যশোরের শতবর্ষী জেলা পরিষদসহ সকল পুরোনো ভবন রক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ‘জনউদ্যোগ যশোরের’ উদ্যোগে কালেক্টরেট চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে যশোরের অন্তত ১০টি সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। কর্মসূচি শেষে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাসান মজুমদার। ঘণ্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ যশোরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্তবাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী। যশোরবাসী এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দিতে হবে। জেলার পরিত্যক্ত রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা জজ আদালত, পৌরসভার জলকল ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়গুলোও ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক এই ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি জানাই।
কর্মসূচিতে জেলাবাসীর দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌল্লাহ, সংবাদপত্র পরিষদ যশোরের সভাপতি একরাম-উদ-দৌল্লা, সিপিবির যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন, ট্রেড ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, (সচেতন নাগরিক কমিটি) সনাক যশোরের সভাপতি শাহীন ইকবাল, যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, যশোর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, দৈনিক রানারের ডেপুটি এডিটর প্রণব দাস, যশোর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ মাসুদুজ্জামান মিঠু, যুবমৈত্রীর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস, গ্রাম থিয়েটারের যশোর জেলা সমন্বয়কারী হাসান হাফিজুর রহমান, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, নারী নেত্রী আফরোজা বেগম, মহিলা পরিষদের আইনবিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার কণা প্রমুখ।