বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের বাংলায় ব্রিটিশ শাসন,অধ্যায়ের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর- ৫ম শ্রেণি । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, রোববার, ১২ মে ২০২৪

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের বাংলায় ব্রিটিশ শাসন,অধ্যায়ের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর- ৫ম শ্রেণি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের বাংলায় ব্রিটিশ শাসন,অধ্যায়ের বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর- ৫ম শ্রেণি

 

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: কোম্পানির শাসন কী? কোম্পানির প্রথম শাসন কর্তা কে ছিলেন? ব্রিটিশ শাসনের দুটি খারাপ দিক ও দুটি ভালো দিক উল্লেখ করো।
উত্তর: ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত ১০০ বছর এ দেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন চলে। ইতিহাসে যা কোম্পানির শাসন নামে পরিচিত।
কোম্পানির প্রথম শাসনকর্তা ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ।

ব্রিটিশ শাসনের দুটি খারাপ দিক: নিম্নে ব্রিটিশ শাসনের দুটি খারাপ দিক উল্লেখ করা হলো-
১. ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতির ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
২. অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ বাংলা ১১৭৬ সালে (ইংরেজি ১৭৭০ সালে) হয়েছিল যা ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।

ব্রিটিশ শাসনের দুটি ভালো দিক: নিম্নে ব্রিটিশ শাসনের দুটি ভালো দিক উল্লেখ করা হলো-
১. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়।
২. সড়কপথ ও রেলপথ উন্নয়ন এবং টেলিগ্রাফ প্রচলনের ফলে যোগাযোগব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়।

প্রশ্ন: সিপাহি বিদ্রোহ কখন সংঘটিত হয়? কার নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়? সিপাহি বিদ্রোহের চারটি কারণ লেখ।
উত্তর: সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৮৫৭ সালে। সিপাহি মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়।

সিপাহি বিদ্রোহের কারণ: সিপাহি বিদ্রোহের পেছনে বহু কারণ বিদ্যমান। নিম্নে চারটি কারণ উল্লেখ করা হলো-
১. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল। সেখানে ৫০ হাজার ব্রিটিশ এবং তিন লাখ ভারতীয় সিপাহি ছিল।
২. ভারতের বিভিন্ন এলাকার সেনাদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
৩. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরুর এবং শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি তৈরি করা হয়।
৪. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সেনাদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপরোক্ত কারণে সিপাহিদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দেয়।

প্রশ্ন: বঙ্গভঙ্গ কী? কত সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়? বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে পরবর্তী রাজনীতিতে ভারতীয়দের অবদান চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: ব্রিটিশরা ভারতীয় জাতীয় চেতনার প্রসারে ভীত হয়ে পড়ে এবং ১৯০৫ সালে বাংলা প্রদেশকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়, একে ‘বঙ্গভঙ্গ’ বলে। ১৯১১ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ করা হয়।

রাজনীতিতে ভারতীয়দের অবদান: নিম্নে চারটি বাক্যে রাজনীতিতে ভারতীয়দের অবদান তুলে ধরা হলো:
১. ১৯০৬ সালে ‘ভারতীয় মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করা হয়।
২. ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়।
৩. ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
৪. আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের ভারত ত্যাগে বাধ্য করা হয়।

সিনিয়র শিক্ষক,শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ,মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা।

কলি

 

রেইনকোট গল্পের ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর পাঠ-৪ HSC -বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
রেইনকোট গল্পের ৪টি  অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর পাঠ-৪ HSC -বাংলা প্রথম পত্র

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-৯. ক্র্যাক-ডাউনের রাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতকেই ‘রেইনকোট’ গল্পে ক্র্যাক-ডাউনের রাত বলা হয়েছে; যে রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালি জাতির ওপর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, শুরু হয়েছিল ৯ মাসব্যাপী গণহত্যা এবং বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালি শোষণ-নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। এ সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার নিরস্ত্র মানুষের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করে। সে রাতের ভয়াবহতা বোঝাতে ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘ক্র্যাক-ডাউনের রাত’ কথাটি বলা হয়েছে। 
‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সে কালরাতের বর্ণনা দিয়েছেন।

