গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩ কর্মচারী বরখাস্ত । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩ কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩ কর্মচারী বরখাস্ত
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চারজন আহত এবং সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ের তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

বরখাস্ততরা হলেন আবগোমটি ঘরের মাস্টার মো. হাসেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী গতকাল শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ট্রেন চলাচলের সময় যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কর্তব্য পালনে তাদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।

স্টেশন মাস্টার আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনটি বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে খালি অবস্থায় যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের চারটি ও তেলবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতরা হলেন শরীফ মাহমুদ (৩৮), হাবিবুর রহমান (৫৮) ও সবুজ হাসান (৪৬)।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, শুক্রবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গাজীপুরে তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ দুর্ঘটনায় কারও কোনো গাফিলতি বা অবহেলা ছিল কি না, তা জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে বিকল্প পথ হিসেবে ডাবল লাইনের ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর কিছু সময় পর একইভাবে একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বর্তমানে একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত লাইনটিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনি শোডাউনে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:৪২ এএম
মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনি শোডাউনে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
নিহত স্বপ্নীল বেপারি

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে নির্বাচনি শোডাউনে বের হয়ে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের চন্দ্রেরবাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত স্বপ্নীল বেপারি (২০) মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের মাহমুদপট্টি গ্রামের মো. শাহাবদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেলের চালক কুমারভোগ পদ্মা পুনর্বাসন কেন্দ্রের মনু তালুকদারের ছেলে নাঈম। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম সোয়েব বেপারির হলদিয়ার জনসভায় যোগ দিতে মেদিনীমণ্ডলের চেয়ারম্যান আশরাফ খানের নেতৃত্বে প্রায় একশত মোটরসাইকেল বহরসহ শোডাউন হয়। এই বহরেই ছিল দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি। জনসভায় যাওয়ার পথে হঠাৎ উল্টো দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের সামনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত স্বপ্নীলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. আসাদুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আর কিছু জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’  

মহিউদ্দীন/ইসরাত চৈতী/  

নির্বাচনি মিছিলে অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেল সমর্থকের

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৫ এএম
নির্বাচনি মিছিলে অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেল সমর্থকের
মন্টু খান

শরীয়তপুরে নির্বাচনি মিছিলে অসুস্থ হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মন্টু খান (৪৫) তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকার কুটি খানের ছেলে। তার আড়িগাঁও বাজারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে।

স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মন্টু খান সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান আখন্দ উজ্জ্বলের সমর্থক ছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে একটি নির্বাচনি মিছিল বের করে তুলাসার ইউনিয়নের তার সমর্থকরা। সেই মিছিলে অনেকের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন মন্টু খান। তারা মিছিলটি জেলা শহরের চৌরঙ্গীর মোড় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে বাড়িতে ফেরার পথে রাজগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে সড়কে লুটিয়ে পড়েন মন্টু খান। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘আমরা তুলাসার ইউনিয়নের ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বের হয়েছিলাম। মিছিল শেষে অনেক গরমে মন্টু ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে একটি দোকানে নিয়ে পানি খাওয়াই। এর একটু পরেই সে মাটিতে পড়ে যায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন তিনি মারা গেছেন।’

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহরিয়ার ইয়াসিন বলেন, ‘তাকে একটি ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে দেখি তার হার্টবিট কাজ করছে না ও নিঃশ্বাস বন্ধ। ইসিজি করার পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।’

জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তাছাড়া কেউ স্বাভাবিকভাবে মারা গেলে আমাদের খোঁজ নেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

রাজিব হোসেন/জোবাইদা/

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩২ এএম
নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী সরকারি কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই সভাপতিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সংঘর্ষে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম, বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ ছয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম বলেন, ‘সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রাবাসের হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভার আয়োজন ছিল। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু সভার আগমুহূর্তে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানির নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়েছে।’ 

অন্যদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিকেলে মাইজদীতে আমাদের একটা কর্মসূচি ছিল। এতে কলেজ ছাত্রাবাসের নেতা-কর্মীরা আসতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতারা ফটকে তালা দিয়ে তাদের আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে আমাদের জুনিয়র ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের ওপর কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে হামলা করা হয়। এতে আমাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।’ 

কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। ক্যাম্পাস ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’ 

ইকবাল হোসেন/ইসরাত চৈতী/   

পতেঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি পুকুরে, মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩০ এএম
পতেঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি পুকুরে, মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত লরি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে লরিচাপায় মাম-ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই মোড়ে প্রজাপতি পার্কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- আসাদুজ্জামান সানি (১৯) ও শিশু মো. সাকিব (৫)। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। 

অন্যদিকে আহতরা হলেন- ইমরান (৮), নুরুল আমিন (২১), তাসপিয়া (২০) ও নুসরাত (৩৫)।

জানা গেছে, কনটেইনারবাহী লরিটি একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। লরিটি প্রজাপতি পার্কের পাশে মোড় নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় ফুটপাতে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। 

স্থানীয়রা পাঁচজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আসাদুজ্জামান সানির মৃত্যু হয়। সানির লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। 

অন্যদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ১টার দিকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। আহত চারজন বর্তমানে চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। 

কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হতাহতরা ফুটপাতে হাঁটার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার পর আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।’ 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের এডিসি হারুনুর রশীদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায় কনটেইনারবাহী লরিটি। লরিচালক কামাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।’ 

ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/  

২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:১৯ এএম
২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
আহত জমজ দুই বোন । ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার চাটমোহরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই বোন হলেন- মিম (২০) ও লাম (২০)। 

তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া এলাকার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে। অভিযুক্ত পায়েল চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আহতদের বাবা রেজাউল করিম। 

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদমগাছের ডাল কাটছিলেন পায়েল। এ সময় লাম তাকে গিয়ে বলেন, গাছ কাটার সময় তাদের কলাগাছ যেন নষ্ট না হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় আরেক বোন মিম এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। পায়েলসহ তার বাবা-মা দুই বোনকে মারধর করেন। 

পরে চিৎকার শুনে মিম ও লামের পরিবারের লোকেরা এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত পায়েল বলেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে দুই বোন মারামারি করে। আমি তাদের আটকাতে গিয়েছিলাম। তাদের আমি মারিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।’

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি নিন্দনীয় কাজ। সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে, তাই তারা এ বিষয়টি দেখবে।’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা খবরের কাগজকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমি জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং আমরা তদন্ত করে সত্যতা পাই, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পার্থ/পপি/