![বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন](uploads/2024/03/07/1709807947.IMG_04.jpg)
বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েস জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে এবং স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, তার এক অনন্য উদাহরণ হলো ৭ মার্চের ভাষণ। জাতির পিতার এই ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী সকল মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।’
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অথনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও আর্থসামাজিক নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি সাধন করেছে।’
এ ছাড়া তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোসহ জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সাদিয়া নাহার/অমিয়/