সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার সরকারিভাবে ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৫৮ মেট্টিক টন। এরমধ্যে ধান ৯ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ৯ হাজার ৮৭৩ মেট্রিকটন এবং আতপ চাল চার হাজার ৮১৯ মেট্রিক টন।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১০টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিলেটের জেলা প্রশসকের কার্যালয়ের হলরুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল এবং গম সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া মোস্তফা, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান ও খাদিমনগর খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবার অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০২৪ মৌসুমের আওতায় প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল ৩২ টাকা, প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের সংগ্রহ ৪৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আতপ চালের মূল্য ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়েছে।
প্রযুক্তির সুবিধায় অ্যাপের মাধ্যমে কিছু উপজেলায় ধান-চাল কেনা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বলা হয়, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাটসহ মোট ছয়টি উপজেলায় ধান সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে কৃষক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা কৃষক নির্বাচন করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজার ও কানাইঘাট মোট চারটি উপজেলায় চাল সংগ্রহ করা হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্র জানায়, অ্যাপ বহির্ভূত উপজেলাগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা সংগ্রহ কমিটি অনুমোদিত কৃষক তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা কৃষক নির্বাচন করা হবে। প্রতি কৃষক সর্বোচ্চ তিন হাজার মেট্রিকটন, সর্বনিম্ন ১২০ কেজি ধান গুদামে বিক্রি করতে পারবেন।
সিলেটে লাইসেন্স করা ১৪টি সিদ্ধ ও ৬৩টি আতপ চালকল রয়েছে বলে জানানো হয়।
এসবি/জোবাইদা/অমিয়/