কোষ বিভাজন অধ্যায়ের (২য় ) সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কোষ বিভাজন অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
কোষ বিভাজন অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর,  HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

দ্বিতীয় অধ্যায়
কোষ বিভাজন

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
এক প্রকার কোষ বিভাজনের মাধ্যমে উচ্চ শ্রেণির জীবের জনন কোষ সৃষ্টি হয়। ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোম বিশিষ্ট একটি জনন মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে এবং অপত্য কোষগুলোর ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়। এ কোষ বিভাজনের একটি দীর্ঘ ও জটিল পর্যায় রয়েছে।
ক. ক্রসিং ওভার কী? ১
খ. কোন ধরনের কোষে মাইটোসিস বিভাজন হয়? ২
গ. উদ্দীপকের শেষ উক্তি অনুযায়ী নির্দেশিত পর্যায়টির দ্বিতীয় ও তৃতীয় উপধাপ চিত্রসহ বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. জীবজগতে উদ্দীপকের কোষ বিভাজন না হলে কী হতো? ব্যাখ্যা করো। ৪

উত্তর: ক. এক জোড়া সমসংস্থ ক্রোমোজোমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ক্রসিংওভার।
খ. মাইটোসিস বিভাজন সব জীবের অর্থাৎ সব প্রাণী ও উদ্ভিদের বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন দৈহিক কোষে ঘটে থাকে। উদ্ভিদের কাণ্ড ও তার শাখা-প্রশাখার শীর্ষ, মূলের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল, ক্যাম্বিয়াম প্রভৃতি অঞ্চলে মাইটোসিস বিভাজন হয়ে থাকে। প্রাণীর স্নায়ুকোষ ছাড়া সব দেহকোষ এ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়। এমনকি জীবের জননাঙ্গের গঠন ও বৃদ্ধিও মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শেষ উক্তিটি দ্বারা মায়োসিস-১ কোষ বিভাজনের প্রোফেজ-১ পর্যায়কে বোঝানো হয়েছে।

প্রোফেজ-১ পর্যায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় উপধাপ হলো যথাক্রমে জাইগোটিন ও প্যাকাইটিন। নিচে এ দুটি উপধাপের চিত্রসহ বর্ণনা দেওয়া হলো-
জাইগোটিন: এ উপপর্যায়ে হোমোলোগাস ক্রোমোজোম একটি জোড়ার সৃষ্টি করে। হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের মধ্যে পরস্পর আকর্ষণই এ জোড়া সৃষ্টির কারণ। জোড়া সৃষ্টির কাজ ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের মধ্যে শুরু হয়ে দুদিকে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। দুটি হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের মধ্যে জোড় সৃষ্টি হওয়াকে সিন্যাপসিস (Synapsis) বলে। জোড়বাধা ক্রোমোজোম জোড়াকে বাইভ্যালেন্ট (Bivalent) বলে। এতে করে একটি কোষে যত সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে তার অর্ধেক সংখ্যক বাইভ্যালেন্ট সৃষ্টি হয়। নিউক্লিওপর্দা ও নিউক্লিওলাস তখনো অবিকৃত থাকে।


প্যাকাইটিন: এ উপপর্যায়ে ক্রোমোজোমগুলো আরও মোটা ও খাটো হয়। এ পর্যায়ে সর্বপ্রথম বাইভ্যালেন্টের প্রতিটি ক্রোমোজোম সেন্ট্রোমিয়ার ছাড়া অনুদৈর্ঘ্যভাবে দুটি ক্রোমোটিডে বিভক্ত হয়। ফলে প্রতিটি বাইভ্যালেন্টে চারটি ক্রোমাটিড দেখা যায়, এ অবস্থাকে বলা হয় টেট্রাড (Tetrad)। একই ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড দুটিকে সিস্টার ক্রোমাটিড এবং একই জোড়ার দুটি ভিন্ন ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড দুটিকে নন-সিস্টার ক্রোমাটিড বলে। এ উপপর্যায়ের শেষের দিকে বাইভ্যালেন্টের যেকোনো দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থানে ভেঙে গিয়ে আবার একটির সঙ্গে অন্যটির জোড়া লাগে। দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের ‘X’ আকৃতির এই জোড়াস্থলকে কায়াজমা (Chiasma) বলে। দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে পরস্পর অংশের বিনিময়কে ক্রসিং ওভার (Crossing over) বলে। এ উপপর্যায়েও নিউক্লিওপর্দা ও নিউক্লিওলাস দেখা যায়।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি হলো মায়োসিস কোষ বিভাজন। মায়োসিস কোষ বিভাজন না হলে জীবজগতে নানা রকম সমস্যা দেখা দিত। কারণ অধিকাংশ জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়া এ পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। এর ফলে ভ্রূণ সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন জীব জন্মলাভ করে।

