![দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত](uploads/2024/01/27/1706354057.liton.jpg)
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির জোহান্সবাগের হিলবো শহরে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান তিনি।
নিহত নুরুল হুদা লিটন (৩৫) ফেনীর দাগনভূঞার জগতপুর গ্রামের এবাদুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, লিটন গত রাতে স্থানীয় সামিট ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় তার পেছন থেকে এক সন্ত্রাসী এসে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজনের সাহায্যে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
নিহতের চাচাতো ভাই মনির হোসেন সবুজ জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে স্বজনদের কাছে তার মৃত্যুর খবর আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান লিটন। সেখানে নিজে দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি এবং তার ছোট ভাই মিঠু দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। সাত মাস আগে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন তিনি। বাড়িতে ঘর নির্মাণকাজ চলছিল তার। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি এসে বিয়ে করার কথা ছিল তার।
দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খাঁন জানান, লিটনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রবাসী বাংলাদেশি নিহতের খবরটি জানতে পেরেছি। খুব শিগগিরই উপজেলা প্রশাসন থেকে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। মরদেহ দেশের আনার ক্ষেত্রে পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের জন্য সরকার নির্ধারিত অনুদান যেন খুব তাড়াতাড়ি পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
ফেনী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাবেক গাড়িচালক এবাদল হকের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে লিটন ছিল সবার বড়। মেজো ভাই সৌদি আরবে এবং ছোট ভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সঙ্গে ছিল।
তোফায়েল/সালমান/