কর্মকর্তার তোপে অতিষ্ঠ রুয়েট / প্রভাব খাটিয়ে চাকরি, জালিয়াতি করে পদোন্নতি । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কর্মকর্তার তোপে অতিষ্ঠ রুয়েট প্রভাব খাটিয়ে চাকরি, জালিয়াতি করে পদোন্নতি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
প্রভাব খাটিয়ে চাকরি, জালিয়াতি করে পদোন্নতি
শাহ মো. আলবেরুনী ফারুক

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ মো. আলবেরুনী ফারুক। সম্প্রতি এক রাজাকারের শ্যালক ও বিএনপি নেতার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

অভিযুক্ত শাহ মো. আলবেরুনী ফারুক মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস ছামাদ শাহর ছেলে। তিনি এর আগেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও প্রভাব খাটিয়ে রুয়েটে চাকরি বাগিয়ে নেওয়া, আধিপত্য বিস্তারে ক্যাম্পাসে বিভক্তি সৃষ্টি, নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণসহ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরিতে পদোন্নতি অন্যতম। তার এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রুয়েট। এবার রুয়েটে ভুয়া তথ্য দিয়ে ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের পদোন্নতি বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের তথ্য ও প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ: রুয়েটে ২০১২ সালের সার্কুলারে পিএস টু ভিসি পদে একজনকে নিয়োগের সময়কার ঘটনা। ৩৩ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কৃতকার্যদের নিয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য তালিকা প্রকাশ করা হলে সেখানে আলবেরুনী ফারুকের নাম ছিল না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দিতে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নিয়ে তৎকালীন উপাচার্যের দপ্তর ঘেরাও করে রাখেন তিনি। এ ছাড়া নানাভাবে হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করলে আলবেরুনী ফারুককে চাকরি দিতে বাধ্য হন তৎকালীন উপাচার্য ড. সিরাজুল করিম চৌধুরী।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‍তৎকালীন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হওয়ায় আবেগের বশবর্তী হয়ে ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা না করেই ওই সময় তাকে চাকরি পেতে সহযোগিতা করেছিলাম। কিন্তু অযোগ্য লোককে চাকরিতে সহযোগিতা করায় বর্তমানে আমরা অনুতপ্ত।’

বাণিজ্য ও ঠিকাদারিতে আধিপত্য বিস্তার: পিএস টু ভিসি পদে চাকরি নিয়েই নিয়োগ-বাণিজ্য ও ঠিকাদারিতে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠেন আলবেরুনী ফারুক। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন উপাচার্য ড. সিরাজুল করিম চৌধুরীর সহযোগিতা না পেয়ে ও নিয়োগ দিতে শুরুতে অস্বীকৃতি জানানোর জেরে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। আন্দোলনের মুখে ড. সিরাজুল করিমকে অব্যাহতি দিয়ে ড. মর্তুজাকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর উপাচার্য ড. মর্তুজার নাম ভাঙিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য, ঠিকাদারিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

অভিযোগ আছে, রুয়েটের প্রকৌশল দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আলবেরুনী ফারুকের যোগসাজশে সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেনকে বাদ দেওয়া হয়। পরে সেই পদে অনৈতিকভাবে রুয়েট ছাত্রশিবিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও শিবির নেতা মো. আহসান হাবীবকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রাজাকারের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগেও ওই নিয়োগ ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ ছাড়া বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ঠিকাদারি কাজ পেতে সহযোগিতা করেন আলবেরুনী ফারুক। এসব অপকর্মের জন্য ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিতও হয়েছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলবেরুনী ফারুকের এসব অপকর্মের দায় তৎকালীন উপাচার্য ড. মর্তুজার কাঁধেও পড়ে। ফলে এসব অভিযোগে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মর্তুজাও অভিযুক্ত হলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে রফিকুল ইসলাম বেগকে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়।

অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি: রফিকুল ইসলাম বেগ উপাচার্য হলে কৌশলে তারও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন আলবেরুনী ফারুক। ঘনিষ্ঠতার সুযোগে মাত্র দেড় বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার পদ বাগিয়ে নেন তিনি। অথচ এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সহকারী রেজিস্ট্রারের একটি পদে নিয়োগের জন্য ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এতে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি আবেদনের শেষ সময় বেঁধে দিয়ে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক/একাডেমিক/পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। কিন্তু মাত্র ১ বছর ১০ মাসের চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়েই ওই পদে আবেদন করেন আলবেরুনী ফারুক। এ ছাড়া পিএস টু ভিসি পদে চাকরিতে প্রবেশের আবেদনে তার কোনো অভিজ্ঞতা দেখানো ছিল না। ফলে আবেদনে অভিজ্ঞতার ছকটি আড়াআড়িভাবে কাটা ছিল। এমনকি চাকরিতে যোগদানের আগে পুলিশ প্রত্যয়ন ফরমেও অভিজ্ঞতার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। পরে অসৎ সুযোগ লাভের লক্ষ্যে ওই আবেদনপত্রটি ঘষামাজা করে কাটা ওই ছকের মধ্যেই একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিজ্ঞতার কথা লেখা হয়, যা স্পষ্টত জালিয়াতি।

আরও জানা যায়, শাহ মো. আলবেরুনী ফারুক সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেতে আবেদনের সঙ্গে ১ জুন ২০০৫ থেকে ৩১ জুলাই ২০১১ পর্যন্ত একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা সনদ যুক্ত করেন। অথচ এই সময়ে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে থাকায় ঢাকায় অবস্থান করতেন। এ ছাড়া ২০০৮ সাল থেকে প্রায় দুই বছর তিনি রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের পিএ হিসেবে ছিলেন এবং তার মাধ্যমে এ সময় নিজের স্ত্রীকে চাকরিতে ঢোকান। ফলে প্রায় ৬ বছর ২ মাস চাকরি করার এই অভিজ্ঞতা সনদ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু তার বিতর্কিত এই সনদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটিও প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ রাখা হয়। শুধু তা-ই নয়, ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে আপগ্রেডেশন পেতে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য রফিকুল ইসলাম বেগের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন আলবেরুনী ফারুক। পরে বাধ্য হয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে পদোন্নতি দেন তিনি। অথচ রুয়েট চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে আপগ্রেডেশনের জন্য সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ন্যূনতম অভিজ্ঞতা ১১ বছর প্রয়োজন হলেও ২০২১ সালে মাত্র ৯ বছর ৯ মাসের অভিজ্ঞতা নিয়েই পদটি বাগিয়ে নেন আলবেরুনী ফারুক। এমনকি উপাচার্যকে চাপে রেখে ওই সময় আপন শ্যালককে চাকরি দিতেও বাধ্য করেন তিনি।

‘আকস্মিক পরিদর্শন কমিটি’র সঙ্গেও অশালীন আচরণ: নানা অপকর্মে জড়িয়েও শাস্তির আওতায় না আসায় আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আলবেরুনী ফারুক। এতে বিভিন্ন সময় রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রুয়েটের শুদ্ধাচার কৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ‘আকস্মিক পরিদর্শন কমিটি’র সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেন তিনি। এ বিষয়ে রেজল্যুশনে উল্লেখ করা হলে তাতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও পরিদর্শন কমিটির সভাপতি ড. সাজ্জাদ। কিন্তু অভিযুক্ত ফারুকের বিষয়ে অদৃশ্য কারণে কোনোরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ওই পরিদর্শন কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে।

এ ছাড়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার নামে গত বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ছুটি নেন আলবেরুনী ওরফে ফারুক। কিন্তু ছুটিতে থাকা অবস্থায় ১২ মে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই রুয়েটে অনুষ্ঠিত রাজশাহী ওয়াসার নিয়োগ পরীক্ষার ডিউটিতে অংশ নেন তিনি। ছুটিতে থাকাকালীন অসৎ উদ্দেশ্যেই কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার ডিউটিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য ড. সিরাজুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে রুয়েটের সাবেক ভিসি রফিকুল ইসলাম বেগ বলেন, ‘এত আগের খবর আমি বলতে পারব না। এটির একটি কমিটি করে দেওয়া হয়, তারা যাচাই-বাছাই করে সেটির জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরে সুপারিশ করে। আমি এগুলো দেখি না। আর এই বিষয়ে বলতেও পারব না। আমার আমলের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

রুয়েটের সাবেক রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া নিয়ম না মেনে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে আপগ্রেডেশনের বিষয়ে জানতে সাবেক ভিসি রফিকুল ইসলাম শেখকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ওই সময়ের রেজিস্ট্রার ড. সেলিম হোসেন বলেন, ‘এটি কীভাবে হয়েছে এখন বলা সম্ভব নয়। তবে আপনারা যেহেতু বলছেন, আমি এটি বর্তমান রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে আপনাদের জানাতে পারব।’

