ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলা প্রথম পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বাংলা প্রথম পত্র বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

প্রবন্ধ: মানবকল্যাণ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১৯. ‘ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ’ উক্তিটি কার?
ক. আবুল ফজল খ. গৌতম বুদ্ধ
গ. ইসলামের নবীর ঘ. জনৈক ঋষি
উত্তর: গ. ইসলামের নবীর।
২০. ‘নিচের হাত’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
ক. পরোপকারী খ. গ্রহীতা
গ. মহৎ হৃদয় ঘ. দাতা
উত্তর: খ. গ্রহীতা।
২১. ‘ওপরের হাত’ বলতে কাকে বুঝিয়েছেন?
ক. পরোপকারী খ. গ্রহীতা
গ. মহৎ হৃদয় ঘ. দাতাকে
উত্তর: ঘ. দাতাকে।
২২. ‘নিচের হাত’ যা প্রকাশ করে- 
ক. পরোপকারী খ. দাতা
গ. মহৎ হৃদয় ঘ. আত্মমর্যাদাহীনতা
উত্তর: ঘ. আত্মমর্যাদাহীনতা।
২৩. দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর মধ্যে কোনটি প্রতিফলিত হয়?
ক. বিষণ্নতা খ. সততা
গ. মৌনতা ঘ. দীনতা
উত্তর: ঘ. দীনতা।
২৪. ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা কোথায় প্রতিফলিত হয়?
ক. মুখমণ্ডলে খ. সর্ব-অবয়বে
গ. ব্যবহারের মাঝে ঘ. হৃদয়ের গভীরে
উত্তর: খ. সর্ব-অবয়বে।
২৫. ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতার প্রতিফলিত অবস্থাটি কেমন?
ক. নির্মোহ খ. সাদামাটা
গ. বীভৎস ঘ. নগণ্য
উত্তর: গ. বীভৎস।
২৬. মনুষ্যত্ব আর মানব-মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে পার্থক্য কেমন?
ক. আকাশ-পাতাল খ. সীমাহীন
গ. সামান্য ঘ. নগণ্য
উত্তর: ক. আকাশ-পাতাল।
২৭. কোনটি জাতির যৌথ জীবন এবং চেতনার প্রতীক?
ক. রাষ্ট্র খ. জনগণ
গ. সমাজ ঘ. পরিবার
উত্তর: ক. রাষ্ট্র।
২৮. জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা কার দায়িত্ব?
ক. রাষ্ট্রের খ. জনগণ
গ. সমাজ ঘ. পরিবার
উত্তর: ক. রাষ্ট্রের।
২৯. ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধানুসারে রাষ্ট্রের বৃহত্তর দায়িত্ব কোনটি?
ক. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা
খ. জাতীয় রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো
গ. জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা
ঘ. জাতির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
উত্তর: গ. জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা।
৩০. কখন রাষ্ট্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়?
ক. যখন হাতপাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়
খ. যখন বিদেশি পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে
গ. যখন রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়
ঘ. যখন জনগণ তাদের আত্মগৌরব বিস্মৃত হয়
 
আরও পড়ুন:
 