প্রশ্ন-১০. ‘রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বর্ষা ঋতুর সহায়ক ভূমিকার বিষয়টি এভাবে প্রতীকী তাৎপর্যে প্রকাশিত হয়েছে। 
ইতিহাস থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচণ্ড শীতের কবলে পড়ে জার্মান বাহিনী রাশিয়ায় পরাজিত হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্ষা ঋতুর কারণে পাকিস্তানি বাহিনী একইভাবে পর্যুদস্ত হয়েছিল। বাংলার প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে হানাদার বাহিনীর পরিচয় ছিল না। ফলে তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বর্ষা ঋতুর সঙ্গেও লড়তে হয়েছিল। ‘রেইনকোট’ গল্পে বর্ষা ঋতুকে তাই রাশিয়ার জেনারেল উইন্টারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যুদ্ধে প্রকৃতির যে তাৎপর্যময় প্রভাব সেটিই এখানে প্রতীকী তাৎপর্যে উদ্ভাসিত হয়েছে।

প্রশ্ন-১১. নুরুল হুদার কাছে চাবুকের বাড়ি ‘স্রেফ উৎপাত’ বলে মনে হয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে পাকিস্তানি মিলিটারির নির্যাতন নুরুল হুদার কাছে ‘স্রেফ উৎপাত’ বলে মনে হয়েছিল; কারণ ততক্ষণে ভীরুতা থেকে তিনি সাহসী এক মুক্তিযোদ্ধায় রূপান্তরিত হয়েছিলেন তিনি।
‘রেইনকোট’ গল্পে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা কলেজের সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কলেজের শিক্ষকদের তলব করে এবং তাদের মধ্যে নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট পরার ফলে নুরুল হুদার মাঝে ইতোমধ্যে সাহস ও দেশপ্রেমের সঞ্চার ঘটে। মিলিটারিরা তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করলে নুরুল হুদা এসব কিছু না করেও গর্ব অনুভব করেন। তিনি চেয়েছিলেন নিরপেক্ষ থাকতে; অথচ হানাদার বাহিনী তাকেই ধরে এনে পেটাচ্ছে। তিনি ততক্ষণে জাগ্রত হন বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায়। অনুভব করেন মুক্তিযোদ্ধা হওয়াই গৌরবের। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আঁতাত রাখার উত্তেজনায় পাকিস্তানি সেনাদের চাবুকের বাড়ি তার কাছে ‘স্রেফ উৎপাত’ বলে মনে হয়- যেন এটা কোনো ব্যাপারই না। কারণ তিনিও যে একজন মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়েছেন।

প্রশ্ন-১২। ‘যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোটটি পরে ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার ভেতরে যে সাহসী চেতনা সঞ্চারিত হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে। 
মুক্তিযোদ্ধা শ্যালক মিন্টুর রেইনকোটটি পরার পর থেকেই ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মাঝে সঞ্চারিত হয় সাহস ও দেশপ্রেমের এক বিচিত্র অনুভূতি। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নুরুল হুদার সংযোগ থাকার সন্দেহে তাকে চাবুক দিয়ে পিটিয়ে তথ্য বের করার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি সেনা অফিসার। কিন্তু রেইনকোটটির কারণে তার মাঝে যে প্রেরণার সৃষ্টি হয়েছিল, তা যেন চাবুকের আঘাতকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। নুরুল হুদার কাছে চাবুকের আঘাতের ব্যাপারটি রেইনকোটের ওপর বৃষ্টি পড়ার মতোই স্বাভাবিক লাগছিল। তিনি আসলে অনুভব করেছিলেন কোনো প্রকৃত বাঙালির অধিকার ছিল না ১৯৭১ সালে নিরপেক্ষ থাকার। একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার মানসিক অনুভূতিতে নুরুল হুদা যুদ্ধ না করেও শুধু চেতনায় তা ধারণ করে সাহসী হয়ে ওঠেন। ফলে চাবুকের আঘাতের দিকে তার আর মনোযোগ ছিল না।

সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

 কলি

ইবাদত অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
ইবাদত  অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর  পর্ব-২, ৫ম শ্রেণি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: ইসলামের পরিভাষায় আহকাম-আরকানসহ বিশেষ নিয়মে আল্লাহর ইবাদত করাকে কী বলে?
উত্তর: ইসলামের পরিভাষায় আহকাম-আরকানসহ বিশেষ নিয়মে আল্লাহর ইবাদত করাকে সালাত বলে।
প্রশ্ন: কোনো বান্দা যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তার কোনটি থাকবে না?
উত্তর: কোনো বান্দা যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তার গুনাহ থাকবে না।
প্রশ্ন: জামাতের সঙ্গে সালাত আদায়ের মাধ্যমে কোনটি গড়ে ওঠে?
উত্তর: জামাতের সঙ্গে সালাত আদায়ের মাধ্যমে একতা, ভ্রাতৃত্ব, পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: সালাত মানুষের কী উপকার করে?
উত্তর: সালাত মানুষকে খারাপ কাজের অভ্যাস থেকে দূরে রাখে।
প্রশ্ন: সালাতের প্রতিটি কাজ নিয়ম অনুসারে শৃঙ্খলার সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি থেকে তুমি কী শিখবে?
উত্তর: এটি থেকে আমি নিয়ম-শৃঙ্খলা শিখব।
প্রশ্ন: সালাতের আহকামের অন্তর্ভুক্ত একটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: সালাতের আহকামের অন্তর্ভুক্ত হলো কিবলামুখী হওয়া।
প্রশ্ন: সালাতের মধ্যে ভুলক্রমে ওয়াজিব কাজগুলোর কোনো একটি তোমার বাদ পড়ে গেছে। এখন তোমার করণীয় কী?
উত্তর: এখন আমার করণীয় হলো শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে আল্লাহু আকবার বলে দুটি সিজদা করা।
প্রশ্ন: মসজিদকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয় কেন?
উত্তর: মসজিদকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয় কারণ এ ঘরে কেবল আল্লাহর ইবাদত করা হয়।
প্রশ্ন: দুনিয়ার মধ্যে আল্লাহতায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান কোনটি?
উত্তর: দুনিয়ার মধ্যে আল্লাহতায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান মসজিদ।
প্রশ্ন: পৃথিবীতে কোন মসজিদগুলোর মর্যাদা বেশি?
উত্তর: মসজিদে হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদে বায়তুল মুকাদ্দাসের মর্যাদা বেশি।
প্রশ্ন: আব্দুল হক সাহেব কোনোভাবেই সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত হন না। তিনি কাকে ভয় পান?
উত্তর: তিনি আল্লাহকে ভয় পান।
প্রশ্ন: তাহারাত কাকে বলে?
উত্তর: বিশেষ পদ্ধতিতে অর্জিত দেহ, মন, পোশাক, স্থান বা পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা ও নির্মলতাকে তাহারাত বলে।
প্রশ্ন: হজ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হজ শব্দের অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: নিসাব মানে কী?
উত্তর: যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে জাকাত ফরজ হয় তাকে নিসাব বলে।
প্রশ্ন: সাওমের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: তাকওয়া অর্জন করা।
প্রশ্ন: জাকাতের মাসারিফ কয়টি?
উত্তর: জাকাতের মাসারিফ আটটি।
প্রশ্ন: সাওমকে ফারসি ভাষায় কী বলা হয়?
উত্তর: সাওমকে ফারসি ভাষায় রোজা বলা হয়।
প্রশ্ন: তারাবির সালাত কত রাকাত?
উত্তর: তারাবির সালাত ২০ রাকাত।
প্রশ্ন: ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়?    
উত্তর: আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।
প্রশ্ন: ওয়াজিব মানে কী?
উত্তর: ওয়াজিব মানে অবশ্য করণীয়।
প্রশ্ন: ইবাদত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ইবাদত শব্দের অর্থ আনুগত্য, দাসত্ব, বন্দেগি ইত্যাদি।
প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ফরজ নামাজ মোট কত রাকাত?
উত্তর: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ফরজ নামাজ মোট ১৭ রাকাত।
প্রশ্ন: নামাজের ওয়াজিব কয়টি?
উত্তর: নামাজে ওয়াজিব ১৪টি।
প্রশ্ন: ৪৩ সালাতের নিষিদ্ধ সময় কয়টি?
উত্তর: সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটি।
প্রশ্ন: ঢাকা শহরকে কীসের শহর বলা হয়?
উত্তর: ঢাকা শহরকে মসজিদের শহর বলা হয়।
প্রশ্ন: সালাতের ফরজ কাকে বলে?
উত্তর: সালাত শুরু করার আগে এবং সালাতের ভেতরে অবশ্য পালনীয় কাজগুলোকে সালাতের ফরজ বলে।
প্রশ্ন: কাবাঘর কার?
উত্তর: কাবাঘর আল্লাহর।
প্রশ্ন: কোনো বান্দা জামাতের সঙ্গে সালাত আদায় করলে আল্লাহতায়ালা তাকে কয়টি পুরস্কার দেবেন?
উত্তর: কোনো বান্দা জামাতের সঙ্গে সালাত আদায় করলে আল্লাহতায়ালা তাকে পাঁচটি পুরস্কার দেবেন।
প্রশ্ন: হাঁচি দিলে কোন দোয়া পড়তে হয়?
উত্তর: হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ পড়তে হয়।
প্রশ্ন: হজের প্রধান কাজ কী?
উত্তর: হজের প্রধান কাজ ইহরাম বাঁধা।
