গ্রীষ্মের এই খরতাপের কারণে মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাসসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। চোখে যাতে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি না পড়ে বা ধুলোবালিতে চোখের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। রোদের তীব্র আলো ও ধুলোবালি থেকে চোখকে রক্ষা করতে রোদ চশমার জুড়ি নেই। দরকারি রোদ চশমার খবর জানাচ্ছেন শারমিন রহমান
আলো ও ধুলোবালি থেকে চোখকে রক্ষা করার পাশাপাশি রোদ চশমা এখন ফ্যাশন অনুষঙ্গও বটে। চেহারা আর পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রুচিসম্মত একটি রোদ চশমা আপনার অভিব্যক্তিই পরিবর্তন করে দেয়। শুরুতে রোদচশমা শুধুই কালো হতো। বিষয়টা অনেকটা বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তৈরি হয়েছিল। যেহেতু কালো রং সব ধরনের আলোকে শোষণ করে নেয়। তাই রোদচশমা কালো হতো, যাতে রোদের আলোগুলো চোখ পর্যন্ত না পৌঁছে আর চোখ নিরাপদ থাকে। তবে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রোদচশমা শুধু রোদের জন্য নয় ফ্যাশনের জন্যও ব্যবহার হচ্ছে, তাই শুধু কালো রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এখন। বর্তমানে লাল, নীল, হলুদ রঙেরও হয়ে থাকে। রোদচশমা ফ্যাশন ও লাইফস্টাইলের একটি অংশ। নিজেকে ফ্যাশনেবল করার জন্য অনেকে রোজ ব্যবহার করছেন রোদ চশমা।
নিজের চেহারার সঙ্গে মানানসই রোদচশমা কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। সব স্টাইল বা মডেল সবার মুখের গড়নের সঙ্গে মানায় না। রোদচশমা কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নেবেন। চেহারার সঙ্গে মানাচ্ছে কি না। গোলগাল চেহারা হলে অবশ্যই রোদচশমাটা যেন একটু লম্বাটে ধরনের হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আবার একটু লম্বাটে ধরনের মুখ হলে ডাম্বেল আকৃতি রোদচশমা বেশ ভালো মানাবে। চেষ্টা করবেন, চোখের কোল ঢেকে যায় এমন রোদ চশমা ব্যবহার করতে। তাছাড়া এখন ওভারসাইজ রোদ চশমার ট্রেন্ড চলছে। আয়তাকার মুখে ওপরের কিছুটা চ্যাপ্টা ফ্রেম বেশ ভালো মানায়।
ব্র্যান্ডেড জিনিসের প্রতি প্রায় সবারই একটা বাড়তি আকর্ষণ থাকে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বহুতল বিপণিবিতানে সবখানেই রোদচশমার দোকান খুঁজে পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডেড রোদ চশমা কিনতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো দোকানে যেতে হবে। ব্র্যান্ডেড রোদ চশমা দুই ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। রোদ চশমার গুণগত মান ভালো থাকে এবং এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনেক ফ্যাশনেবল হয়। রে ব্যান, গুচি, পলিস, অ্যাডিডাস, ওকলে, কেলভিন ক্লেইন, ডলস অ্যান্ড গাব্বানা, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, জর্জিও আরমানি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের রোদচশমা পাওয়া যায়। এসব ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস বিভিন্ন ডিজাইন এবং দামে পাওয়া যায়।
প্রাপ্তিস্থান ও দাম
বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্কসহ অভিজাত বিপণিবিতানগুলোয় পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডেড রোদচশমা। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুরের বড় বড় শপিংমলেও পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডেড রোদচশমা। দাম তিন হাজার থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, বিজয় সরণি, মগবাজার, গুলিস্তান, স্টেডিয়াম মার্কেটে পাওয়া যাবে নন-ব্র্যান্ডেড রোদচশমা।
দাম পড়বে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। ইসলামপুরের পাটুয়াটুলিতে চশমার দোকানের স্বর্গ বলা যেতে পারে। ভালো ব্র্যান্ডসহ তাদের রেপ্লিকাও পেয়ে যাবেন। ৩০০ টাকা থেকে দাম শুরু হয়। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমের ও গুলিস্তানের মার্কেটগুলোয় চশমার দোকানগুলোয় সাশ্রয়ী মূল্যে রোদচশমা পাওয়া যায়। চাইলে বিভিন্ন অনলাইন শপেও বাহারি মডেলের রোদচশমা কিনতে পারবেন।
কলি