মায়োসিসের ফলে জননকোষ উৎপন্ন হয়, তাই যৌন জননক্ষম জীবে মায়োসিস না ঘটলে বংশবৃদ্ধি অসম্ভব। প্রজাতিতে বংশানুক্রমে ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুব রাখা কেবলমাত্র এ প্রক্রিয়ার জন্য সম্ভব হচ্ছে। হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদের জাইগোট এবং ডিপ্লয়েড উদ্ভিদের জনন মাতৃকোষে মায়োসিস না ঘটলে পিতা-মাতা থেকে সন্তান-সন্ততিতে ক্রমাগতভাবে পুরুষানুক্রমে ক্রোমোজোম সংখ্যা দ্বিগুণ (2n), চারগুণ (4n), আটগুণ (8n), ষোলোগুণ (16n), এভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জীবজগতে একটি আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতো। মায়োসিসের ফলে জীবে ক্রোমোজোমের সংখ্যা সঠিক রাখার মাধ্যমে বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষা পায়।

যৌন প্রজননক্ষম দুটি জীব কখনো হুবহু এক রকম হয় না। পৃথিবীর প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ একই প্রজাতিভুক্ত হয়েও একজন অন্যজন থেকে ভিন্নতর। মায়োসিস প্রক্রিয়ায় গ্যামিটে ক্রোমোজোমের স্বাধীন বিন্যাস এবং ক্রসিংওভারের ফলে পৃথিবীতে এ বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়েছে। মায়োসিস কোষ বিভাজন বৈচিত্র্য আনে এবং এ বৈচিত্র্যের ফলে অভিব্যাক্তির ধারার সৃষ্টি হয়।

তাছাড়া জনুক্রম আছে এমন জীবের জীবনচক্র মায়োসিস ছাড়া সম্ভব নয়। মায়োসিস বিভাজন জীবের জীবনচক্রে গ্যামিটোফাইটিক দশার সূচনা করে অর্থাৎ স্পোরোফাইটিক দশার সমাপ্তি ঘটিয়ে জনুক্রম ঘটাতে সাহায্য করে।

বংশগতিবিদ্যায় মেন্ডেলের সূত্রের গুরুত্ব অনেক। মেন্ডেলের বংশগতীয় সূত্রগুলোর ক্রোমোজোমীয় ব্যাখ্যা মায়োসিস দ্বারা স্পষ্ট হয়।
আর এসব কারণে বলা যায়, মায়োসিস বিভাজন না ঘটলে সমগ্র জীবজগতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে জীবজগৎ হুমকির মুখে পড়ে যেত।

আরও পড়ুন: জীববিজ্ঞান ২য় অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পত্র

লেখক: প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, ঢাকা

জাহ্নবী

একাদশ শ্রেণিতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি সেন্ট গ্রেগরী কলেজে

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
একাদশ শ্রেণিতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি সেন্ট গ্রেগরী কলেজে
ছবি : সংগৃহীত

একাদশ শ্রেণিতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজধানীর সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় নটর ডেম, হলিক্রস, সেন্ট যোসেফের সাথে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজেকে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির অনুমতি প্রদান করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণিতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।

সেন্ট গ্রেগরী একটি মিশনারি স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮২ সালে। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনসহ অসংখ্য গুণীজন শিক্ষা লাভ করেছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে।

সেন্ট গ্রেগরীতে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কলেজ ওয়েবসাইট ও কলেজ বুলেটিন বোর্ডে দেওয়া আছে। ২৫ থেকে ৩০ শে মে https://sghscdhaka.edu.bd/admission লিংক এ প্রবেশ করে  অথবা কলেজ ওয়েবসাইট www.sghscdhaka.edu.bd এ প্রবেশ করে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। 

ভর্তির আবেদনের জন্য নূন্যতম যোগ্যতা-বিজ্ঞান শাখায় ৪.৭৮, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩.৫০, মানবিক শাখায় ২.৫০।

বিভাগ পরির্বতনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ হতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের জিপিএ কমপক্ষে ৪.০০ থাকতে হবে এবং তাদের বিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে।  ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ হতে মানবিক বিভাগে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে এবং তাদের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। মানবিক বিভিগের জন্য ৩.০০ থাকতে হবে। আসন সংখ্যা-বিজ্ঞান বিভাগ: ৩০০ জন, ব্যবসায়শিক্ষা বিভাগ: ৮০ জন এবং মানবিক বিভাগ: ৮০ জন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য, পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরীক্ষার প্রবেশপত্রে উল্লখে থাকবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য ২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৭ জুন পর্যন্ত। পরীক্ষা প্রতিদিন দুপুর ১ টা থেকে শুরু হবে। এর আগে প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, আগামী ১৯ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়ে ৬ জুন পর্যন্ত চলার কথা ছিল।

/আবরার জাহিন

উচ্চশিক্ষার মানে বৈষম্য নিরসনের আহ্বান ইউজিসির

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
উচ্চশিক্ষার মানে বৈষম্য নিরসনের আহ্বান ইউজিসির
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার গুণগতমানের বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান বিষয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে গৃহীত কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এর সুবিধা থেকে অংশীজনরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বিলম্বে বাস্তবায়িত হওয়ায় সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নে যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা, যুগের চাহিদা পূরণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস, বিগ ডাটাসহ ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এ ছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

একাদশে ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
একাদশে ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

তথ্য অনুযায়ী, আবেদন চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরকেও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিষ্পত্তি, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হলে তাদের আবেদন এবং পছন্দক্রম পরিবর্তনের আবেদন নেওয়া হবে ১৩ জুনের মধ্যে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন। তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন শুরু হবে ১২ জুলাই। সবধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

স্বদেশ কবিতার বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি - বাংলা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
স্বদেশ কবিতার বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম শ্রেণি - বাংলা

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: ‘স্বদেশ’ কবিতায় কী দেখে ছেলেটির দিন কেটে যায়?

