![অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসার আদ্যোপান্ত](uploads/2023/11/27/1701062070.f4.jpg)
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন বিজনেস। অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায় বলে তরুণ উদ্যোক্তাদের অনেকে এ ব্যবসার দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এ খাতে আসতে হলে কিছু বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। সে বিষয়গুলো সংক্ষেপে জানুন এবারের লেখা থেকে।
প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন
এ খাতের একটি প্রধান সমস্যা পুঁজি। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে অনেকে অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করে দেন। কিন্তু সমস্যা বাঁধে যখন পুঁজি আটকে যায়। তাই ব্যাকআপ ফান্ড থাকা জরুরি। আবার কম পুঁজির কারণে উৎপাদনের পরিমাণ কম হলে পণ্যের দামও বেড়ে যায়। ব্যাকআপ ফান্ডসহ ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার পুঁজি জোগাড় করুন। কীভাবে এ পুঁজি খরচ করবেন, তার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা সাজান।
ট্রেড লাইসেন্স করে ফেলুন
আইনসম্মতভাবে অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে আপনার। তবে এক্ষেত্রে ই-কমার্সের আলাদা কোনো ক্যাটাগরি নেই। অন্য ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করলে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার প্রক্রিয়ায় তুলনামূলকভাবে ঝামেলা কম হবে এবং অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা পাবেন।
টি-শার্ট ডিজাইন ও প্রোডাকশন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা টি-শার্ট বিক্রি করছেন, তাদের অধিকাংশের পুঁজি কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে প্রোডাক্টের সংখ্যা কম হয়। যার কারণে উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায় এবং পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখুন। যেমন- টি-শার্ট ডিজাইন কার মাধ্যমে করাবেন, টি-শার্ট কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বানাবেন, টি-শার্ট বানানোর সময় আপনি কীভাবে তত্ত্বাবধান করবেন এবং বানানো টি-শার্ট কীভাবে সংরক্ষণ করবেন।
টি-শার্ট বিক্রির জটিলতা কমান
টি-শার্ট বিক্রির জন্য অর্ডার নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ ছাড়া ডেলিভারি দিতে দেরি হলে বহু কাস্টমার অর্ডার বাতিল করেন। এ কারণে ভালো সেলস প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন। কাস্টমাররা যেন সহজে অর্ডার দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করুন। কাস্টমাররা যেন সহজে পেমেন্ট করতে পারেন, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
যুগের চাহিদা ও ফ্যাশনের হাল নিয়ে ধারণা রাখুন
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে যুগের সঙ্গে তাল মেলানো ছাড়া উপায় নেই। তরুণ-তরুণীরা টি-শার্ট কাস্টমারদের একটা বড় অংশ। গৎবাঁধা ডিজাইনে আগ্রহ কম তাদের। তারা চায় পরনের টি-শার্ট তাদের পরিচয়কে ফুটিয়ে তুলুক। তাই ডিজাইন নির্বাচনে এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা করার সময় প্রথাগত প্রায় সব ব্যবসায়িক সমস্যা বিবেচনায় আনতে হবে আপনাকে। পাশাপাশি তরুণদের ফ্যাশন চিন্তা আর চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিলে এ খাতে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে আপনার।
জাহ্নবী