ব্যাটিংয়ে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিকের পর বোলিংয়ে ছয় বোলারের সম্মিলিত নৈপুণ্যে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্বাগতিকরা জিতে নিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে অস্বস্তিতে পড়ে সফরকারী জিম্বাবুয়ে পূর্ণ ২০ ওভার ব্যাটিং করে সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে পঞ্চাশ রানের আগেই হারায় ৪ উইকেট।
জিম্বাবুয়ের দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাহমুদউল্লাহ’র ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জয়লর্ড গাম্বিকে। তিনি করেন ৯ রান। ৮ রান পর দলীয় ২৪ রানে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে আউট করেন ৫ রান করা ব্রায়ান বেনেটকে। দুই উইকেটের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ের আরেক ব্যাটার। এবার ক্রেইগ এরভাইনকে বোল্ড করলে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরভাইন করেন ১১ রান। হাল ধরতে মাঠে নেমে ব্যর্থ হন রোডেশিয়ানদের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও, তিনি করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ৪৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে রিশাদ হোসেনের বলে জাকের আলিকে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরলে।
ওপেনিংয়ে নেমে বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখতে থাকা তাদিনওয়াশে মারুমানি কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে। ২৬ বলে ৩১ রান করে তার বিদায়ে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। তাসকিন আহমেদের বলে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের। ক্লাইভ মাদান্দে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ রান করে। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে দেখে বাংলাদেশের জয় সময়ের ব্যাপার মনে হলেও তা কঠিন করে দিয়েছিলন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ফারাজ আকরাম।
ক্যাম্পবেল ১০ বলে ২১ রান করে স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে আউট হলেও সফকারীদের খেলায় জিইয়ে রাখেন ফারাজ আকরাম। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩০ বলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এই জুটিতে তারা ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। ৯ রানে হেরে সিরিজে পরাজিত হয় সফরকারীরা। ফারাজ অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ৩৪ রানে।
শেষ ওভারে জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। বল করতে আসা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রথম বলেই আউট করেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে। পরের দুই বলে ব্লেসিং মুজারাবানি দুটি চার মারলেও পরের তিন বলে মাত্র ৩ রান নিলে ৯ রানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। আর এই জয়ে ৩-০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি আর বাকি পাঁচ বোলারের সবাই নেন ১টি করে উইকেট। ৩ চার ও দুই ছয়ে ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আজও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন তাওহিদ হৃদয়।