ইউনিক হোটেলের আয় বাড়ার প্রত্যাশা । খবরের কাগজ
ঢাকা ২০ বৈশাখ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

ইউনিক হোটেলের আয় বাড়ার প্রত্যাশা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
ইউনিক হোটেলের আয় বাড়ার প্রত্যাশা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড উৎপাদন শুরু করেছে। এর ফলে ইউনিক হোটেলের আয় অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছে ইউনিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।  

দেশে চলমান তীব্র গ্যাসসংকটের মধ্যেও বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিক বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। দেশের বৃহত্তম কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেঘনাঘাট পাওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস বা আমদানি করা রি-গ্যাসিফাইড তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (আর-এলএনজি) ব্যবহার করছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্ট অপরিহার্য। এজন্য লোকসানের কোনো সুযোগ নেই। ক্যাপাসিটি চার্জ এর কথা বিবেচনা করে এই ধরনের পাওয়ার প্ল্যান্টের অপারেশন মডেল ডিজাইন করা হয়। 

জানা গেছে, গ্যাসভিত্তিক ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মেঘনাঘাট পাওয়ার ১১ মার্চ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গ্যাস ও আর-এলএনজি মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ প্রতিষ্ঠানে মোট শেয়ারের  ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের শেয়ার রয়েছে ৩৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিক হোটেলের কোম্পানি সেক্রেটারি মো. শরীফ হাসান খবরের কাগজকে বলেন, মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদন শুরু করায় তাদের আয় বাড়বে। এ প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের বড় অংশ রয়েছে ইউনিক হোটেলের দখলে। 

তিনি দাবি করেন পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে একই ক্ষমতার অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায় প্রয়োজনীয় গ্যাসের অর্ধেক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ১৮ দশমিক ৭৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ মূল্য ৫০ কোটি ৭৫ লাখ মার্কির ডলার হলেও এর চেয়ে বেশি ঋণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিানটির মোট বিনিয়োগের ৭৫ শতাংশ এসেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।

তথ্যে দেখা যায়, ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার বিনিয়োগের ৪৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জার্মানির প্রতিষ্ঠান ডয়েচে ইনভেস্টিশানসন্ড (ডিইজি) ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য ওপিইসি ফান্ড ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। 

মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের শুরু থেকেই ইউনিক হোটেল বিনিয়োগ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট শেয়ারের বড় একটি অংশ রয়েছে ইউনিক হোটেলের। এজন্য মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে আয়ের বড় একটি অংশ পাবে ইউনিক হোটেল। চুক্তি অনুসারে মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের উৎপাদিতে বিদ্যুৎ আগামী ২২ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)।

সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মেঘনাঘাট পাওয়ার ক্যাপাসিটি চার্জ পাবে, এর অর্থ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনের বাইরে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ পেতে থাকবে। এতে বৈদেশিক ঋণের বোঝার কিছু অংশ পূরণ করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে কাতারভিত্তিক বিনিয়োগ কোম্পানি নেব্রাস পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভি-এর কাছে মেঘনাঘাট পাওয়ারের ৪৪০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে বড় অঙ্কের আয় হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ইউনিক হোটেলের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ৩৬ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল; কিন্তু করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি। 

এদিকে ইউনিক হোটেলের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ ২ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৪২ পয়সা। 

২০১২ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২০ ও ২০২১ সালে ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে তার আগের বছর ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও পর্যটন (ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেইজার) খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল এর দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়,  এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ২ পয়সা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা। গত বছরের একই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা। সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৮৭ টাকা ৩৯ পয়সা।

এদিকে সাম্প্রতিক সময় বেসরকারি খাতের ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের ১১ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। আর্থিক দলিল ও চুক্তির বিপরীতে আরোপ করা স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ মওকুফ করা হয়। এর মধ্যে আছে ভূমিসংক্রান্ত মালিকানা, ভূমি লিজ ও বিমাসংক্রান্ত স্ট্যাম্প। 

১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প অ্যাক্ট অনুসারে প্রদত্ত ক্ষমতায় এ মওকুফ করা। অবশ্য কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে এভাবে স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করলে আইআরডি তা যাচাই-বাছাই করে মওকুফ করে থাকে।

আইআরডি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় স্বার্থে বিদ্যুৎ খাতের বড় বড় প্রকল্পে এই ধরনের স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করা হয়। এর আগেও এভাবে স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করা হয়েছে।