প্রশ্ন: তারাবির সালাত সম্পর্কে মহানবি (সা.) কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে তারাবির সালাত আদায় করে তার অতীতের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: কোরআন মজিদে কয়টি সিজদাহর আয়াত আছে?
উত্তর: কোরআন মজিদে ১৪টি সিজদার আয়াত আছে।
প্রশ্ন: মাগরিব নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে?
উত্তর: সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিম আকাশে যতক্ষণ লালিমা বিদ্যমান থাকে।
প্রশ্ন: কবর দেখলে কী দোয়া পড়তে হয়?
উত্তর: ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর’ পড়তে হয়।
প্রশ্ন: মৌলিক ইবাদতগুলো কী?
উত্তর: মৌলিক ইবাদতগুলো হচ্ছে- সালাত, সাওম, হজ, জাকাত, সাদকা, দান-খয়রাত, আল্লাহর পথে জিহাদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন: জাকাতের মাসারিফ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মাসারিফ অর্থ ব্যয়ের খাতসমূহ। যাদের জাকাত দেওয়া যায়, তাদের বলে জাকাতের মাসারিফ।
প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে ফরজ কয় রাকাত?
উত্তর: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ফরজ ১৭ রাকাত।
প্রশ্ন: সাহু সিজদাহ কখন দিতে হয়?
উত্তর: ভুলে কোনো ওয়াজিব বাদ পড়লে তা সংশোধনের জন্য সাহু সিজদাহ দিতে হয়।
প্রশ্ন: সালাতে প্রতি রাকাতে কোন সুরা পড়তে হয়? 
উত্তর: সালাতে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়।
প্রশ্ন: দোয়া কুনুত পড়তে হয় কোন সালাতে?
উত্তর: দোয়া কুনুত পড়তে হয় বিতর সালাতে।
প্রশ্ন: ঈদের সালাত কয় তাকবিরের সঙ্গে পড়তে হয়?
উত্তর: ঈদের সালাত ছয় তাকবিরের সঙ্গে পড়তে হয়।
প্রশ্ন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সালাত কখন পড়তে হয়?
উত্তর: রোজা সমাপ্ত হওয়ার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর ও জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার সালাত পড়তে হয়।
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে ইবাদত করব?
উত্তর: আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে ইবাদত করব।
প্রশ্ন: সালাত কীসের খুঁটি?
উত্তর: সালাত দীন ইসলামের খুঁটি।
প্রশ্ন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কী?
উত্তর: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো সালাত।
প্রশ্ন: সালাতের ফরজ কাজগুলো কয়ভাগে বিভক্ত?
উত্তর: সালাতের ফরজ কাজগুলো দুই ভাগে বিভক্ত।
প্রশ্ন: সালাতের শেষ বৈঠকে কী পড়তে হয়।
উত্তর: সালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়তে হয়।
প্রশ্ন: মসজিদে আকসা অবস্থিত কোথায়?
উত্তর: মসজিদের আকসা জেরুজালেমে অবস্থিত।
প্রশ্ন: কয় শ্রেণির লোককে জাকাত দিতে হয়?
উত্তর: আট শ্রেণির লোককে জাকাত দিতে হয়।
প্রশ্ন: কোথায় রাত্রিযাপন করতে হয়?
উত্তর: মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করতে হয়।
প্রশ্ন: কোরবানির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: মুসলিমদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করাই কোরবানির উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন: হাঁচিদাতার প্রশংসা শুনে কী বলব?
উত্তর: হাঁচিদাতার প্রশংসা শুনে ইয়ারহামুকাল্লাহু বলব।
প্রশ্ন: কোন সালাতের আলাদা কোনো ওয়াক্ত নেই?
উত্তর: জুমার সালাতের আলাদা কোনো ওয়াক্ত নেই।
প্রশ্ন: কোনো কাজ শুরু করার আগে কী বলতে হয়?
উত্তর: কোনো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ বলতে হয়।
প্রশ্ন: পরিচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শরীর, পোশাক, স্থান বা পরিবেশ পরিষ্কার ও ময়লামুক্ত রাখাই হলো পরিচ্ছন্নতা।
প্রশ্ন: কোনো কাজ শুরু করার আগে কী বলতে হয়?
উত্তর: কোনো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলতে হয়।
প্রশ্ন: সালাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সালাত শব্দের অর্থ বিনম্র হওয়া, দোয়া করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, দরুদ পড়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন: তাকবিরে তাহরিমা কী?
উত্তর: সালাতের নিয়ত করার পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে কান বরাবর দুই হাত তোলাই হলো তাকবিরে তাহরিমা।
প্রশ্ন: বিতর সালাত কখন আদায় করতে হয়?
উত্তর: এশার সালাত আদায়ের পর।
প্রশ্ন: আকিকা করা কী?
উত্তর: আকিকা করা সুন্নত।
প্রশ্ন: ইফতারের দোয়াটির অর্থ কী?
উত্তর: হে আল্লাহ। তোমারই জন্য সাওম রেখেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।
প্রশ্ন: হজ জীবনে কয়বার ফরজ? 
উত্তর: হজ জীবনে একবার ফরজ।
প্রশ্ন: মসজিদে প্রবেশের দোয়াটি বাংলায় লিখ।
উত্তর: আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিকা

মাস্টার ট্রেইনার ও সিনিয়র শিক্ষক,শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুবাগ, রমনা, ঢাকা

কলি

৪টি E-mail Writing HSC-ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
৪টি  E-mail Writing HSC-ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র

E-mail Writing

Question-1. Write an email congratulating your friend on his brilliant result in HSC examination
Ans:
From: [email protected]
To: [email protected]
Sent: Sunday, 4 May, 2024
Subject: Congratulation on brilliant result in HSC exam.
Dear Karim,
It has given me immense pleasure to hear that you have obtained GPA 5.00 in HSC examination. Congratulations, my friend. Please accept my heartiest felicitation on your brilliant success. You really deserve it. You are always a sincere, hard working and devoted student. You are a glaring example of a sincere student. We are proud of you. I pray to the Almighty Allah that the journey of your success will continue successively.
I think you have chosen your future course of plan. Wish you every success in your life. Convey my salam and best wishes to your parents. Try your best to visit us shortly.
Yours sincerely
Hasan

Question-2. Write an email to your friend who has invited you to his birthday.
Ans:
From: [email protected]
To: [email protected]
Sent: Sunday, 4 May, 2024
Subject: Reply to the letter of invitation.
Dear Karim,
I received your email of cordial invitation to your birthday party. At first, I would like to convey my best wishes to you in advance on this pleasant occasion. I would be glad if I could join your birthday party. But pardon me with your graciousness. My semester exam is going to start from tomorrow. I will remain busy in these days. Physically I can’t join but my heart will be present there.
Convey my salam and best regards to your parents. What’s about your pet dog? I’ll try to visit you after my exam. 
Yours sincerely
Hasan