এ বিষয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘যদি কোনো তথ্য গোপন করেন বা পরে কাটাছেঁড়া করে থাকেন, তবে সেটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ছাড়া তার সহকারী রেজিস্ট্রার পদের অভিজ্ঞতা রুয়েটের নিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী হয়েছে। তবে সেই নীতিমালা রুয়েট পরিচালনা অধ্যাদেশে নেই। আমরা বিষয়গুলো তার কাছে জানতে চাইব। তখন বিস্তারিত বলা যাবে। তবে তার ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে শিথিলতা করা হয়েছে।’ প্রতিটি পদেই তার জন্য শিথিলতা কেন- জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রুয়েটের উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ মো. আলবেরুনী ওরফে ফারুক বলেন, ‘আমি প্রথম শ্রেণির চাকরি করছি ২০১২ সাল থেকে। আর ২০২২ সালে যদি আমার প্রমোশন হয়, তাহলে গ্যাপ থাকল কোথায়? একজন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। সহকারী রেজিস্ট্রার আর ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েছি পৃথক দুই উপাচার্যের সময়। তাই এসব বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করেন। আমি কিছু বলতে পারব না।’

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা এখানে কাজ করেন (অভ্যন্তরীণ প্রার্থী) তাদের অভিজ্ঞতা শিথিল করার নিয়ম আছে। তাই তারও অভিজ্ঞতা শিথিল করা হয়েছে। তবে শিথিলতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি এবং ডকুমেন্টস দিতে পারেননি।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:১৬ এএম
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের
ছবি : খবরের কাগজ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মৌন মিছিল করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকরা। রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী পুরকৌশল ভবন থেকে তারা মৌন মিছিলটি বের করেন। মিছিলটি ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবন হয়ে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিকে সর্বজনীন পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে একই স্থানে মানববন্ধন করছেন বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

মানববন্ধনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটি কখনোই সর্বজনীন পেনশন স্কেল হতে পারে না। যদি সবাইকে একই পেনশন স্কেলের আওতায় আনা হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে এবং অন্যদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে, সেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মনে করি, এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

যে বৈষম্যমূলক পেনশন স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি তা না হয়, তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। আমরা আশা করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’ 

 

ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি
শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

ক্লাসে উপস্থিত না থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ কথা জানান।

ড. মশিউর রহমান বলেন, শুধু কাগুজে সনদ অর্জন নয়, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যথার্থ জ্ঞান অর্জন করে একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা শেষ করতে হবে। অন্যথায় কাগজের সনদ অর্জন করে কোনো লাভ হবে না। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে তোমরা যারা নবীন শিক্ষার্থী এসেছ, এটি তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কোনো রকম দুর্বলতা না রেখে পথ চলতে হবে। তোমরা যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ, তোমরা কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবে না। নিয়মিত পাঠ গ্রহণ ও শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে এলে তুমি নিশ্চয়ই সফল হবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা চাইব তোমাদের জন্য ডিজিটাল অ্যাকসেস নিশ্চিত করতে, যাতে তোমরা সহজে লার্নিং ম্যাটেরিয়াল পেতে পারো। এ জন্য আমরা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) চালু করতে যাচ্ছি। যাতে তোমরা হাতের মুঠোয় ই-বুক, ই-জার্নাল, ই-পেপার অ্যাকসেস নিশ্চিত করতে পারো।’

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে স্নাতক-পূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম দেশ অস্ট্রেলিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে দেশটিতে স্কলারশিপ নিয়ে অনেকে পড়তে যান।

বর্তমানে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। দেশটির অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ)।

১৯৪৬ সালে যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় অবস্থিত এএনইউ একটি জাতীয় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্কলারশিপ হচ্ছে ‘এএনইউ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ’।

প্রতি বছর স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতি বছর এ বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের ৩৬ হাজার ডলার প্রাইজমানি দেওয়া হয়। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের সাড়ে তিন বছর এ বৃত্তি দেওয়া হবে।

সুযোগ-সুবিধা
সম্পূর্ণ টিউশন ফি পাওয়া যাবে।
শিক্ষার্থীদের বছরে ৩৬,৬৫২ ডলার দেওয়া হবে।
গবেষণা ভাতা দেওয়া হবে।
এ বৃত্তি পেলে স্ত্রী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের নেওয়ার সুযোগ আছে।
আবাসন সুবিধাও আছে।
মিলবে স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ ভাতা।

