মানবপতাকা তৈরির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই মানবপতাকা প্রদর্শনীতে প্রায় ১৪০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন: সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে মানবপতাকা প্রদর্শনী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মোর্শেদ বলেন, ‘ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন এটি যুদ্ধ নয়, এটি একটি গণহত্যা, যা পৃথিবীর আদিম বরবরতাকে হার মানায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এই গণহত্যা শুরু হয়েছে। আমেরিকার দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হত্যা, জুলুম ঢুকে আছে। তারা আজকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছে যেখানে আমরা সবাই ভুক্তভোগী। আমরা বারবার দেখে আসছি তারা একটার পর একটা জাতিকে ধ্বংস করে আসছে।’
ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু। আমরা মানবাধিকারের কথা বলছি। অথচ আমাদের চোখের সামনে এত বড় গণহত্যা হচ্ছে। তবে আশার কথা আমেরিকার তরুণরা আজকে জেগেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প গঠন করেছে। তাদের ক্যাম্প বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর পরও তারা দমে যায়নি, এটা আমাদের জন্য একটি আশার সঞ্চার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করব নেতানিয়াহুসহ যারা এই গণহত্যায় অংশ নিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমরা দেখেছি সরকার ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে, এটা যাতে বজায় থাকে।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি; ওয়ান টু থ্রি ফোর ওকুপেশন নো মোর; ওয়ান টু থ্রি ফোর জায়োনিজম নো মোর; ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন; মার্চ ফর প্যালেস্টাইন ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।