Question-3. Write an email to your friend about the food habits of Bangladesh.
Ans:
From: [email protected]
To: [email protected]
Sent: Sunday, 4 May, 2024
Subject: Describing the food habit of Bangladesh.
Dear Jhon,
I have received your email just now and come to know that you are spending a nice time after your exam. You have written that travelling is your passion and you have started visiting different places of Europe. You have written describing the culture, beautiful places and food habits of different countries. You have asked me to write about the food habit of Bangladeshi people. I am giving you a pen picture of the food habit of Bangladeshi people.
The people of Bangladesh usually take meals three times a day; breakfast, lunch and dinner. In breakfast they normally take bread, vegetables and egg. In lunch they take a heavy meal consisting of rice, vegetables, fish or meat and dal. In dinner they take almost the same food. The food habit of urban people has changed. They like to take European, Chinese, Thai or foreign foods. But the rural people like to take traditional foods. 
I will be very happy if you visit my country and let me entertain you with our traditional foods.
Yours sincerely
Hasan

Question-4. Write an email to your father about the progress of your studies.
Ans:
From: [email protected]
To: [email protected]
Sent: Sunday, 4 May, 2024
Subject: About the progress of my studies.
Dear Father,
Your email reached me two days ago but I am extremely sorry for not replying it in just time as I was busy with my exams. Today my exams have finished. By the grace of the Almighty Allah, I will do better in the exams. You know that I was weak in English and Maths. For weakness in these subjects, my GPA was low in SSC. But I have given special importance on these subjects. I have taken the help of our college teachers. They have guided me properly. I have only three months in my hand before the board exam. I have made a routine and study everyday accordingly. Please pray for me.
Convey my salam and best regards to mother. How is Rana? Does he go to school every day? I will come home next month. 

Yours affectionate
Hasan

সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ,আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কলি

মানব শারীরতত্ত্ব: পরিপাক ও শোষণ অধ্যায়ের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর HSC- জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
মানব শারীরতত্ত্ব: পরিপাক ও শোষণ
অধ্যায়ের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর HSC- জীববিজ্ঞান  দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১। কোনটি ক্ষুদ্রান্ত্রের অংশ নয়? 
(ক) ইলিয়াম    (খ) কোলন
(গ) ডিওডেনাম    (ঘ) জেজুনাম

২। অশর্করা থেকে শর্করা উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে? 
(ক) গ্লাইকোজেনেসিস    (খ) লাইপোজেনেসিস
(গ) গ্লাইকোজেনোলাইসিস     (ঘ) গ্লুকোনিয়োজেনেসিস

৩। যকৃতের ম্যাক্রোফেজ হলো-
(ক) কাপফার কোষ    (খ) বিটা কোষ
(গ) আলফা কোষ    (ঘ) ডি-কোষ

৪। অগ্নাশয় থেকে নিঃসৃত পাচক রস হলো-    
(ক) অ্যামাইলেজ    (খ) টায়ালিন
(গ) ল্যাকটোজ     (ঘ) পিত্ত

৫। মানবদেহে পিত্ত উৎপন্ন হয়-    
(ক) অগ্নাশয়ে     (খ) যকৃতে
(গ) ল্যারিংসে    (ঘ) পিত্তথলিতে

৬। নিচের কোনটি মিশ্র গ্রন্থি?
(ক) অগ্নাশয়     (খ) লালাগ্রন্থি
(গ) যকৃৎ     (ঘ) পিটুইটার

৭। মানুষের অ্যাপেনডিক্স পরিপাক নালির কোন অংশের সঙ্গে যুক্ত?
(ক) জেজুনাম    (খ) ইলিয়াম
(গ) সিকাম    (ঘ) কোলন

৮। মানুষের পরিপাক গ্রন্থি হলো-
(i) লালাগ্রন্থি     (ii) গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি 
(iii) আন্ত্রিক গ্রন্থি
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii    (খ) ii ও iii    
(গ) i ও iii    (ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৯ ও ১০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। 
ফাহিমের বয়স ১৬ বছর। তার দৈহিক ওজন ৫৫ কেজি ও উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার।

