও পূর্ণতা পেয়েছে তার লক্ষ্যপূরণে।