ক্যারিয়ার গড়তে পারেন কৃষিতে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ক্যারিয়ার গড়তে পারেন কৃষিতে

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ পিএম
ক্যারিয়ার গড়তে পারেন কৃষিতে

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। তাই একজন কৃষিবিদ হিসেবে ভবিষ্যতে দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবদান রাখতে পারা গৌরব এবং আনন্দেরও। তা ছাড়া কৃষি নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। উচ্চশিক্ষিত অনেকেই এখন শখের বশে নিজের বাসার ছাদে ছাদকৃষি করছেন। কৃষি নিয়ে কাজ করতে তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিষয়ে পড়ালেখা করে দেশ-বিদেশে ভালো মানের চাকরি করা যায়। ইদানীং ভেষজ ওষুধ উৎপাদনেও কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের সম্ভাবনাময় পদচারণা শুরু হয়েছে। এক কথায়, বাংলাদেশসহ সারা দেশে কৃষিবিদদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

পড়াশোনা 
নিত্যনতুন কোনো কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসেন কিংবা কোনো জিনিসকে ভেঙে যারা উন্নত করতে চান তাদের জন্য কৃষিতে একটা বিষয় রয়েছে- যার নাম কৃষি প্রকৌশল। এ ছাড়া উদ্ভিদ রোগবিদ্যা পড়ে গাছের চিকিৎসক হতে পারেন। এই যেমন মানুষ কিন্তু নিজের রোগের ব্যাপারে বলতে পারে, গাছপালা পারে না। সেই না বলতে পারা গাছের অসুখটা বের করে নিমিষেই চিকিৎসা করে সুস্থ করাটা হবে আপনার কাজ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদের অধীনে কৃষিতে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ অনুষদে রয়েছে ১৬টি বিভাগ। এখানে কৃষিতত্ত্ব, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, কীটতত্ত্ব, উদ্যানতত্ত্ব, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষিরসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান, ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান, সিড সায়েন্স ও টেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। তবে কৃষিবিদ হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করতে হবে। পরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন অনুষদের ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি (অনার্স) কোর্স বেছে নিতে হবে।

তা ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও কৃষিতে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশে যেসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কৃষি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজ জামালপুর, বরিশাল ভেটেরিনারি কলেজ। এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করা যাচ্ছে। দেশ ছাড়াও কৃষিবিদদের বিদেশে রয়েছে উচ্চশিক্ষার বিশাল সুযোগ।

ক্যারিয়ার 
প্রতি বিসিএসেই কৃষি ক্যাডারে পদ থাকে। উত্তীর্ণরা বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে ‘কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার’ পদে জয়েন করেন। কৃষিতে স্নাতক সম্পন্ন করার পর নিজস্ব বিষয়সহ যেকোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অনুষদেও চাকরির ক্ষেত্র বেড়েছে। ভালো ফল করলে সেখানে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও চাকরি করা যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল, পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), এসিআই, সিনজেনটা, কাজী ফার্মসসহ কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা হয়, যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত এবং খাদ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করা প্রতিষ্ঠানে চাকরির পথ খুলে দেয়। বিভিন্ন বেসরকারি দুগ্ধ ও পোলট্রির খামার, ব্র্যাক, ফিড মিল, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও চাকরির সুযোগ আছে। এসবের মধ্যে আড়ং ডেইরি, কাজী ফার্মস, আফতাব বহুমুখী ফার্ম, মিল্ক ভিটা, সিপি ফুড উল্লেখযোগ্য। আর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউএসএইড, ডিএফআইডি, ড্যানিডা, সিডা, উইনরক, ইরি, আইএফডিসি ও অক্সফাম জিবির মতো প্রতিষ্ঠানেও কৃষিবিদদের অগ্রাধিকার রয়েছে। বর্তমানে এনজিও এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষিক্ষেত্রে কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতে প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য অনেক শিক্ষার্থী গমন করছেন।

আয়
বাংলাদেশে সাধারণত কৃষি সম্পর্কিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একজন কৃষিবিদদের বেতন সরকারি স্কেলেই ধার্য করা হয়। তা ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রথম অবস্থায় উচ্চ বেতন দিয়ে চাকরি শুরু হয়, দিন যত গড়ায় তত বেতন বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অনেক উচ্চমানের বেতন দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে শুরুতেই লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কলি

চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যবসা এবং করপোরেট খাতে প্রতিনিধিত্বকারী শিল্প নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি সংস্থা। এই সংস্থা হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও মার্কেটিংয়ের জন্য ডিজিএম নিয়োগ দেবে। বেতন দেড় লাখ। কর্মস্থল হবে চট্টগ্রামে।

আবেদনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: এই পদে যাকে নেওয়া হবে, তাকে ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। তাকে দীর্ঘমেয়াদি নানা কাজের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশাসন, অ্যাকাউন্টসের মতো একাধিক বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। তাকে কার্যকর বিপণন এবং ব্যবসায়িক বিকাশের পদ্ধতি বাস্তবায়নে সক্ষম হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা এবং সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ১২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৪ বছর প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞ হতে হবে। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান)। একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কেটিং, ডিপ্লোমা, হোটেল ম্যানেজমেন্টে বিশেষ প্রশিক্ষণে এমবিএ ডিগ্রি থাকা বাঞ্ছনীয়। ইংরেজি যোগাযোগে (মৌখিক ও লিখিত) আন্তর্জাতিক মান ও দক্ষতা অপরিহার্য।