৯। ফাহিমের BMI-এর মান কত হবে?
(ক) ২৫.১৩    (খ) ২৯.৬৭ 
(গ) ৩০.৯৮    (ঘ) ৩৫.২০

১০। WHO-এর মতে ফাহিম BMI নির্দেশিকার কোন শ্রেণিতে পড়ে?
(ক) অতিরিক্ত ওজন     (খ) স্থূলতার দ্বিতীয় স্তর
(গ) স্বাভাবিক ওজন     (ঘ) স্থূলতার তৃতীয় স্তর

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।         
১১। A চিহ্নিত অঙ্গটি কয়টি খণ্ডাংশে বিভক্ত?
(ক) ৪    (খ) ৩
(গ) ২    (ঘ) ১

১২। চিত্রের B অংশ থেকে নিঃসৃত রসে পাওয়া যায়-
i. বিভিন্ন রঞ্জক     ii. বিভিন্ন উৎসেচক 
iii. বিভিন্ন প্রাণরস
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i ও ii     (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

১৩। দুধ দাঁতে অনুপস্থিত থাকে কোনটি?
(ক) Incisor    (খ) Canine
(গ) Pre-molar    (ঘ) Molar

১৪। প্রোটিন পরিপাকে অংশ নেয় কোনটি?    
i. পেপসিন     ii. অ্যামাইলেজ 
iii. কার্বোক্সিপেপটাইডেজ        
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i ও ii     (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

১৫। নিচের কোন উক্তিটি সঠিক নয়?        
(ক) মানুষের ৩ জোড়া লালাগ্রন্থি থাকে
(খ) পিত্তথলি কোন গ্রন্থি নয়
(গ) দুধ দাঁতে অগ্রপেষণ দাঁত থাকে না
(ঘ) ডিওডেনাম পাকস্থলীর একটির অংশ

১৬। মানুষের জিহ্বার অগ্রভাগে কোন ধরনের স্বাদ কোরক (Taste bud) থাকে?    
(ক) মিষ্টতা    (খ) লবণাক্ত
(গ) তিক্ততা    (ঘ) টক

১৭। শোষিত খাদ্যবস্তুর প্রোটোপ্লাজমে রূপান্তরকে কী বলে?
(ক) পরিপাক    (খ) শোষণ
(গ) অভিশোষণ    (ঘ) আত্তীকরণ

১৮। অগ্নাশয় থেকে নিঃসৃত হয়-    
i. গ্যাস্ট্রিন     ii. ইনসুলিন
iii. ট্রিপসিন
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i ও ii     (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii    (ঘ) i, ii ও iii

নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করো এবং ১৯ ও ২০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

১৯। উদ্দীপকের চিত্রটি হলো-     
(ক) পাকস্থলীয় প্রস্থচ্ছেদ     (খ) ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রস্থচ্ছেদ
(গ) অগ্নাশয়ের অনুচ্ছেদ     (ঘ) যকৃতের অনুচ্ছেদ

২০। উদ্দীপকের চিত্রটির ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক? 
i. খাদ্যকে অম্লীয়ভাবাপন্ন করে
ii. খাদ্য পরিশোষণে সহায়তা করে
iii. শর্করা, আমিষ, স্নেহ পরিপাক করে

নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i ও ii     (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

উত্তর: ১. খ, ২. ঘ, ৩. ক, ৪. ক, ৫. খ, ৬. ক, ৭. গ, ৮. ঘ, ৯. ঘ, ১০. খ, ১১. ক, ১২.গ, ১৩. গ, ১৪. খ, ১৫. ঘ, ১৬. ক, ১৭. ঘ, ১৮. গ, ১৯.খ, ২০. গ।

প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ,ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, ঢাকা

কলি

রেইনকোট গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর HSC বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
রেইনকোট গল্পের অনুধাবনমূলক  প্রশ্নোত্তর HSC বাংলা প্রথম পত্র


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-৫. ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদা যে কারণে বাড়ি পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে গিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: পাশের ফ্ল্যাটের গোলগাল মুখের মহিলা নুরুল হুদার স্ত্রীকে তার মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তা শুনেই ভয়ে নুরুল হুদা বাড়ি পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে লেগে গেলেন।

‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টু নুরুল হুদার শ্যালক। মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা। অন্যদিকে নুরুল হুদা ভীতু প্রকৃতির সাধারণ মানুষ। তিনি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নন। মিন্টুর ব্যাপারে তিনি সবসময়ই তটস্থ থাকেন। মিন্টুকে নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখালেই ভয় পেয়ে যান। তাই পাশের ফ্ল্যাটের মহিলা যখন নুরুল হুদার স্ত্রীর কাছে ছোট ভাইয়ের খবর জানতে চান, তখন তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। দ্রুত নিবাস পরিবর্তনের জন্য অস্থির হয়ে যান। ভয় ছিল পাকিস্তান মিলিটারি সব জেনে ফেলে কি না!

প্রশ্ন-৬. ‘আব্বু ছোট মামা হয়েছে।’- কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোট পরার পর নুরুল হুদাকে দেখতে মিন্টুর মতো লাগায় এ প্রসঙ্গে তার ছোট মেয়ে এ উক্তিটি করেছে।
‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার সন্দেহে নুরুল হুদাকে সেনাক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়। বৃষ্টির মধ্যে বাইরে যাচ্ছেন দেখে নুরুল হুদার স্ত্রী তাকে মিন্টুর রেইনকোট পরিয়ে দেন। নুরুল হুদা বিপদ ও ঝুঁকি এড়িয়ে চলা একজন সাধারণ মানুষ। রেইনকোট গায়ে দেওয়ার পর তার মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় যে, তাকে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো দেখাচ্ছে। ছোট মেয়েও যখন এ কথা বলে, তখন তিনি আরও শঙ্কিত হয়ে পড়েন। মামার রেইনকোট বাবা গায়ে দেওয়ায় মেয়ের মনে এমন ভাবনা এসেছিল; কিন্তু তাতেই নুরুল হুদা ভয় পেয়ে যান।

প্রশ্ন-৭. ‘ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নতুনরূপে তিনি ভ্যাবাচ্যাকা খান।’- কে, কেন ভ্যাবাচ্যাকা খায়?
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদা শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোট পরায় পাকিস্তানি সেনারা তাকেও মুক্তিযোদ্ধা ভেবে আটক করতে পারে ভেবে তিনি আতঙ্কিত হয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খান।
‘রেইনকোট’ গল্পের প্রধান চরিত্র কলেজ শিক্ষক নুরুল হুদা ভীতু প্রকৃতির মানুষ। কলেজের প্রিন্সিপালের নির্দেশে বৃষ্টির মাঝেও কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন তিনি। বৃষ্টির কারণে মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট পরায় তাকেও মুক্তিযোদ্ধার মতোই লাগছিল। এ অবস্থায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে মুক্তিযোদ্ধা ভেবে গ্রেপ্তার করতে পারে, সন্দেহ করতে পারে। এসব ভেবে তিনি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নতুন রূপ দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান, দুশ্চিন্তায় পড়েন। তার ভীরুতা, বাস্তববিমুখতা তাকে প্রতিনিয়ত মানসিক যন্ত্রণায় কাবু করেছিল।

প্রশ্ন-৮. ‘টুপির তেজ কি পানিতেও লাগল নাকি?’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোট পরে ভীতু নুরুল হুদার মধ্যে যে সাহসের সঞ্চার ঘটেছিল, সে প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে।

‘রেইনকোট’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নুরুল হুদা ভীতু প্রকৃতির মানুষ। শ্যালক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর ভয়ে সে চারবার বাড়ি বদল করেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়ে সর্বদা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতেন। একদিন তিনি শ্যালক মিন্টুর রেইনকোট পরে সাহসী হয়ে ওঠেন। চেতনায় অনুভব করেন, মুক্তিযোদ্ধার উষ্ণ অনুভূতি। একজন মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোট কীভাবে মানুষের মধ্যে সাহস, উষ্ণতা ও দেশপ্রেমের সঞ্চার করে- তারই ব্যঞ্জনাময় ও প্রতীকী প্রকাশ ঘটেছে প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে।

 লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কলি