তৃতীয় অধ্যায়
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: কোন রাজার আমলে পাহাড়পুর নির্মিত হয়? পাহাড়পুর কোথায় অবস্থিত? পাহাড়পুরে প্রাপ্ত ৪টি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: পাহাড়পুর ৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
নিম্নে পাহাড়পুরে প্রাপ্ত ৫টি নিদর্শনের নাম উল্লেখ করা হলো-
১. এই বৌদ্ধবিহারের চারপাশে ১৭৭টি ভিক্ষুকক্ষ আছে।
২. এখানে জীবজন্তুর মূর্তি পাওয়া গেছে।
৩. এখানে টেরাকোটা পাওয়া গেছে।
৪. এ ছাড়া এখানে মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন: একটি ঐতিহাসিক স্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা শহরের কাছে অবস্থিত। ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? ঐতিহাসিক এ স্থানটি কোন সভ্যতার কেন্দ্র ছিল? স্থানটিতে প্রাপ্ত ৪টি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: ঐতিহাসিক স্থানটির নাম ময়নামতি। ঐতিহাসিক স্থানটি বৌদ্ধ সভ্যতার কেন্দ্র ছিল। ময়নামতিতে প্রাপ্ত নিদর্শন ৪টি হলো-
১. ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২. এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
৩. জীবজন্তুর অঙ্কিত পোড়ামাটির বিভিন্ন ফলক পাওয়া গেছে।
৪. এখানে বেজির সঙ্গে যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন: উয়ারী বটেশ্বর কী? উয়ারী বটেশ্বরে কোন আমলের নিদর্শন পাওয়া গেছে? এ স্থানের ৪টি নিদর্শনের নাম লেখ।
উত্তর: উয়ারী বটেশ্বর নরসিংদী জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের মৌর্য আমলের আগের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
উয়ারী বটেশ্বরে প্রাপ্ত ৪টি নিদর্শন হলো-
১. প্রাচীন রাস্তাঘাট
২. রৌপ্যমুদ্রা
৩. হাতিয়ার এবং
৪. পাথরের পুঁতি।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা
জাহ্নবী