![হতে চাইলে কাস্টমার কেয়ার অফিসার](uploads/2024/01/29/1706530728.b.jpg)
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে। গ্রাহক সন্তুষ্ট থাকলে যেকোনো ব্যবসার প্রসার ও সুনামের জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করা লাগে না বললেই চলে। কারণ, গ্রাহকরাই তখন পণ্যের প্রচার করে থাকে। গ্রাহকের আস্থা অর্জনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠানে কাস্টমার সাপোর্ট বিভাগ চালু রয়েছে। একজন কাস্টমারকে সেবা প্রদান করার প্রধান কাজ করে থাকেন একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসার বা কাস্টমার সাপোর্ট অফিসার। ফুল-টাইমের পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করার বড় সুযোগ থাকায় তরুণদের মধ্যে এ পেশা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
কাজের ক্ষেত্র: একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসার হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কল সেন্টার ও মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে এ পেশার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কাস্টমার কেয়ার অফিসার হিসেবে ফুল-টাইম ও পার্ট-টাইম দুভাবেই কাজ করা যায়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাসদের সুযোগ রয়েছে এ সেক্টরে কাজ করার। তবে ব্যবসায় শিক্ষায় পড়াশোনা হলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায় কিছু ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারা, যোগাযোগের দক্ষতা, সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারা, ধৈর্য, মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতাসহ বিভিন্ন যোগ্যতা একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসারের থাকতে হবে।
বেতন: কাস্টমার কেয়ার অফিসার হিসেবে ১ থেকে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই আপনি যেকোনো কোম্পানিতে সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে পারবেন। অভিজ্ঞতা কম থাকলে বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হতে পারে। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, বেতনও সে অনুপাতে বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজের ঘণ্টার ভিত্তিতে সম্মানি দেয়। বিশেষ করে খণ্ডকালীন চাকরিতে এ ব্যাপারটি লক্ষণীয়। নারী বা পুরুষ উভয়েই এ পেশায় কাজ করতে পারেন।
কাস্টমার কেয়ার অফিসারের কাজ: পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে ক্লায়েন্টের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে তার উত্তর দেওয়া, ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান করা, ক্লায়েন্টের কোনো অভিযোগ থাকলে তা রেকর্ড করা, ক্লায়েন্টের সমস্যা বা অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান করা না গেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সম্ভাব্য সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য, সার্ভিস বা অফার সম্পর্কে ক্লায়েন্টকে জানানো, প্রতিষ্ঠান ও ক্লায়েন্টের মধ্যে সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে সে ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া, প্রতিদিনের কাজের কল লগ সংরক্ষণ করা ও রিপোর্ট লেখাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
দক্ষতা ও জ্ঞান: কাস্টমার কেয়ার অফিসার হিসেবে কাজ করতে হলে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি কাস্টমারের সঙ্গে দক্ষভাবে যোগাযোগ করার ক্ষমতা, দ্রুত সমস্যা নির্ণয় ও তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারা, ধৈর্যের সঙ্গে কাস্টমারকে সেবা দেওয়ার মানসিকতা ও মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা কাস্টমার কেয়ার অফিসারের থাকতে হবে।
ক্যারিয়ার: এন্ট্রি লেভেলে কাস্টমার কেয়ার বা সাপোর্ট অফিসার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে। গ্রাহককে মানসম্মত সেবা দিতে পারলে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার পদে উন্নীত হতে পারেন।
জাহ্নবী