২০২২ সালের আগপর্যন্ত নিয়ম ছিল, স্ট্যাম্প ডিউটি পুরোটাই আরোপ করতে হবে। বহু প্রতিষ্ঠানের স্ট্যাম্প ডিউটির পরিমাণ শত শত কোটি টাকা হয়ে যেত। এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তা মওকুফের আবেদন করত এবং মওকুফ পেয়ে যেত। এমন প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালে স্ট্যাম্প আইন সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর স্ট্যাম্প ডিউটি যাই আরোপযোগ্য হোক না কেন, এর পরিমাণ কোনোভাবেই ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না। এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে তা মওকুফ করা হয়।

সোনালি মুরগির দাম বাড়ছেই, কমেনি সবজির

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১০:০১ এএম
সোনালি মুরগির দাম বাড়ছেই, কমেনি সবজির
ছবি : সংগৃহীত

আগের মতোই পোলট্রি মুরগির দাম, কেজি ২০০-২১০ টাকা। তবে ঠেকানো যাচ্ছে না সোনালির দাম। কম সরবরাহের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৭০-৩৮০ টাকা কেজিতে উঠেছে। গত সপ্তাহে ৩৪০-৩৫০ টাকা ছিল। গরু ও খাসির মাংস আগের মতোই। বাড়েনি ডিম ও মাছের দাম।

হাওরে ধান কাটার ধুম পড়লেও বাজারে প্রভাব নেই। এক পয়সা কমেনি চালের দাম। গ্রামে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শহরে বিপরীত চিত্র। ঢাকায় অনেক বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশে চলমান দাবদাহে খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে। তার পরও পোলট্রি মুরগির দাম আড়তে বাড়েনি। ১৬০-১৬৫ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। পাবনার মানিক খবরের কাগজকে জানান, ‘তাপে খামার পুড়লেও বাড়েনি পোলট্রির দাম। বরং আগের চেয়ে কমেছে। ১৬০-১৬৫ টাকা কেজি। সেই মুরগি রাজধানীতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে ২১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। টাউনহল বাজারের চিকেন হাউসের জসিম বলেন, পোলট্রির দাম কিছু কমেছে। ২০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো বাজারে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে সোনালি মুরগির কেজি ৩০ টাকা বেড়ে ৩৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

বেড়েই যাচ্ছে সোনালির দাম। এর কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘উৎসে নয়, মিডিয়া মানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকেই বাড়তি দামে আমরা কিনে থাকি। তারা মাল দিলে আমরা শুধু টাকা নিই। দাম বাড়ার অত কারণ জানি না।’

বাড়লেও ডিমের দাম বাড়েনি। গতকাল বৃহস্পতিবার টাউনহল ও কারওয়ান বাজারে ১১০-১২০ টাকা ডজন বিক্রি করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বেশি দামে ১৩০ টাকায় ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে।

কমেনি পেঁয়াজ ও আলুর দাম

পেঁয়াজের দামের ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের খলিল খবরের কাগজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম আর কমবে না। পাইকারিতে ৫২-৫৫ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজই একটু দূরে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। এই বাজারের খুচরা বিক্রেতা আয়েশ বলেন, কেজি ৬৫ টাকা। তবে ভালোটার দাম একটু বেশি, ৭০ টাকা। টাউনহল বাজারের শফিকুল বলেন, এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। তার পরও বেশি দামে কেনা। তাই ৬৫-৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের পথেই হাঁটছে আলু। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কমেনি। বাড়েওনি। কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়ের পাইকারি বিক্রেতা সবুজ বলেন, মুন্সীগঞ্জের ভালো আলু ৪০-৪৩ টাকা। তবে রাজশাহী, বগুড়ারটার দাম একটু কম। এই বাজারের খুচরা বিক্রেতা কামরুল বলেন, বর্তমানে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। আড়তেই বেশি দাম। এ ছাড়া আগের মতোই আদার কেজি ২০০-২২০ টাকা। দেশি আদার দাম বেশি ৩২০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ২০০-২২০ টাকা। তবে দেশি রসুনের দাম ২০-৩০ টাকা বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা কেজি।