সিভি পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ মে, ২০২৪

কলি

মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক মধুমতি ব্যাংক পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটি তাদের ‘টেলার/হেড টেলার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদ ও বিভাগের নাম: টেলার/হেড টেলার, এও (ক্যাশ)-এসও (ক্যাশ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে একাডেমিক ক্যারিয়ারে কোনো তৃতীয় বিভাগ থাকলে এ পদে আবেদন করা যাবে না।
চাকরির অভিজ্ঞতা: ব্যাংকের ৩-৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনভিজ্ঞদের টেলার/হেড টেলার পদে আবেদনের দরকার নেই।
অন্যান্য সুবিধা: নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়া আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদনের বয়সসীমা: টেলার/হেড টেলার পদে আবেদনের জন্য বয়স ২৫ বছর বা এর বেশি হতে হবে।
পদসংখ্যা: ৬০টি
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৯ মে, ২০২৪
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করুন এই লিংকে https://career.modhumotibank.net/

কলি

ওয়াটার এইডে ঢাকায় চাকরি, বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১১ পিএম
ওয়াটার এইডে ঢাকায় চাকরি, বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসিলারেটর (আরডব্লিউএ) কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসিলারেটর (আরডব্লিউএ) কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজার

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পলিসি, অর্থনীতি, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্ট, ফিন্যান্স, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ, ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ক্ষেত্রে অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগ, পেমেন্ট ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ হতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া রিজিওনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ফিন্যান্স সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের কাজ জানতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (দীর্ঘমেয়াদি)

কর্মস্থল: বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস, ঢাকা

কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব বোনাস, জীবনবিমা, কর্মী, কর্মীর স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানের জন্য স্বাস্থ্যবিমা এবং মুঠোফোন বিলের সুযোগ আছে।

যেভাবে আবেদন: আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়াটার এইড বাংলাদেশের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের http://career.wateraidbd.org:99/home/jobdetails/67 এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ মে, ২০২৪

কলি

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা ৯ মে শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ৬ মের মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা প্রদানের সময় ওই কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ৬ মের মধ্যে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না। মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ২৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কলি

আপনার চাকরি হারানোর কারণ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
আপনার চাকরি হারানোর কারণ
বসের চেয়ে বেশি যোগ্য ও স্মার্ট আপনি চাকরি নিয়ে ঝুঁকিতে আছেন। মডেল: মায়া, ছবি: শরিফ মাহমুদ

সবার যে চাকরি করতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই। যারা উদ্যোক্তা, তারা বলে থাকেন, চাকরি তাদের জন্য নয়। এর পেছনে কিন্তু কারণও রয়েছে। সে যাই হোক, আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে যেকোনো সময় চাকরি হারানোর ঝুঁকি কিন্তু আপনার রয়েছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- গুলশান হাবিব রাজীব

ডিগ্রি নেই অথচ আপনি বসের চেয়ে বেশি স্মার্ট
আসল উদ্যোক্তারা স্কুল কিংবা কলেজে সহজেই তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আইটি জগতের সব নামিদামি উদ্যোক্তা কিন্তু তাদের কলেজ ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি। যেমন- প্রয়াত স্টিভ জবস, ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ডেল করপোরেশনের মাইকেল ডেল ও টামব্লারের ডেভিড কার্প। এদের কারও প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ শেষ করার ধৈর্য ছিল না। এদের মতো আপনারও হয়তো ডিগ্রি নেই। কিন্তু আপনি আপনার বসের চেয়েও বেশি যোগ্য ও স্মার্ট। যদি ব্যাপারটি এমন হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাকরি নিয়ে আসলেই ঝুঁকিতে আছেন।

যদি সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন
জেটব্লুর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড নিলম্যানের সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলার সমস্যা রয়েছে। এ কারণে ২০০৭ সালে তাকে তারই নিজের কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আপনি যদি সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন ও অনেক কাজ শুরু করলেও তার সবগুলো শেষ করতে না পারেন তাহলে কোম্পানির চাকরি আপনার জন্য নয়।

আপনি সবকিছু দৃশ্য হিসেবে কল্পনা করেন
কোনো আইডিয়া মাথায় এলে আপনি কি সেটার ছক বা নকশা আঁকতে বসে যান? উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে যে চাকরিতে লিখিতভাবে আপনার আইডিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে, সেই চাকরি আপনার জন্য নয়।

অন্যদের কথা শুনতে আগ্রহী না হলে
অনেক উদ্যোক্তা থাকেন যারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে কথা বলতে বেশ পছন্দ করেন। অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তারা যে এটা করেন তা হয়তো নিজেরাও জানেন না, তাই আপনার মধ্যে এই স্বভাব থাকলে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু বা আপনজনের সাহায্য নিন। আপনার যদি অন্যদের কথা শোনায় আগ্রহ না থাকে, তাহলে যে চাকরিতে আপনাকে অন্যের কথা শুনে কাজ করতে হবে, সেই চাকরি আপনার না করাই ভালো।

অনেক কাজেই হাত দেন কিন্তু তার সবগুলো শেষ করতে পারেন না
এমন হয় কি যে, আপনি একটি কাজে হাত দিলেন আর কিছুক্ষণ পরই আপনার মাথায় নতুন কাজের আইডিয়া চলে এল? যদি আপনি নিজের কোম্পানি চালান, তাহলে নিজের যেকোনো আইডিয়া নিয়ে আপনি কাজ করতেই পারেন কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের বসেরা চাইবেন যে, কর্মচারীরা তাদের আইডিয়াকে গুরুত্ব দিক। আপনি যদি চাকরির অযোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে কোনো কোম্পানির জন্য চাকরি না করে নিজের কোম্পানি বানিয়ে অন্যকে চাকরি দেওয়াটাই শ্রেয় হবে।

কলি