নিউইয়র্কে ১০ সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে বাংলা বর্ষবরণ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

নিউইয়র্কে ১০ সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে বাংলা বর্ষবরণ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১১ পিএম
নিউইয়র্কে ১০ সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে বাংলা বর্ষবরণ
নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে সহস্রকন্ঠে বিশ্ব বাঙালি ১৪৩১ বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক দর্শনার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে দশ সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে হয়ে গেলো ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বরণ। বাঙালির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সহস্রকণ্ঠের গানে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নতুন বছর। 

বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ১৩ এপ্রিল (শনিবার) স্থানীয় সময় দুপুরে টাইমস স্কয়ারে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ আয়োজন।

এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের দুই দিনব্যাপী আয়োজন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে জ্যাকসন হাইসের ডাইভারসিটি প্লাজায়। 

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের এ আয়োজনে বাংলাদেশিদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ভারত, থাইল্যান্ড এবং নেপালের শিল্পী ও দর্শনার্থীরা।

বাংলাদেশ থেকে ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন পার্বতী দাস বাউল। 

একই ডিজাইনের পোশাকে সহস্র মানুষ মেতে উঠেছিলেন আনন্দ উৎসবে। 

নিউ ইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে সহস্রকণ্ঠে বিশ্ব বাঙালির ১৪৩১ বাংলা বর্ষবরণের আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান ইমাম মঙ্গল শুভাযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বলেন, ‘টাইমস স্কয়ারে হাজার হাজার বাঙালির উপস্থিতিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সহস্র কন্ঠে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাঙালি অভিবাসীরা, তা অবিস্মরণীয়। এ আয়োজন দেখে পৃথিবীর নানান দেশের বাঙালিরা বর্ষবরণ উদযাপন করবেন সেই স্বপ্ন দেখছি।’

ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম রাত পৌনে ১০টায় টাইমস স্কয়ারের মঞ্চে উঠে দর্শক দেখে অভিভূত হয়ে বলেন, কনকনে শীতের মধ্যে হাজার দশেক মানুষ আমার গান শুনতে দাঁড়িয়ে আছেন এটা আমার জন্য অসম্ভব সম্মানের। 

রাত ১০টা পর্যন্ত অনুমতি ছিল সাউন্ডের। অগণিত মানুষের আনন্দ এবং মমতাজ বেগমের গানে মুগ্ধ হয়ে টাইম স্কয়ার পুলিশ ইউনিটের সার্জেন্ট মোহাম্মদ খান মঞ্চে এসে বলেন, আমেরিকায় আপনি বাংলা গানের অ্যাম্বাসেডর। আপনার সম্মানে আমরা সময়ের সীমা তুলে নিলাম। আপনি যতক্ষণ পারেন গান করেন, আমরাও শুনবো। পরে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মমতাজের গান।

নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা বলেন, ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই আয়োজন আগামী প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে। 

আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটনের চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাসার। 

তিনি মেয়র এরিক এডামের পক্ষ থেকে বলেন, ‘বাঙালির সর্বজনীন উৎসবের বর্ণাঢ্য এই আয়োজন দেখে আমরা অভিভূত। সকল ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠীর মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউইয়র্ক সিটিকে আমরা আরও প্রাণবন্ত এবং আনন্দমুখর গড়ে তুলব।’

এ সময় অতিথি হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির আরও কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের এম্বাসেডররা বক্তব্য রাখেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, সহস্রকন্ঠে বিশ্ব বাঙালির ১৪৩১ বাংলা বর্ষবরণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের কল্যাণে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে আইএফআইসি ব্যাংক সব সময় সঙ্গে আছে। আমেরিকার অভিবাসীরা টাইমস স্কয়ারে যে অভূতপূর্ন আয়োজন করেছেন তার সাক্ষী এবং সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।’  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের কর্ণধার শাহনেওয়াজ বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশিরা স্বতন্ত্র একটি অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। টাইম স্কয়ারের বিশাল এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে পেরেছি। 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘গত বছর আমরা শতকন্ঠে নতুন বছরকে বরণ করেছিলাম। এবার হয়েছে সহস্রকন্ঠে। এ আনন্দ আয়োজন অব্যাহত থাকবে। গত তিন মাস ধরে মহিতোষ তালুকদার তাপসের নেতৃত্বে মহড়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে শিল্পী এবং দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন। আবহমান বাংলার ঐহিত্যবাহী সংস্কৃতি, নাচ গান ও যাত্রাপালা, কোনো কিছুই বাদ ছিল না আমাদের আয়োজন।’  