ধান উঠলেও এক পয়সা কমেনি চালের দাম

হাওর এলাকায় বোরো ধান উঠতে শুরু করেছে। তার পরও চালের বাজারে প্রভাব পড়েনি এর। সরকার চালের দাম কমানোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিক্রি করতে বললেও গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায় কোনো দোকানে নতুন বস্তার চাল আসেনি। দাম এক পয়সাও কমেনি।

আগের মতোই প্রতি কেজি নাজিরশাইল মানভেদে ৭০-৮০ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৫৮ টাকা ও মোটা চাল ৪৮-৫২ টাকা কেজি। নামিদামি ব্র্যান্ডের পোলাওয়ের প্যাকেট চাল ১৭০-১৮০ টাকা কেজি এবং বস্তার পোলাওয়ের চাল ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি। দামের ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের মেসার্স হাজি রাইস এজেন্সির মাঈন উদ্দিন বলেন, ধান উঠে গেছে। তার পরও এক পয়সা কমেনি চালের দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।

বেশি দর তেল বাজারে

সরকার গত ১৮ এপ্রিল বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা ও পাঁচ লিটারের দাম ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সেই বাড়তি দরে তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের লক্ষ্মীপুর স্টোরের আবুল কাশেম বলেন, কয়েক দিন ধরে বাড়তি দরের তেল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে রমজান মাস শেষ হলেও কমেনি কোনো জিনিসের দাম।

বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, আগের মতোই ছোলা ১১০ টাকা কেজি, বেসন ১২০, খোলা চিনি ১৪০, প্যাকেট চিনি ১৪৫, দুই কেজি আটা ১১০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিশমিশের কেজি ৫৮০-৭০০ টাকা কেজি, কাঠবাদাম ১ হাজার ১০০, দারুচিনি ৫৫০, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০ ও জিরার কেজি ৭৫০ টাকা।

কমেনি সবজির দাম

দেশের বিভিন্ন স্থানে কম দামে বিক্রি হলেও রাজধানীতে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের অজুহাতে বেশি দামেই ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে সবজি। বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে বেগুন ৭০-৮০ টাকা। টমেটোর কেজি ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৭০, ঢ্যাঁড়স ৪০, শিম ৪০, পেঁপে ৪০-৫০, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৪০, শসা ৪০-৬০, ঝিঙে ও ধুন্দুল ৬০, সজনে ডাঁটা ৮০-১২০, পটোল ৫০-৬০, গাজর ৫০, কাঁচামরিচ ১২০-১৪০, বরবটি ৫০ টাকা কেজি।

তাপপ্রবাহের কারণে তরমুজের দামও বাড়তি। গতকালও ৬০-৭০ টাকা কেজি ছিল তরমুজ। লেবুর হালি ছিল ৩০-৫০ টাকা।

স্থিতিশীল মাছ-মাংসের দাম

বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছিল। এখন আবার কমে গেছে।

আগের মতো দামেই রুই, কাতলা, ট্যাংরা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে মাছ বিক্রেতারা জানান। টাউনহল বাজারের আবু তাহের বলেন, রুই ও কাতলা ৩৫০-৫০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০, পাবদা ৫০০-৭০০, পাঙাশ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
ছবি : সংগৃহীত

এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় এর বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। মার্চের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এর আগে মার্চে ফেব্রুয়ারির তুলনায় রেমিট্যান্স ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বরাবরের মতো রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষে অবস্থান করছে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি বৃহৎ এ ব্যাংকের মাধ্যমে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫০ কোটি বা ৫০০ মিলিয়ন ডলার। এর পরই আছে যথাক্রমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহে হ্রাস-বৃদ্ধি একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক ঘটনা। তবে প্রতিবছরই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করে রেমিট্যান্স।

এদিকে অবৈধ পথ হিসেবে বহুল পরিচিত ‘হুন্ডি’ সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র দাবি করে। দেশ থেকে মুদ্রা পাচারের সুযোগ ও প্রবণতা কমে আসায় হুন্ডিতে ডলারের চাহিদা কমেছে বলেও দাবি করা হয়। এর ফলেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে মোট ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার। পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই মেয়াদের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের মতো।

সূত্র জানায়, একক মাস মার্চে মোট ১ দশমিক ৯৯৭ বিলিয়ন বা ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৬৬ বিলিয়ন বা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
ছবি : সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। এ দফায় ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এর দাম ছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। 

এ ছাড়া অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৩.৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। 

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৮২ থেকে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সালমান/