উত্তর: ‘স্বদেশ’ কবিতাটিতে কবি আহসান হাবীব বাংলাদেশের চিরসবুজ প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরেছেন। একটি ছেলে সেই ছবি দেখছে ও তার মনের ভেতরে ধরে রাখছে।
সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ। মাঠে মাঠে ফসলের খেত। বাতাস বয়ে যায় তার ওপর দিয়ে। মনে হয়, নদীর ঢেউ মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে। অবারিত খোলা, সবুজ মাঠ, মাঝে মাঝে গ্রাম, আবার মাঠ। যেন গ্রাম-মাঠের সঙ্গে মিশে যায়। মনে হয় সবকিছু মাঠের উপাদান। মাঠের পর মাঠ চলে গেছে, কোথাও শেষ হচ্ছে না। প্রকৃতির মতো এ দেশের মানুষের মধ্যেও রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। নানা পেশার মানুষ এ দেশে বসবাস করে। বিভিন্ন পেশার মানুষের কাজের ধরনও ভিন্ন। তাই কৃষক, অর্থাৎ যারা মাঠে কাজ করে তারা মাঠে যায় আর হাটের মানুষগুলো যায় হাটে। তাই কখনো এসব মানুষের যাওয়া-আসা আবার কখনো সবুজ-শ্যামল ফসলের মাঠ দেখে ছেলেটির সারা দিন কেটে যায়।

প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লিখ।
নদী, নৌকা, আপন, মন, ছবি, আঁকা, গাছ, পাখি, দিন, ভাই, বাগান, বাড়ি।
উত্তর: 

প্রদত্ত শব্দ     সমার্থক শব্দ
    নদী     শৈবালিনী
    গাছ     তরু
    নৌকা     নাও    
    পাখি     বিহঙ্গ
    আপন     নিজ
    দিন     দিবস
    মন     চিত্ত
    ভাই     ভ্রাতা
    ছবি     চিত্র
    বাগান     উদ্যান
    আঁকা     অঙ্কন করা
    বাড়ি    নিলয়


প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লিখ।
জোয়ার, চেনা, খুশি, শেষ, দিন, প্রশ্ন।
উত্তর:    

প্রদত্ত শব্দ     বিপরীত শব্দ
    জোয়ার     ভাটা
    চেনা     অচেনা
    খুশি     অখুশি
    শেষ     শুরু
    দিন     রাত
    প্রশ্ন     উত্তর


প্রশ্ন: বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখ।
(১) বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ অর্থাৎ এ দেশে সবখানেই নদী দেখা যায় স্বদেশ কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরা হয়েছে একটি ছেলে সেই ছবি দেখছে ও তার মনের ভেতরে ধরে রাখছে নদীর জোয়ার নদীতীরে নৌকা বেঁধে রাখা গাছের পাখির কলকাকলি সবই ছেলেটির মনে নিজের দেশের জন্য মায়া মমতা ও ভালোবাসার অনুভূতি জোগাচ্ছে

উত্তর: বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, অর্থাৎ এ দেশে সবখানেই নদী দেখা যায়। ‘স্বদেশ’ কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। একটি ছেলে সেই ছবি দেখছে ও তার মনের ভেতরে ধরে রাখছে। নদীর জোয়ার, নদীতীরে নৌকা বেঁধে রাখা, গাছে গাছে পাখির কলকাকলি- সবই ছেলেটির মনে নিজের দেশের জন্য মায়া, মমতা ও ভালোবাসার অনুভূতি জোগাচ্ছে।

(২) সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ মাঠে মাঠে ফসলের খেত বাতাস বয়ে যায় তার ওপর দিয়ে মনে হয় নদীর ঢেউ মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে অবারিত খোলা সবুজ মাঠ মাঝে মাঝে গ্রাম আবার মাঠ গ্রাম মাঠের সঙ্গে মিশে যায় মনে হয় সবকিছু মাঠের উপাদান মাঠের পর মাঠ পরপর চলে গেছে কোথাও শেষ হচ্ছে না

উত্তর: সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ। মাঠে মাঠে ফসলের খেত, বাতাস বয়ে যায় তার ওপর দিয়ে। মনে হয়, নদীর ঢেউ মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে। অবারিত খোলা সবুজ মাঠ, মাঝে মাঝে গ্রাম, আবার মাঠ। গ্রাম মাঠের সঙ্গে মিশে যায়। মনে হয় সবকিছু মাঠের উপাদান। মাঠের পর মাঠ পরপর চলে গেছে, কোথাও শেষ হচ্ছে না।

সহকারী শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ. বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা/আবরার জহিন