চুনাপাথর নিয়ে দেশে ফিরছে এমভি আবদুল্লাহ । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চুনাপাথর নিয়ে দেশে ফিরছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
চুনাপাথর নিয়ে দেশে ফিরছে এমভি আবদুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

চুনাপাথর (লাইম স্টোন) নিয়ে দেশে ফিরছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হচ্ছে জাহাজে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবার দেশের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে জাহাজটি।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস করে গত শনিবার সকালে মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই কার্গো ‘চুনাপাথর’ লোড চলছে এ জাহাজে। চুনাপাথরের চালানটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে বলে জানা গেছে। তবে কোন আমদানিকারক এ কার্গো দেশে আনছেন, তা জানা যায়নি। আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ১ মে দেশের উদ্দেশে রওনা দেব। বর্তমানে মিনা সাকার বন্দরের লাইম স্টোন বা চুনাপাথর লোড করা হচ্ছে জাহাজে। এ চুনাপাথর কুতুবদিয়ার কাছাকাছি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে খালাস করা হবে।’

চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা বর্তমানে খোশমেজাজে রয়েছেন। জাহাজটি ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবে। আশা করছি আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে। কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বা বাড়িতে যাবেন।’

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল জলদস্যু থেকে মুক্ত হয়ে দুবাই যায় জাহাজটি। সেখানে কয়লা খালাসের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্য একটি বন্দর মিনা সাকারে গিয়ে চুনাপাথর লোড করছে।

বেড়া পাউবো একযোগে ২৫ জনের বদলির আবেদন

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৫৫ এএম
একযোগে ২৫ জনের বদলির আবেদন
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনার বেড়া অফিসে বুধবার বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন। ছবি : খবরের কাগজ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পাবনার বেড়া অফিসে কর্মরত ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে বদলি চেয়ে আবেদন করেছেন। ‘রহস্যজনক’ এ আবেদন প্রত্যাহার করতে অফিস ফাঁকা রেখেই নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৯ কর্মকর্তা গত দুদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এতে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বেড়া পওর বিভাগের বিভিন্ন কাজ ও লেনদেন বুঝে নেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই জের ধরে গত ৯ মে স্বেচ্ছায় বদলি চেয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে আছেন ১২ কর্মকর্তা ও ১৩ কর্মচারী।

আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানি করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মাধ্যমে নামে-বেনামে হয়রানিমূলক চিঠি পাঠাচ্ছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।’ এমন পরিস্থিতিতে কাজের পরিবেশ নেই দাবি করে স্বেচ্ছায় বদলির আবেদন করেন তারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, আগে বদলি হওয়া কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বর্তমান কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব দেখা হয়। সেই দ্বন্দ্বে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে না পেরে কর্মকর্তারা একযোগে বদলির আবেদন করেন। এ ছাড়া সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের বদলির আবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। কর্মচারীদের অনেকেই জানেন না বদলির আবেদনে কী লেখা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে বদলির আবেদন প্রত্যাহার করতে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) অফিসে যান। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে ফেরেননি।

গতকাল সকালে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মকর্তাদের রুম তালাবদ্ধ। তবে তিনজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী অফিস করছেন। বেশির ভাগ কর্মচারীও অফিসে নেই। সাংবাদিকদের দেখেই তাদের ছোটাছুটি বেড়ে যায়। অফিস ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী ছাড়া সকল কর্মকর্তা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। তবে এক দপ্তরের সব কর্মকর্তার একযোগে বদলির আবেদন নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

এ বিষয়ে উচ্চমান সহকারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘স্যাররা বলায় আমরা স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু আবেদনে কী লেখা আছে বলতে পারি না। শুধু বলেছেন বদলির আবেদন করা হবে। তাই স্বাক্ষর করে দিয়েছি।’ একই কথা বলেন উচ্চমান সহকারী তাউফিকুর রহমান, অফিস সহায়ক মজিবুর রহমানসহ একাধিক কর্মচারী।

এ ব্যাপারে তিন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, ‘স্যারদের অফিশিয়াল কাজ থাকায় তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। আবেদনের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী) নির্দেশনা ছাড়া এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ।’ একই কথা বলেছেন উপ-সহকারী আব্দুল খালেক ও হাবিবুর রহমান।

বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। আর একই কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওসমান ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকারকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। খুদেবার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, ‘পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে জানিয়েছেন ঢাকায় একটি মিটিংয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৯ জন একসঙ্গে ঢাকা যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। আর একযোগে ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলির আবেদন ডিজি বরাবর দিয়েছেন শুনেছি। কিন্তু অফিশিয়ালি কোনো ডকুমেন্ট এখনো পাইনি। তাই সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূঞা বলেন, ‘একসঙ্গে সবার ঢাকায় আসার সুযোগ নেই। গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও ছুটি নিয়ে যেতে হবে। আর একযোগে সবার বদলি হওয়ার সুযোগ নেই। কি কি দরখাস্ত আসছে আগে দেখি। কেন দিয়েছে, কী কারণে দিয়েছে সবগুলো আগে দেখি, তারপর বলা যাবে।’

 

বানারীপাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
বানারীপাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
গোলাম ফারুক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা। 

মঙ্গলবার (১৫ মে) জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

অভিযোগপত্রে জানা যায়, বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম ফারুক গত ৯ মে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ফকির বাড়িতে এক কর্মী সভায় বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমার চেয়ে বড় মাস্তান কিন্তু বানারীপাড়ায় নাই, আমার চেয়ে বড় গুন্ডা কিন্তু বানারীপাড়ায় নাই।’

মুহূর্তেই এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফলে নষ্ট হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ। পাশাপাশি ভোটাররা অনেকটা ভীত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আবার ভোট না দিতে যাওয়ার কথা বলছেন। এমন অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বীমূলক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে বলে অভিযোগ করা হয়।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বানারীপাড়ায় তা বাস্তবায়ন করতে হলে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। 

বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানা তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

৭ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ সোয়া কোটিতে বিক্রি, তদন্তে দুদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
৭ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ সোয়া কোটিতে বিক্রি, তদন্তে দুদক
চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি : খবরের কাগজ

সাত কোটি টাকার স্ক্র্যাপ মাত্র এক কোটিতে বিক্রি করল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আট মাস আগে দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ২১ লাখ টাকায় লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব স্ক্র্যাপের প্রকৃত মূল্য ছিল সাত কোটি টাকা। বন্দরের এই অনিয়ম ধরতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযানে নেমেছে। দুদকের তিন সদস্যের দল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে চলছে এ অভিযান। ইতোমধ্যে দুদকের তদন্ত দল বন্দরে গিয়ে কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেছে। 

বুধবার (১৫ মে) থেকে অভিযোগ ওঠা ওই নিলামের লটের স্ক্র্যাপ আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে, যা শেষ করতে তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এসব লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দুদক জানায়, তাদের টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সঙ্গে কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট শাখার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে। ঠিকাদারকে যে পরিমাণ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে এবং যে পরিমাণ মালামাল রয়ে গেছে সেগুলোর ওজন করে দেখা হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখার ৩১, ৩২, ৫৮, ৫৯, ও ৬০ নম্বর লটে লোহার স্ক্র্যাপসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাগজ, রেকর্ডপত্র, স্টক রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার ও স্টক করা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে সাত কোটি টাকার স্ক্র্যাপ ছিল। অথচ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ওই লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হয় মাত্র ১ কোটি ২১ লাখ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, মালামাল ওজন করার কাজ চলছে। দুদকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লটে নিলাম হওয়া স্ক্র্যাপের ওজন করা হচ্ছে। বুধবার এক দিনে কয়েকটি লটের ওজন করে ২২ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ পাওয়া গেছে। বাকিগুলো ওজন করতে আরও ৪-৫ দিন সময় লাগবে। 