 

বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ আমরা টেকনোলজিসের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
আমরা টেকনোলজিসের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যান্ডউইথ শতভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই প্রতিষ্ঠানটি নতুন কের কাউকে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে না। কারণ আমরা টেকনোলজিসের কাছে সরকারের রাজস্ব পাওনা রয়েছে ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির কাছে সরকারের এই পাওনা পড়ে আছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

জানা যায়, পাওনা টাকা পরিশোধের বিষয়ে কোম্পানির পর্ষদে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ কোটি টাকার ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে।

বকেয়া হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা-পরবর্তী ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেশ কিছু সমস্যার কারণে এমন নাজুক পরিস্থিতি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটি যদি পরিপূর্ণ ব্যান্ডউইথ সার্ভিস প্রোভাইড করতে না পারে তবে গ্রাহকরা অন্য সার্ভিস প্রোভাইডার (সেবা সরবরাহকারী) খুঁজে নেবেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রাহকরা অপেক্ষা করেন না। তা ছাড়া অধিকাংশ গ্রাহকই একাধিক সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। গ্রাহকরা যথাযথ সার্ভিস না পেলে অন্য প্রোভাইডারের কাছে তারা চলে যাবেন এটি স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক হারানোর আশঙ্কা করছে আমরা টেকনোলজিস।

আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি সৈয়দ মনিরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যান্ডউইথ শতভাগ বন্ধ ( ব্লক) করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধান করতে চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বিটিআরসির কাছে আবেদন করা হয়েছে। সমাধান হতে সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, তারা বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তবে এটি তাদের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সরাসরি প্রভাবিত করবে না। গত নভেম্বর থেকে তাদের এ-সংক্রান্ত সেবা বন্ধ রয়েছে।

আমরা টেকনোলজিসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছি। তবে আমাদের যে ব্যান্ডউইথ বন্ধ করা হয়েছে, সেটি আমাদের চলমান ব্যবসায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটি হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য নির্দেশনা। গত নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি বিটিআরসির যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য।’

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা টেকনোলজিসকে পাঠানো চিঠিতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যাবে। আর বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে কিস্তির মাধ্যমে। জানা গেছে, এর আগেও পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় আমরা টেকনোলজিসের ৫০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রায় ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকার রাজস্ব পরিশোধ না করায় আমরা টেকনোলজিসের ৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ ব্লক করে বিটিআরসি। সম্প্রতি এক আদেশে শতভাগ সেবা বন্ধ করেছে বিটিআরসি।

বর্তমানে ১৯টি তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব পাওনা রয়েছে বিটিআরসির ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আমরা টেকনোলজিসের কাছে পাওনা ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

এদিকে আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে শূন্য ৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১৬ পয়সা। অন্যদিকে ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৭ পয়সা। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ১৪ পয়সা।

এদিকে ২০২৩ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। গত জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮৫ পয়সায়।
এদিকে ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল আমরা টেকনোলজিসের পর্ষদ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ও ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ টাকা ৭৯ পয়সা। ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে আমরা টেকনোলজিস।

২০১২ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমরা টেকনোলজিসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৪৪২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ২৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৩৪টি লাইসেন্সধারী ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিজি) কোম্পানি রয়েছে। এসব আইজিজি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ট্রানজিট প্রোভাইডার (সরবরাহকারী) হিসেবে কাজ করে। আর তাদের কাছ থেকেই দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এবং মোবাইল অপারেটররা সেবা নিয়ে থাকেন।

সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক বিক্রিতে লাভ ১ কোটি ৭৮ লাখ ইউরো

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক বিক্রিতে লাভ ১ কোটি ৭৮ লাখ ইউরো
সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকায় এই খাত থেকে লাভ করেছে লিথুয়ানিয়ার অনলাইন কোম্পানি ভিন্টেড। ছবি: সংগৃহীত

সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত) পোশাকের ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকায় প্রথমবারের মতো এই খাত থেকে লাভ করেছে লিথুয়ানিয়ার অনলাইন কোম্পানি ভিন্টেড। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এটি বিশাল সম্ভাবনাময় একটি বাজার। বর্তমানে বাজারটি দৃঢ়ভাবে এগিয়ে রয়েছে। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, এই ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো, গ্রাহকদের তাদের ‘এক সময়ের প্রিয়’ পোশাকগুলো, যেগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবহার (পরিধান) করা হচ্ছে না, সেগুলো সরাসরি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করার অনুমতি দেয়।

