ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ এএম
ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারের দানবাক্স খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে তা গোনা হচ্ছে। খবরের কাগজ

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারের দানবাক্স খুলে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ টাকা পাওয়া গেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দান বাক্স খোলে। প্রতি ছয় মাস পরপর এটি খোলা হয়।

দানবাক্স খোলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সো. ইকবাল মাহমুদ, এস্টেট অফিসের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মুছা মিয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হকসহ এস্টেট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন ভারতীয় মহাদেশের অন্যতম নেতা। তার জীবনী নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। আমরা বছরে দু বার এই দানবাক্স খুলি। ছয় মাস পরপর এই দানবাক্স খোলার পর তেমন অর্থ পাওয়া যায় না। তবে এবার ভালো অঙ্কের টাকা পেয়েছি।

এস্টেট অফিসের পরিচালক প্রফেসর ড. মুছা মিয়া বলেন, সকালে দানবাক্স খোলার পর আমরা দীর্ঘ সময় হিসাব করি। পরে গুনে জানা যায় ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দানবাক্সে পাওয়া অর্থ মওলানা ভাসানীর উরস ও স্মৃতিসৌধ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করা হয়।

আলুর কোল্ডস্টোরেজে মিলল ২১ লাখ ডিম!

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:০৮ এএম
আলুর কোল্ডস্টোরেজে মিলল ২১ লাখ ডিম!
ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার লালমাইয়ে একটি আলুর কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২১ লাখ পিস ডিম অবৈধ মজুদের খোঁজ পেয়েছে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে এই অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম ।

এসময় অবৈধভাবে মজুদ এবং লাইসেন্সবিহীন কোল্ডস্টোরেজে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ড্রামে সংরক্ষণ করে রাখা ২৪ হাজার কেজি মিষ্টিও জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে আরও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

জেলা ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ কোল্ডস্টোরেজটিতে যে পরিমাণ ডিম মজুদ করা হয়েছে তাতে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় ড্রামে করে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি মজুদ করা হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর কী না বিষয়টি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যারা মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে মিষ্টি রেখেছিলেন তাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া চার ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। বাকিদেরকেও খুঁজছে ভোক্তা অধিকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন জানান, এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিলো - কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেননি। আর কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপননের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপননের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ৪৮ ঘন্টা পর এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিবেন- এসব পণ্য সঠিকভাবে সঠিক সময়ে খালাস হয়েছে কী না।

কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিলো। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিলো। এছাড়া ৮শ ড্রামে করে, প্রতি ড্রামে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার মিষ্টি রাখা হয়েছিলো। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।

জহির শান্ত/এমএ/

চবির ঝরনায় নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:২৩ পিএম
চবির ঝরনায় নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের হাজী মোহাম্মদ মহসীন সরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঝরনায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ নগরীর হাজী মোহাম্মদ মহসীন সরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের টিম। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জুনায়েদ নিখোঁজ হয় বলে জানা গেছে। 

প্রক্টর সূত্রে জানা গেছে, জুনায়েদ তার স্কুল ও অন্য আরেক স্কুলের নবম শ্রেণির বড় ভাইদের সঙ্গে ঘুরতে আসে। একপর্যায়ে ঝরনার পানিতে গোসলে নেমে সে নিখোঁজ হয়। তার সঙ্গে ঘুরতে আসা নগরীর প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রিমন বিষয়টি জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিস ও শহরের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করে।

ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা
ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই মো. শাহদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের আনারস মার্কার সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কাদের মির্জা এ কথা বলেন। 

তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

‘কুলাঙ্গার’ ছাড়াও এই শাহাদাত হোসেন তার ভাই নন বলেও মন্তব্য করেন কাদের মির্জা। তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক তাদের ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন। কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীকে লড়ছেন। এর আগে হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পান। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না, একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। এই কুলাঙ্গার শাহাদাত আমাদের ভাই নয়। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারেন না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, সে (শাহাদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেটা এক দিন প্রকাশ হবে। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলে যদি ভোটে আসে, তাকে কী ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।

ছোট ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটা সালিশ তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিশে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ নেয়। সালিশ বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে। এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারাও যান, তার আত্মা শান্তি পাবে না।

 

কক্সবাজারে অভিযানে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৮:২২ পিএম
কক্সবাজারে অভিযানে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫
অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত এক নারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসা, ১টি বিদেশি জি-থ্রি রাইফেল, ১টি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদ ওরফে ডাকাত মোস্তাক (৩৭), তার স্ত্রী লতিফা আক্তার (৩৪), একই এলাকার কাশেম ওরফে মনিয়া (৩৮), মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার রবিউল আলম (২৮), একই উপজেলার নতুন বাজার এলাকার মো. বেল্লাল হোসেন (৩৮)।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি জানান, গ্রেপ্তার ৫ আসামিকে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কয়েকজন ডাকাত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মায়ানমার থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশে নিয়ে এসে অপরাধীচক্রের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছে। উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেলের নেতৃত্বে উখিয়া ও টেকনাফ পৃথক দুটি টিমের সমন্বয়ে আভিযানিক দল গঠন করে এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উখিয়া থানাধীন জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকার ডাকাতদের অবস্থান চিহ্নিত করে আভিযানিক দল ডাকাত মোস্তাকের বাড়ি ঘেরাও করে। সেখানে মোস্তাকসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম, কাশেম এবং মোস্তাকের স্ত্রীকে ২টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পালংখালী দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলমের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামি বেলাল টেকনাফ এলাকা থেকে পালিয়ে মহেশখালীর দিকে চলে যাচ্ছে, এমন খবরে মরিচ্যা চেকপোস্টে বিজিবির সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।

পরে আটক বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৩-৪ ঘণ্টা অভিযানের পর টেকনাফ থানাধীন শাপলাপুর এলাকায় সমুদ্রতীরবর্তী ঝাউ বাগানের মধ্যে বালির নিচে রাখা ১টি বিদেশি জি-থ্রি রাইফেল, ১টি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘ডাকাত মোস্তাক একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকমামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম দীর্ঘদিন যাবৎ পালংখালী এলাকায় দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে অস্ত্র কেনাবেচা চালিয়ে আসছে। তার নামে মহেশখালী থানায় একাধিক অস্ত্র, মাদক, অপহরণ ও খুনের মামলা রয়েছে।’

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে টানা ৭২ ঘণ্টা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেলের নেতৃত্বে উখিয়া ও টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত দুটি মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাচন টেলিফোন প্রতীক পেলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
টেলিফোন প্রতীক পেলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই
ছবি : খবরের কাগজ

হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে ‘টেলিফোন’ প্রতীক দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইসমাঈল প্রতীক দেওয়ার বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তৃতীয় ধাপের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনকে আজ বৃহস্পতিবার টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এরআগে মঙ্গলবার (১৪ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মো. শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচনে সুযোগ দিতে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন।

গত ৫ মে যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন রাখায় শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বরাবর আপিল করেন শাহদাত। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান একই কারণে গত ৯ মে মনোনয়নপত্র বাতিলের রায় বহাল রাখেন। পরে এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহাদাত হোসেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। বাকি তিন প্রার্থী হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকার ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল (আনারস), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী রাজ (মোটর সাইকেল)।

মজনু/‌এমএ/