আর কোনো মেনশন নয়, এখন থেকে আপিল বিভাগে কার্যতালিকার ক্রমানুসারে মামলার শুনানি হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
সোমবার (৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শতাধিক আইনজীবী মেনশন করে শুনানির জন্য তাদের মামলা এগিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি মামলার ক্রম এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর মতামত গ্রহণ করেন। এরপর আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ক্রমানুসারে শুনানি করা হবে, কোনো মেনশন নেওয়া হবে না বলে আইনজীবীদের জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘১ হাজার ৮৮২টি মামলা আপিল বিভাগের লিস্টে আছে, এগুলোই ফের মেনশন করা হলো। এটি পাগলামি না? আর্জেন্ট ম্যাটার হলে দু-তিনটি মেনশন করা যায়। কিন্তু সবাই মেনশন করলে কেমন করে হবে।’
সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ ছোট ছোট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চলে আসে আপিল বিভাগে। এগুলো যদি চেক অ্যান্ড ব্যালান্স হতো, তাহলে আপিলে এত মামলা হতো না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল করারও দরকার আছে, আমরা কিছু কিছু আদেশ সংশোধন করে দিতে পারি।’
‘অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘উনি (অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক) যে মামলাগুলোর কথা বলছেন, তার বেশির ভাগই হেরোইনসহ মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত মামলা। এ কারণে আমাদের আপিলে আসতে হয়।’
এরপর সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আর মেনশন নেব না। আপনারা সিনিয়ররা ঠিক করেন, এটি কী করবেন।’