আবেদনের যোগ্যতা
যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।
একাডেমিক ফল ভালো হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ 
করতে হবে।
আইইএলটিএসে কমপক্ষে ৬.৫ পেতে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া
শিক্ষাগত যোগ্যাতা অনুসারে।

আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ
৩১ আগস্ট ২০২৪।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ
https://study.anu.edu.au/scholarships/find-scholarship/australian-government-research-training-program-agrtp-stipend

কলি

৪৬তম আইসিপিসি এশিয়া ওয়েস্টে প্রথম বুয়েট

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
৪৬তম আইসিপিসি এশিয়া ওয়েস্টে প্রথম বুয়েট

৪৬তম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বে (ওয়ার্ল্ড ফাইনালস) এশিয়া-ওয়েস্ট অঞ্চলে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বুয়েট পটেটোস’ দল।

প্রতিযোগিতায় ১১টির মধ্যে ছয়টি সমস্যার সমাধান করে ২৮তম হয়েছে দলটি। মিসরের লুক্সর শহরের দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বুয়েট দলের সদস্যরা হলেন শেখ সাবিত বিন মোসাদ্দেক, মো. সাব্বির রহমান ও কাজী মো. ইরশাদ। কোচ হিসেবে ছিলেন তাওহিদুল হাসান ও তাহমিদ হাসান। প্রতিযোগিতায় ছয়টি সমস্যার সমাধান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিইউ ফ্লেয়ারব্লিটজ ৪.০’ দল ৩৫তম স্থান অর্জন করেছে। 

১১টির মধ্যে ১০টি সমস্যার সমাধান করে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। ৯টি সমস্যার সমাধান করে সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস।

এ বছর ৪৬তম আইসিপিসিসহ ৪৭তম আইসিপিসি একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪৭তম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ৯টি সমস্যার সমাধান করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি (রাশিয়া)। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি সমস্যার সমাধান করে ৬৫তম হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বুয়েট পটেটোস’ দল।

আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট আয়োজিত এবারের আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় ১৬ এপ্রিল। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৫০টি দেশের ১৭০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি দল অংশ নেয়।

আইসিপিসি অপারেশনস টিমের সদস্য ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. ইমরান বিন আজাদ জানান, প্রতিযোগিতার ৪৬তম আসরে বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোকে পেছনে ফেলে এশিয়া-ওয়েস্ট অঞ্চলে বুয়েটের সেরা হওয়া গর্বের বিষয়। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় সবার আগে একটি সমস্যা সমাধান করে ‘ফার্স্ট টু সলভ’ পুরস্কারও পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিইউ ফ্লেয়ারব্লিটজ ৪.০’ দল।

চূড়ান্ত আসর বা ফাইনালে পরীক্ষাটি পরিচালনা করে আইসিপিসির বিচারক পর্ষদ। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সমাধান করা দলকে ওয়ার্ল্ড ফাইনাল বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা। আইসিপিসির ৪৬তম আসরের ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় মিসরের লুক্সর শহরের দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে।

গত ১৪ থেকে ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ আসরে বিশ্বের ১২৪টি দল অংশ নেয়। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।ৎ

কলি

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাব আয়োজিত ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’ গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক স্পিকার, অভিনয়শিল্পী, আইনজীবী এবং সফল উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাদার চার্লস বি গডন, সিএসসি, ট্রেজারার ড. ফাদার আদম এস পেরেরা, সিএসসি, রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি, ক্লাব কো-অর্ডিনেটর সিস্টার সাগরিকা মারীয়া গমেজ, সিএসসি, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ফাদার চার্লস বি গডন, সিএসসি বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ট্রেজারার, ড. ফাদার আদম এস পেরেরা, সিএসসি বলেন, নটর ডেম কলেজ থেকেই বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্ম হয়েছে। নটর ডেম কলেজের ষষ্ঠ অধ্যক্ষ ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম, সিএসসির হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা আজও  সারা দেশে চলমান।

রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি বলেন, একজন বিতার্কিকের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো যোগাযোগের সক্ষমতা। এই সক্ষমতা ছাড়া একজন বিতার্কিক সফল হতে পারে না। অনুষ্ঠানে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া শিক্ষার্থীদের কীভাবে গড়ে উঠতে হবে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন। পরে ডিবেটিং ক্লাবের তৃতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

 কলি