![ক্যারিয়ারের জন্য যেসব দক্ষতা জরুরি](uploads/2024/02/12/1707717842.kormo-jabe-1.jpg)
ক্যারিয়ার সাফল্যের কোনো শর্টকাট পথ নেই। ভুল পথে অনেকেই সফলতার শীর্ষে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু শেষে আবার সঠিক পথেই ফিরে আসেন। তবে অনেকসময় সে সুযোগ আর থাকে না। তখন ব্যর্থতা গ্রাস করে বসে। ক্যারিয়ারে সফল হতে মানতে পারেন নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো-
কঠিন কাজে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন: অফিস থেকে হঠাৎ করেই আপনার ওপর কঠিন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমনটা হলে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। ভাবুন, সমাধান খুঁজে বের করুন। মনে রাখবেন কঠিন কাজ সমাধানেই প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও খ্যাতি বাড়বে আপনার। করপোরেট বিশ্বে টিকে থাকতে হলে কঠিন পরিস্থিতিগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়।
না বলতে শিখুন: শুধু কর্মক্ষেত্র নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘না’ বলা শিখতে হবে। যদি মনে করেন আপনাকে যে কাজই দেওয়া হোক আপনি শুধু হ্যাঁ, হ্যাঁ বলে যাবেন, তাহলে ভুল করছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে আপনার প্রাধান্য দিতে হবে। তাই অহেতুক মিটিং ও অপ্রয়োজনীয় কাজে ‘না’ বলতে শিখুন। দেখবেন জীবন সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্যক্তিগত জীবন ও কাজে ভারসাম্য আনুন: ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে কাজকে গুলিয়ে ফেলবেন না। দুটোকে আলাদা আলাদা প্রায়োরিটি দিন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। ক্লান্তিকর একটি দিন শেষে কাজ ও প্রাত্যহিক জীবনের ভারসাম্য আপনাকে পুনরুজ্জীবিত করবে; মনে আনবে প্রশান্তি।
প্রতিনিয়ত শিখতে হবে: আপনার কাজ সম্পর্কে আপনি যতই ভালো জানুন না কেন, মনে রাখবেন-শেখার কোনো শেষ নেই। অন্যসব কাজের মতো করপোরেট বিশ্বেও সফল হতে হলে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। বই বা ম্যাগাজিন পড়া, অডিও শোনা, ভিডিও ক্লিপ দেখা, নতুন কোনো কোর্স করা বা অনলাইনে কিছু একটা শেখা- জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে বেছে নিতে পারেন এসব মাধ্যম। নতুন কিছু শেখা আপনাকে রাখবে উজ্জীবিত। একই সঙ্গে একটা বিষয় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। প্রেরণা জোগাবে আপনার রুটিন কাজের বাইরেও নতুন কিছু করার।
পারস্পরিক যোগাযোগ রাখুন: পারস্পরিক যোগাযোগে দক্ষতা আপনার ক্যারিয়ারকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে। আপনি যেকোনো পেশায় দক্ষদের সহযোগিতা বা পথনির্দেশনা ছাড়া শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন। তাই তাদের সঙ্গে রাখতে হবে যোগাযোগ। আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ রাখুন। এমনকি আপনি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলেও বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি জানেন না, কে কোন সময় উপকারে আসবে!
নিজ প্রতিষ্ঠানের আদ্যোপান্ত জানুন: যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেটার আদ্যোপান্ত জেনে রাখুন। প্রতিষ্ঠানের কোনো হালনাগাদ হলে সেটা জেনে নিন। যেকোনো পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন।
প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা ভেবে রাখুন: সবার সঙ্গে একই রকম আচরণ করা পেশাদারিত্ব জগতের সঙ্গে মানায় না। কার সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতে কেমন আচরণ দেখাবেন তা ভেবে নিতে হবে আগে থেকেই। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই বাগবিতণ্ডায় জড়ানো যাবে না। সবার সঙ্গে সহমর্মিতা বজায় রাখুন।
নিজের সক্ষমতা-অক্ষমতা জানতে হবে: কর্মক্ষেত্রে আপনার সক্ষমতার ব্যাপারটি জানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ আপনার অক্ষমতার ব্যাপারটিও জানা। সফল মানুষরা তা-ই করে। আপনার অক্ষমতার ব্যাপারটি জেনে তা থেকে মুক্ত হতে চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে দুর্বলতাগুলো শক্তিতে পরিণত করুন।
কলি