স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে সংহতি ঢাবি ছাত্রলীগের । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে সংহতি ঢাবি ছাত্রলীগের

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে সংহতি ঢাবি ছাত্রলীগের
ছবি : খবরের কাগজ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশব্যাপী পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ।

এদিকে দেশের অন্যান্য জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে সবচেয়ে বেশি উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এছাড়া ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে শোভা পায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা।

সোমবার (৬ মে) ঢাবির মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে এক পদযাত্রা শুরু হয়। এসময় পদযাত্রায় অংশ নেওয়ারা ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রাটি ভিসি চত্বর-ফুলার রোড-কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৌঁছালে পরে সেখানে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সেই সীমান্ত ব্যারিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে গিয়ে একাকার হয়ে গেছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াবো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের মোড়লরা যারা বাকস্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয় এবং বলে দেয় কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোনটি অগণতান্ত্রিক। আজ তাদের মুখোশ কীভাবে উন্মোচিত হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন, তাদের দেশ থেকেই দুর্বার আন্দোলনের জয়ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তাদের দেশে ১৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আন্দোলন চলমান, সেখানে আড়াই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যারা ফিলিস্তিনে এই নরকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে তাদের মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযুক্তদের বিচারের আহ্বান জানান এই ছাত্রলীগ নেতা।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে বাঁধভাঙা গণজোয়ার, তা সেই গাজা উপত্যকায় গিয়ে লাগবে এবং গাজা উপত্যকা থেকে সব অন্যায়, অবিচার, অপশাসন ভেসে যাবে। শেখ মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত- শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে। তার হাতে গড়া সংগঠন আমরাও জানিয়ে দিতে চাই সারাবিশ্বের শোষিত, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে থাকব, অত্যাচারিত মানুষের পক্ষে থাকব।

ছাত্রলীগের সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের ধন্যবাদ: ঢাবিতে রাজু ভাস্কর্যের ভাস্কর্যে অংশ নেয় ফিলিস্তিন শিক্ষার্থীরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আকিব মুহাম্মদ ফুয়াদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক বাবু সজল কুন্ডু প্রমুখ।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:১৬ এএম
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের
ছবি : খবরের কাগজ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মৌন মিছিল করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকরা। রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী পুরকৌশল ভবন থেকে তারা মৌন মিছিলটি বের করেন। মিছিলটি ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবন হয়ে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিকে সর্বজনীন পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে একই স্থানে মানববন্ধন করছেন বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

মানববন্ধনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটি কখনোই সর্বজনীন পেনশন স্কেল হতে পারে না। যদি সবাইকে একই পেনশন স্কেলের আওতায় আনা হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে এবং অন্যদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে, সেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মনে করি, এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

যে বৈষম্যমূলক পেনশন স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি তা না হয়, তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। আমরা আশা করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’ 

 

ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি
শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

ক্লাসে উপস্থিত না থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ কথা জানান।

ড. মশিউর রহমান বলেন, শুধু কাগুজে সনদ অর্জন নয়, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যথার্থ জ্ঞান অর্জন করে একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা শেষ করতে হবে। অন্যথায় কাগজের সনদ অর্জন করে কোনো লাভ হবে না। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে তোমরা যারা নবীন শিক্ষার্থী এসেছ, এটি তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কোনো রকম দুর্বলতা না রেখে পথ চলতে হবে। তোমরা যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ, তোমরা কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবে না। নিয়মিত পাঠ গ্রহণ ও শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে এলে তুমি নিশ্চয়ই সফল হবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা চাইব তোমাদের জন্য ডিজিটাল অ্যাকসেস নিশ্চিত করতে, যাতে তোমরা সহজে লার্নিং ম্যাটেরিয়াল পেতে পারো। এ জন্য আমরা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) চালু করতে যাচ্ছি। যাতে তোমরা হাতের মুঠোয় ই-বুক, ই-জার্নাল, ই-পেপার অ্যাকসেস নিশ্চিত করতে পারো।’

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে স্নাতক-পূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম দেশ অস্ট্রেলিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে দেশটিতে স্কলারশিপ নিয়ে অনেকে পড়তে যান।

বর্তমানে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। দেশটির অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ)।

১৯৪৬ সালে যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় অবস্থিত এএনইউ একটি জাতীয় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্কলারশিপ হচ্ছে ‘এএনইউ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ’।

প্রতি বছর স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতি বছর এ বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের ৩৬ হাজার ডলার প্রাইজমানি দেওয়া হয়। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের সাড়ে তিন বছর এ বৃত্তি দেওয়া হবে।

