![মানবকল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: পর্ব-২](uploads/2024/04/18/1713420600.HSC-Bangla.jpg)
প্রবন্ধ: মানবকল্যাণ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-২৬. কোন ধরনের রাষ্ট্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে না?
উত্তর: যে রাষ্ট্র হাত পাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়।
প্রশ্ন-২৭. লেখক কোন কাজকে মানবকল্যাণ বলে মনে করেন না?
উত্তর: লেখক দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাতকে মানবকল্যাণ বলে মনে করেন না।
প্রশ্ন-২৮. মানবকল্যাণের উৎস কোথায় নিহিত?
উত্তর: মানবকল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যে নিহিত।
প্রশ্ন-২৯. ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত, এক দিন এক ব্যক্তি কার কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল?
উত্তর: হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল।
প্রশ্ন-৩০. হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভিক্ষুককে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?
উত্তর: ভিক্ষুককে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন-৩১. প্রত্যেক মানুষ কীসের সঙ্গে সম্পর্কিত?
উত্তর: প্রত্যেক মানুষ সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রশ্ন-৩২. উপলব্ধি ছাড়া মানবকল্যাণ কী হয়ে যায়?
উত্তর: উপলব্ধি ছাড়া মানবকল্যাণ স্রেফ দান-খয়রাত আর কাঙালি ভোজনের মতো মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি হয়ে যায়।
প্রশ্ন-৩৩. বর্তমানে কোনটি মানুষকে মেলায় না, করে বিভক্ত?
উত্তর: বর্তমানে রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা মানুষকে মেলায় না, করে বিভক্ত।
প্রশ্ন-৩৪. কোন পথে মানুষের কল্যাণ করা যায়?
উত্তর: সমতা আর সংযোগ-সহযোগিতার পথে মানুষের কল্যাণ
করা যায়।
প্রশ্ন-৩৫. কোন মনোভাব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায় না?
উত্তর: বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায় না।
প্রশ্ন-৩৬. সত্যিকার মানবকল্যাণ কীসের ফসল?
উত্তর: সত্যিকার মানবকল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনার ফসল।
প্রশ্ন-৩৭. বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই কী রেখে গেছেন?
উত্তর: বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।
প্রশ্ন-৩৮. কোন উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি?
উত্তর: বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভাদের রেখে যাওয়া মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি।
প্রশ্ন-৩৯. বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক উক্তি কোনটি?
উত্তর: ‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?’
প্রশ্ন-৪০. অন্তর জগতের বাইরে যে জগৎকে আমরা অহরহ দেখতে পাই তার মৌলিক সত্য কী?
উত্তর: মৌলিক সত্য হলো পারস্পরিক সংযোগ-সহযোগিতা।
প্রশ্ন-৪১. কোন সম্পর্কের অভাব ঘটলে মানবকল্যাণ কথাটা স্রেফ ভিক্ষা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কে পরিণত হয়?
উত্তর: পারস্পরিক সংযোগ-সহযোগিতার অভাব ঘটলে।
প্রশ্ন-৪২. বর্তমানে পৃথিবীতে কোন ধরনের শব্দের ব্যবহার বেশি?
উত্তর: বর্তমানে পৃথিবীতে রিলিফ, রিহ্যাবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার বেশি।
প্রশ্ন-৪৩. আমরা বর্তমানে কীসের অংশ?
উত্তর: আমরা বর্তমানে বৃহত্তর মানবতার অংশ।
প্রশ্ন-৪৪. কালের বিবর্তনে আমরা এখন আর কী নই?
উত্তর: কালের বিবর্তনে আমরা এখন আর Tribe বা গোষ্ঠীবদ্ধ
জীব নই।
প্রশ্ন-৪৫. সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে?
উত্তর: সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে।
প্রশ্ন-৪৬. কীসের সহায়তায় কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব?
উত্তর: মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব।
প্রশ্ন-৪৭. ‘অনুগৃহীত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘অনুগৃহীত’ শব্দের অর্থ উপকৃত।
প্রশ্ন-৪৮. ‘মনীষা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘মনীষা’ শব্দের অর্থ বুদ্ধি, মনন, প্রতিভা, প্রজ্ঞা।
প্রশ্ন-৪৯. ‘র্যাশনাল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘র্যাশনাল’ শব্দের অর্থ যুক্তিপূর্ণ।
প্রশ্ন-৫০. মুক্তবুদ্ধি কী?
উত্তর: মুক্তবুদ্ধি হলো- সংকীর্ণতা গোঁড়ামিমুক্ত উদার মানসিকতা।
প্রশ্ন-৫১. ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধটি কত খ্রিষ্টাব্দে রচিত?
উত্তর: ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত।
প্রশ্ন-৫২. ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধটি প্রথম কোন গ্রন্থে সংকলিত হয়?
উত্তর: ‘মানবকল্যাণ’ প্রবন্ধটি ‘মানবতন্ত্র’ গ্রন্থে সংকলিত হয়।
প্রশ্ন-৫৩. কোন ধারণা সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক?
উত্তর: করুণাবশত দান-খয়রাত করা সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক।
প্রশ্ন-৫৪. মানবকল্যাণের লক্ষ্য কী?
উত্তর: মানবকল্যাণের লক্ষ্য হলো- আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের পৃথিবী রচনা করা।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা
জাহ্নবী