তিনি আরও বলেন, ১৪ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় সকাল ১১টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল বর্ষবরণ এবং বৈশাখী মেলা। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই আয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বাঙ্গালিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

অমিয়/

যুক্তরাজ্যে উদ্বাস্তুদের মানবিক সহায়তা এইডমিইউকে’র

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:২৩ এএম
যুক্তরাজ্যে উদ্বাস্তুদের মানবিক সহায়তা এইডমিইউকে’র
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের উদ্বাস্তুদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে। এসকল মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবার সরবরাহ করছে এই সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) এইডমিইউকে’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইউনাইটিং ফর বেটার কমিউনিটি’ শ্লোগানকে ধারণ করে এইডমিইউকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ইয়র্ক মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে উদ্বাস্তু দু’শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাবার পরিবেশন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা রিফিউজি স্ট্যাটাসে আছেন তাদের মধ্যে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের সনাক্তের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এইডমিইউকে। মানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানাবিদ সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে এই সংস্থাটি।

কর্মসূচিতে ইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন এইডমিইউকে’র উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখলাকুজ্জামান হারুন, রাকিব আলী, মাহতাব শামীম, ফারুক মিয়া, এইডমিইউকে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাকসুদ রহমান, ফিনান্স ডিরেক্টর দেওয়ান ছয়েফ আহমেদ, প্রোজেক্ট ও প্লানিং ডিরেক্টর জিহান আহমেদ চৌধুরী, কমিউনিকেশন হেড রিয়াজ চৌধুরী, ইভেন্ট হেড আনামু হক কায়েস, ভলেন্টিয়ার হেড আব্দুস শহিদ, ইভেন্ট প্ল্যানার মোহাম্মদ তাজিম উল্লাহ প্রমুখ।

রিয়াজ/এমএ/

লন্ডনে গ্রোথ স্ট্রাটেজি প্রোগ্রামে ৭ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
লন্ডনে গ্রোথ স্ট্রাটেজি প্রোগ্রামে ৭ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা
ছবি : সংগৃহীত

লন্ডন বিজনেস স্কুল সম্প্রতি গ্রোথ স্ট্রাটেজির ওপর এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। যেখানে এন্ট্রোপ্রেনারস অর্গানাইজেশন (ইও) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ৭ সদস্য অংশ নেয়। একজন উদ্যোক্তাকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি কিংবা তথ্যগত যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সে বিষয়ে কর্মশালায় বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৭৭ জন উদ্যোক্তা এই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় অংশ নেন। জন মুলিন্সের মতো বিশ্বখ্যাত অধ্যাপকদের নেতৃত্বে কর্মশালায় ক্লাসরুম সেশন, কেস স্টাডি এবং গ্রুপ স্টাডিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সাফল্য এবং দক্ষতা অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের মুগ্ধ করেছে।

বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন- এপেক্স প্রোপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাইক কাজী, অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির, ইভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ্ রাঈদ চৌধুরী, অ্যালটেক অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আম্মার মামুন, অ্যারিস্টো ফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, ফখর উদ্দিন ব্রাদার্সের পরিচালক ফখরউস সালেহীন নাহিয়ান এবং অপসোনিন ফার্মার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জুবায়ের খান।

লন্ডন বিজনেস স্কুলের শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বলেন, ‘এখানে হাতে কলমে শেখা অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান উদ্যোক্তাযাত্রার পথকে সমৃদ্ধ করবে। আমরা যা শিখেছি তা নিজের প্রতিষ্ঠান এবং দেশের শিল্পায়নে কাজে লাগাতে পারব।’

এন্ট্রোপ্রেনারস অর্গানাইজেশন একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। যা ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে ৭৬টি দেশের ১৮ হাজার উদ্যোক্তা এর সদস্য। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৫।