উত্তর: ক. যখন হাতপাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়।
৩১. কোন কাজ মানবকল্যাণ নয়-
ক. অপরের কল্যাণে স্বার্থ বিসর্জন 
খ. অপরের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া
গ. অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা
ঘ. দয়া-করুণার দ্বারা দান-খয়রাত করা
উত্তর: ঘ. দয়া-করুণার দ্বারা দান-খয়রাত করা।
৩২. মনুষ্যত্ববোধ ও মানব-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় কীভাবে?
ক মানব কল্যাণের প্রকৃত অর্থ বুঝতে না পারায়
খ. ভিক্ষা-বৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায়
গ. বেশি বেশি দান-খয়রাত না করায়
ঘ. অধিক পরিমাণ সম্পদ সঞ্চিত করে রাখায়
উত্তর: খ. ভিক্ষা-বৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায়।
৩৩. মানব মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করার বিষয়টি আমাদের উপলব্ধি হয় না, কারণ-
ক. মানব মর্যাদাকে অবমাননা করার কারণে
খ. মানব কল্যাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায়
গ. মানব কল্যাণের প্রকৃত তাৎপর্য না বোঝায়
ঘ. মানব কল্যাণের উল্টো অর্থ করার কারণে
উত্তর: গ. মানব কল্যাণের প্রকৃত তাৎপর্য না বোঝায়।
৩৪. রাষ্ট্র যেভাবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে-
ক. বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে
খ. হাতপাতাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার মাধ্যমে
গ. বিদেশি পণ্যের আমদানির মাধ্যমে
ঘ. দেশের জনগণকে মর্যাদার কথা বুঝিয়ে
উত্তর: খ. হাতপাতাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার মাধ্যমে।
৩৫. অনুগ্রহকারী এবং অনুগৃহীতের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য কেন?
ক. এ সম্পর্ক তাৎপর্যহীন বলে
খ. আত্মিক সম্পর্কহীন হওয়ায়
গ. মনুষ্যত্বের সম্পর্ক না থাকায়
ঘ. সম্পূর্ণ অমানবিক আচরণ বলে
উত্তর: খ. আত্মিক সম্পর্কহীন হওয়ায়।
৩৬. দয়া-বশবর্তী দান-খয়রাত মানবকল্যাণ নয়, কারণ-
ক. প্রকৃত মানবকল্যাণ সাধিত হয় না বলে
খ. মানুষের কোনো উপকার সাধিত হয় না বলে
গ. মানুষের চরম ক্ষতি সাধন করে বলে
ঘ. মানুষের চিন্তা শক্তিকে নষ্ট করে বলে
উত্তর: ক. প্রকৃত মানবকল্যাণ সাধিত হয় না বলে।
৩৭. মনুষ্যত্বের অবমাননা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
ক. মানুষের বোধশক্তি নষ্ট হওয়াকে
খ. মানুষের অকল্যাণ সাধিত হওয়াকে
গ. মানুষের অভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়াকে
ঘ. মানুষের মর্যাদাবোধ ক্ষুণ্ন হওয়াকে
উত্তর: ঘ. মানুষের মর্যাদাবোধ ক্ষুণ্ন হওয়াকে।
৩৮. মানবকল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধির মধ্যেই নিহিত কেন?
ক. অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হয় বলে
খ. মনুষ্যত্ববোধ অর্জন সম্ভব হয় বলে
গ. মহানুভবতা অর্জন সম্ভব হয় বলে
ঘ. মানুষের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে বলে
উত্তর: খ. মনুষ্যত্ববোধ অর্জন সম্ভব হয় বলে।
৩৯. হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভিক্ষুককে কুড়াল কিনে দিয়েছিলেন কেন?
ক. পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের জন্য
খ. শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য
গ. স্বাবলম্বনের মাধ্যমে মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের জন্য
ঘ. ভিক্ষা ছেড়ে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহের জন্য
উত্তর: গ. স্বাবলম্বনের মাধ্যমে মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের জন্য।
৪০. করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাতের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি কী?
ক. মনুষ্যত্বের অপমান
খ. মনুষ্যত্বের উন্নয়ন
গ. মনুষ্যত্বের বিকাশ
ঘ. মানব-মর্যাদা বৃদ্ধি
উত্তর: ক. মনুষ্যত্বের অপমান।
৪১. মানবকল্যাণের উৎস কোথায় নিহিত?
ক. মানুষকে জ্ঞানী করা ও সামাজিক বিকাশের মধ্যে
খ. মানুষের আর্থিক সমৃদ্ধি ও আর্থিক উন্নয়নের মধ্যে
গ. ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির পাশাপাশি রাষ্ট্রের উন্নয়নের মধ্যে
ঘ. মানুষের মর্যাদাবৃদ্ধি ও মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যে
উত্তর: ঘ. মানুষের মর্যাদাবৃদ্ধি ও মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যে।
 
লেখক: 
সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা
 
জাহ্নবী
 

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’