সুযোগ-সুবিধা
সম্পূর্ণ টিউশন ফি পাওয়া যাবে।
শিক্ষার্থীদের বছরে ৩৬,৬৫২ ডলার দেওয়া হবে।
গবেষণা ভাতা দেওয়া হবে।
এ বৃত্তি পেলে স্ত্রী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের নেওয়ার সুযোগ আছে।
আবাসন সুবিধাও আছে।
মিলবে স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ ভাতা।

আবেদনের যোগ্যতা
যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।
একাডেমিক ফল ভালো হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ 
করতে হবে।
আইইএলটিএসে কমপক্ষে ৬.৫ পেতে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া
শিক্ষাগত যোগ্যাতা অনুসারে।

আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ
৩১ আগস্ট ২০২৪।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ
https://study.anu.edu.au/scholarships/find-scholarship/australian-government-research-training-program-agrtp-stipend

কলি

৪৬তম আইসিপিসি এশিয়া ওয়েস্টে প্রথম বুয়েট

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
৪৬তম আইসিপিসি এশিয়া ওয়েস্টে প্রথম বুয়েট

৪৬তম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বে (ওয়ার্ল্ড ফাইনালস) এশিয়া-ওয়েস্ট অঞ্চলে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বুয়েট পটেটোস’ দল।

প্রতিযোগিতায় ১১টির মধ্যে ছয়টি সমস্যার সমাধান করে ২৮তম হয়েছে দলটি। মিসরের লুক্সর শহরের দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বুয়েট দলের সদস্যরা হলেন শেখ সাবিত বিন মোসাদ্দেক, মো. সাব্বির রহমান ও কাজী মো. ইরশাদ। কোচ হিসেবে ছিলেন তাওহিদুল হাসান ও তাহমিদ হাসান। প্রতিযোগিতায় ছয়টি সমস্যার সমাধান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিইউ ফ্লেয়ারব্লিটজ ৪.০’ দল ৩৫তম স্থান অর্জন করেছে। 

১১টির মধ্যে ১০টি সমস্যার সমাধান করে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। ৯টি সমস্যার সমাধান করে সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস।

এ বছর ৪৬তম আইসিপিসিসহ ৪৭তম আইসিপিসি একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪৭তম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে ৯টি সমস্যার সমাধান করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি (রাশিয়া)। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি সমস্যার সমাধান করে ৬৫তম হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বুয়েট পটেটোস’ দল।

আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট আয়োজিত এবারের আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় ১৬ এপ্রিল। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৫০টি দেশের ১৭০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি দল অংশ নেয়।

আইসিপিসি অপারেশনস টিমের সদস্য ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. ইমরান বিন আজাদ জানান, প্রতিযোগিতার ৪৬তম আসরে বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোকে পেছনে ফেলে এশিয়া-ওয়েস্ট অঞ্চলে বুয়েটের সেরা হওয়া গর্বের বিষয়। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় সবার আগে একটি সমস্যা সমাধান করে ‘ফার্স্ট টু সলভ’ পুরস্কারও পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিইউ ফ্লেয়ারব্লিটজ ৪.০’ দল।

চূড়ান্ত আসর বা ফাইনালে পরীক্ষাটি পরিচালনা করে আইসিপিসির বিচারক পর্ষদ। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সমাধান করা দলকে ওয়ার্ল্ড ফাইনাল বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা। আইসিপিসির ৪৬তম আসরের ওয়ার্ল্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় মিসরের লুক্সর শহরের দ্য আরব একাডেমি ফর সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে।

গত ১৪ থেকে ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ আসরে বিশ্বের ১২৪টি দল অংশ নেয়। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।ৎ

কলি

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাব আয়োজিত ‘ডিবেট ফেস্ট ২৪’ গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক স্পিকার, অভিনয়শিল্পী, আইনজীবী এবং সফল উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাদার চার্লস বি গডন, সিএসসি, ট্রেজারার ড. ফাদার আদম এস পেরেরা, সিএসসি, রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি, ক্লাব কো-অর্ডিনেটর সিস্টার সাগরিকা মারীয়া গমেজ, সিএসসি, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ফাদার চার্লস বি গডন, সিএসসি বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ট্রেজারার, ড. ফাদার আদম এস পেরেরা, সিএসসি বলেন, নটর ডেম কলেজ থেকেই বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্ম হয়েছে। নটর ডেম কলেজের ষষ্ঠ অধ্যক্ষ ফাদার রিচার্ড ডব্লিউ টিম, সিএসসির হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা আজও  সারা দেশে চলমান।

রেজিস্ট্রার ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি বলেন, একজন বিতার্কিকের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো যোগাযোগের সক্ষমতা। এই সক্ষমতা ছাড়া একজন বিতার্কিক সফল হতে পারে না। অনুষ্ঠানে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া শিক্ষার্থীদের কীভাবে গড়ে উঠতে হবে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন। পরে ডিবেটিং ক্লাবের তৃতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

 কলি