কিন্তু এসব কোম্পানির মধ্যে ইউরোপে দ্রুত প্রসার লাভ করা ভিন্টেড এবার প্রথম লাভের মুখ দেখেছে। কোম্পানিটি ২০২২ সালে ২ কোটি ৪ লাখ ইউরো (১ কোটি ৭৪ লাখ পাউন্ড) লোকসানের পরে এখন তারা ১ কোটি ৭৮ লাখ ইউরো লাভের অবস্থানে রয়েছে।

ভিন্টেডের প্রধান নির্বাহী টমাস প্লান্টেংগা বলেছেন, ‘পুরোনো ফ্যাশনের জিনিসপত্রের বাজার এখনো খুবই ছোট, কিন্তু আমাদের কোম্পানিটি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।’

প্লান্টেংগা বলেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ নতুন বাজারে বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি, ভিন্টেড তার ডেলিভারি পরিষেবা ‘ভিন্টেড গো’-এর বিকাশকেও ত্বরান্বিত করেছে।

ব্যবহৃত পোশাকের বাজার নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্ল্যান্টেঙ্গা বলেন, ‘আমরা সামনে অনেক সুযোগ দেখতে পাচ্ছি, তাই আমরা আমাদের লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করার জন্য বিনিয়োগের সুযোগের বিপরীতে লাভের ভারসাম্য বজায় রাখব। তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের পোশাক একে অপরের কাছে বিক্রি করতে সক্ষম করা ‘ফ্যাশন শিল্পের ক্ষতি কমাতে’ সহায়তা করবে।

প্ল্যান্টেঙ্গা আরও বলেন, ২০২৩ সালে ভিন্টেডের রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ইউরো (৫০ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড)।

ভিন্টেড ২০২২ সালে রেবেল নামের একটি পুরোনো পোশাকের বি প্ল্যাটফর্ম অধিগ্রহণ করে। সেই সঙ্গে একটি নতুন পরিষেবা চালু করেছে, যা মূল্যবান আইটেমগুলোর সত্যতা যাচাই করে।

ভিন্টেড ও অনুরূপ ইউকেভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম ডেপপ- উভয়েই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ ক্রেতাদের কাছে বেশ পরিচিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের বাজারে ইবে-এর মূল আধিপত্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে এবং বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের কাছে কোম্পানিগুলোর আবেদন বাড়ছে।

বিবিসি বলছে, জীবনযাত্রার ব্যয়সংকট, ফ্যাশনের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বর্ধিত সচেতনতার সঙ্গে মিল, এই (পুরোনো পোশাক বিক্রি ও ব্যবহারের) প্রবণতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবক ও সেলিব্রিটিরাও এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে থাকা নেতিবাচক ধারণাগুলো পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুরোনো পোশাকের খুচরা বিক্রেতা থ্রেডআপের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে এখন প্রতিবছর পুরোনো পোশাকের ফ্যাশনের বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি ডলার।

তবে নতুন জামাকাপড়ের বাজারের আকার এবং নিম্নমানের পোশাক পণ্য গ্রহণের প্রবণতা থেকে বোঝা যায়, ব্যবহৃত বা পুরোনো পোশাকের প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ব্যবসায় লাভ করা কঠিন।

খুচরা বাজারের বিশ্লেষক নাটালি বার্গ বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলো ভিন্টেড ও ডেপপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো পুরোনো পোশাকের প্রবণতার সুবিধা নিতে তাদের কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের দর্শকদের সংখ্যা আরও প্রসারিত করতে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।

নাটালি বার্গ বলেন, এটি ছিল একটি বাজি ধরার মতো, কিন্তু কাজটি ভিন্টেডের জন্য লাভজনক হয়েছে। কম দাম ও বিক্রেতা না থাকার কারণে ভিন্টেডের মডেলটি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে কাজ করা প্রয়োজন, যা বিজ্ঞাপনের মতো বিকল্প আয়ের উৎস খুলে দেবে।’

ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কোম্পানি ভিন্টেড বলেছে, তারা তাদের কর্মীসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়েছে। কোম্পানিটির বর্তমানে ২ হাজার কর্মী রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই রয়েছে লিথুয়ানিয়ায়।