গ্রীষ্মের খরতাপে চারদিক যেন পুড়ে যাচ্ছে। কাঠফাটা রোদ্দুরের সঙ্গে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রোদে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন সৌন্দর্যের বার্তা নিয়ে এসেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গ্রীষ্মের এই রুক্ষ পরিবেশ ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতেই হয়তো প্রকৃতির এই আয়োজন।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হলেও এ বছর শুধু মসজিদ-সংলগ্ন প্রধান ফটকের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছটিতে রক্তিম বর্ণের ফুলে এক মোহনীয় আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে।
ছোট্ট এ ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসে যেন সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে, যে-কারও চোখ আটকে যায় লাল কৃষ্ণচূড়ায়।
কাঠফাটা রোদের মধ্যে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু রং গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম ফুলগুলো। চিরল চিরল সবুজ পাতার মাঝে যেন আগুনের ঝুড়ি। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে। শিক্ষার্থীরা অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।
পাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আলমাছুর রহমান অয়ন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ঢুকতেই বাম পাশে মসজিদের সামনে লাল কৃষ্ণচূড়া দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠে। নিজেদের ক্যাম্পাস আঙিনায় সম্ভবত এই প্রথম এমন দৃশ্যপট। গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে আপন মহিমায়।’
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিম ইবনাত বিভা বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম। তবে এটি সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকেও আমাদের রক্ষা করে। কর্তৃপক্ষ যেন ক্যাম্পাসে আরও কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগায় সেই অনুরোধ থাকবে।’
কলি