সূত্রমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখা থেকে নামমাত্র মূল্যে কার্যাদেশ দিয়ে পুরো টাকা কতিপয় কর্মকর্তা ও দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বন্দরজুড়ে তোলপাড় চলছে।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ডাকা নিলামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ১৬ জানুয়ারি মেসার্স আল-আমিন এন্টারপ্রাইজকে দুই লটের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৫৮ নম্বর লটে ৫০ টন বা ৫০ হাজার কেজি স্ক্র্যাপ দেখানো হয়। এ লটে রয়েছে জাহাজ ও পন্টুনের পুরোনো প্রেইট, অ্যাঙ্গেল, গার্ডার ও অকেজো মালামাল। ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা দাম দেখানো হয়। একইভাবে ৬০ নম্বর লটে স্ক্র্যাপের পরিমাণ একই দেখানো হয়। মালামালও একই ধরনের। ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা দাম ধরা হয়। প্রকৃতপক্ষে এ দুই লটে স্ক্র্যাপের পরিমাণ প্রায় ৭৫০ টন। এভাবে ৫টি লটে অনিয়ম হয় বন্দরে। এ লটগুলোর নিলাম পায় মেসার্স আল-আমিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। 

দুদদ কর্মকর্তারা বলেন, অভিযানে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও মালামালের ওজন পরিমাপের বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দাখিল করা হবে।

ভোটের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
ভোটের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী
সৈয়দ মুজাহিদ আলী

মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে পরাজিত হওয়ার আড়াই বছর পর আদালতে গিয়ে বিজয়ী হলেন সৈয়দ মুজাহিদ আলী। ভোট পুনর্গণনা করে তাকে ১০৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করেন আদালত।

গত ৩০ এপ্রিল মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হকের আদালত এই রায় দেন। তবে বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলী ও ফুটবল প্রতীকের মো. আবু সুফিয়ান। কিন্তু ভোট গণনার পূর্বে প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা অভিনব কায়দায় ফলাফল ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে চলে যান। এতে ৯৮ ভোটের ব্যবধানে সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে পরাজিত দেখানো হয়। এরপর মুজাহিদ আলী মৌলভীবাজার নির্বাচনি আদালতে মামলা করেন। বিচারক মুমিনুল হক দীর্ঘ বিচারকার্য সম্পাদন করে ব্যালেটগুলো তলব করেন এবং প্রকাশ্যে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদালতে ভোট পুনরায় গণনা করেন। এতে দেখা যায়, টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৮০টি ও ফুটবল প্রতীক পড়েছে ৫৭৭ ভোট। এই গণনায় কেউ কোনো আপত্তি না করায় আদালত টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আদালত আরও ঘোষণা করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান বেআইনিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রিসাইডিং অফিসার খালিশপুর মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. ইলয়াছ আলী, রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাদী আদালতের মাধ্যমে ভোট পুনরায় ভোট গণনা করে সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। বিবাদী বেআইনিভাবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভিনব এই ভোট কারচুপির বিষয়টি উদ্ঘাটন হয়েছে।’

মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল গ্রেনেড সদৃশ বস্তু

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল গ্রেনেড সদৃশ বস্তু
কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পাওয়া গেছে। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মধ্যম আজমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয়েছে আজ বুধবার (১৫ মে) সকালে। 

জানা যায়, ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াছের কবর খুঁড়তে গিয়ে বস্তুটি পান গ্রামের মুরুব্বিরা। এরপর খবর দেওয়া হলে এক যুবক গিয়ে সেটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে সাংবাদিকরা ওসিকে জানালে পুলিশ গিয়ে সেটি সাময়িক সময়ের জন্য বালুতে চাপা দেন।

হিঙ্গুলি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘খবর পেয়ে সেখানে যাই। আমার এক আত্মীয় বলেন, এটি মাইন। এটি বিপদ ঘটাতে পারে। পুলিশ অবগত হয়েছে। শুনেছি তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এলাকাবাসীর কেউ কেউ উৎসাহ নিয়ে দেখতে ভিড় করছেন। আমরা ধারণা করছি এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গ্রেনেড।’

জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন খবরের কাগজকে বলেন, ‘গতকাল এটি পাওয়া গেলেও আমাদের জানানো হয়েছে আজ সকালে। তবে এটি বিপজ্জনক হবে কি না, এটি আসলে কী সেটি আমরা বলতে পারব না। এটার জন্য স্পেশালিস্ট বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

মনির/সালমান/