সালমান/

খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
বহিষ্কৃত খান শওকত। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের শূন্য পদ পূরণ করতে বলেছেন। তার নির্দেশ মতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ২৫ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে জায়গা দেন। নতুন কমিটিতে উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে ছিলেন খান শওকত। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৪ মে) খান শওকতকে বহিষ্কার করা হয়।

নতুন কমিটিতে ১৩ জন সম্পাদকীয় এবং ১২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য বলে জানা গেছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ ছিল, খান শওকত জামায়াত ও বিএনপি ঘেঁষা সাম্প্রদায়িক মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সাম্প্রদায়িকতার কথা ছড়িয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উপ-প্রচার সম্পাদক পদ হতে অব্যাহতি দিয়েছি।’

বহিষ্কৃত খান শওকত বলেন, ‘আমি নোংরা রাজনীতির শিকার। আমার সঙ্গে ঈর্ষাবশত এ কাজ করা হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখে আয়োজক ও অভিবাসীদের বলেছি, পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করতে। কাউকে জোর করিনি অনুষ্ঠানে না যেতে। মুসলমানদের পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি মুসলমানদের পালন করা উচিত নয় বলে জানিয়েছি। আমি সাম্প্রদায়িকতা করলাম কীভাবে?’

কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক মাহবুব রহমান বলেন, ‘খান শওকত পহেলা বৈশাখের আগে এ নিয়ে বিরোধিতা করে ফেসবুকে ও মানুষকে ফোন করে সর্বজনীন এ উৎসব সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার চালিয়েছেন। আমার পোস্টে এক মন্তব্যে তার সাম্প্রদায়িক এবং বাংলা সংস্কৃতিবিরোধী মনোভাবের বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। গত বছর নিউইয়র্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঠিক তারিখে হওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’

সালমান/

ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষভাস্কর্য উন্মোচন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষভাস্কর্য উন্মোচন
ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে গত রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন, বিশ্ব মানবতার প্রতীক বিশ্ববন্ধু। শেখ মুজিব মুক্তিকামী, স্বাধীনতাকামী, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অবিনাশী আলোকবর্তিকা।’

রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। ভিয়েনায় দূতাবাসটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পত্তি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সেমিনার ও মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সেমিনার ও মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প
বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প ও সেমিনার

বাহরাইনের মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প ও সেমিনার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আল ইসলাহ সোসাইটি হল, মুহাররাকে বাহরাইনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সচেতনতা বাড়াতে এ ক্যাম্প ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বাহরাইনের আইনকানুন, ট্রাফিক আইন, ভিসা সংশোধনের পদ্ধতি, শ্রমিকদের অধিকার এবং সাধারণ স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেমিনারে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এলএমআরএ), পূর্ত মন্ত্রণালয়, ট্রাফিক জেনারেল ডিরেক্টরেট (জিডিটি), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

বাহরাইনের শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজনের জন্য দূতাবাসের প্রশংসা করেন এবং এ প্রচারণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।

অন্যদিকে LMRA প্রতিনিধি প্রবাসীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য যে পরিষেবাগুলো দেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরেন।

পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ট্রাফিক জেনারেল ডিরেক্টরেটের (জিডিটি) প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে যৌথভাবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তার বিধিবিধান মেনে চলার ওপর জোর দেন।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা প্রবাসীদের কল্যাণে তাদের সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে বিদেশি অতিথি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে দূতাবাস কর্তৃক এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজনের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

তিনি বাহরাইনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সব প্রতিনিধিদের সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়ার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. মাহফুজুর রহমান।

দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা সেমিনার ও কনস্যুলার ক্যাম্পে অংশ নেন।

সচেতনতামূলক সেমিনার ছাড়াও দূতাবাস দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলার সার্ভিস ক্যাম্পের আয়োজন করে। এতে মুহাররাক এবং আশপাশের এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট সেবা, জন্মনিবন্ধন, আইনি সহায়তা, ওয়েজ আর্নার্স সদস্যপদ নিবন্ধন, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শসহ বিভিন্ন কনস্যুলার এবং শ্রমকল্যাণ সেবা খুব সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

এ ধরনের কনসুল্যার সেবা বাহরাইনের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় পর্যায়ক্রমে আয়োজন করা হবে।

অমিয়/